• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

লিবিয়ার কাছে বাংলাদেশ ক্ষতিপূরণ চেয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২০  

২৬ জন বাংলাদেশি নাগরিককে হত্যা ও ১১ জনকে আহত করার এক দিন পর শুক্রবার (২৯ মে) লিবিয়ার কাছে হতাহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে বাংলাদেশ। পাশাপাশি হত্যায় জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে বলেন, লিবিয়ায় আমাদের মিশন ত্রিপোলি সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এবং জরুরি তদন্ত ও হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস জাতিসংঘ স্বীকৃত ত্রিপোলিভিত্তিক গভর্মেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকর্ডকে এই হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের পরিচয় ঢাকাকে জানাতে বলেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ঢাকা ২৬ বাংলাদেশির মৃতদেহ দেশে নিয়ে আসার জন্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। দুষ্কৃতকারীরা এই ২৬ বাংলাদেশির সঙ্গে আফ্রিকান ৪ ব্যক্তিকেও হত্যা করেছে। লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির মুখোমুখি করার নির্দেশ দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) রাতে ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ জনকে মেজদায় জিম্মি দশায় গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হামলায় অপর ১১ জন আহত হয়েছেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ত্রিপোলি থেকে সর্বশেষ খবরে জানা যায়, বাংলাদেশ মিশন লিবিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে রাতেই আহত বাংলাদেশিদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ত্রিপোলির হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। আহত ১১ বাংলাদেশির মধ্যে ৫ জনের অবস্থা গুরুতর। তবে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা অপর ৬ জনকে ঝুঁকি-মুক্ত বলে জানিয়েছেন।

মোমেন বলেন, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলি থেকে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর মিজদাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। সেখানে একটি গোপন স্থানে ৩৮ বাংলাদেশি নাগরিককে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। তাঁদের হত্যা করা শুরু করা হলে তাঁদের মধ্যে কেবল একজন সেখান থেকে পালিয়ে প্রাণে রক্ষা পান।

ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, প্রাণে বেঁচে যাওয়া ওই ব্যক্তি লিবিয়ায় বাংলাদেশ মিশনকে এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো বাংলাদেশ দূতাবাসের পত্রে বলা হয়, বেঁচে যাওয়া ওই বাংলাদেশি নাগরিক জানিয়েছেন, ১৫ দিন আগে বেনগাজি থেকে মরুভূমি পাড়ি দিয়ে মানব পাচারকারীরা কাজের সন্ধানে তাঁদের লিবিয়ার ত্রিপোলি শহরে নিয়ে আসার পথে তিনিসহ মোট ৩৮ বাংলাদেশি দুষ্কৃতকারীর হাতে জিম্মি হন। একপর্যায়ে অপহৃতরা অতিষ্ঠ হয়ে মূল অপহরণকারীকে হত্যা করে। এর জেরে অন্য দুষ্কৃতকারীরা আকস্মিক তাঁদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি করে।

বাসস

ঝালকাঠি আজকাল