• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

মানুষ গড়ার কারিগরদের বেতন বকেয়া

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৮  

 

ঝালকাঠিতে বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৬৭টি। এর মধ্যে ১৫৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং ১০টি কারিগরি বিদ্যালয়।
সদর উপজেলার কির্ত্তীপাশা ইউপির পরিত্যক্ত জমিদার বাড়িতে রয়েছে কমলীকান্দর নবীন চন্দ্র বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুনিল বরণ হালদার জানান, এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বোর্ড দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী টাকা রাখা হয়েছে। এসএসসিতে ১৪ টি বিষয় থাকায় মোট ১১শ’ ২০ টাকা, ব্যবহারিক পরীক্ষার প্রতিটিতে ৩০ টাকা, মার্কশিট বাবদ ৩৫ টাকা, মূল সনদ বাবদ ১শ’ টাকা, স্কাউট ফি বাবদ ১৫ টাকা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে ৫ টাকা, কেন্দ্র ফি বাবদ ৩শ টাকা করে নির্ধারণ রয়েছে। এছাড়াও অনিয়মিত শিক্ষার্থীদের জন্য ১শ টাকা এবং প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বোর্ডের খরচ বাবদ ৩শ টাকা দেয়ার নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়েছে।

ঝালকাঠির পুরাতন স্টেডিয়াম, থানা, প্রেসক্লাব, সাব রেজিস্ট্রি অফিস ও পৌরসভা সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত পৌর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের অতিরিক্ত ফি আদায় নিয়ে কথা হয় ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমলা রাণী নাথের সঙ্গে।

রমলা রাণী বলেন, ঝালকাঠি শহরে দুটি সরকারি বিদ্যালয় এবং উদ্বোধন বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। মেধাবী এবং ধনাঢ্য ছাত্ররা সেখানে ভর্তি হয়। এখানে আসে ওই সব বিদ্যালয়ে ভর্তি হবার সুযোগ না পাওয়া শিক্ষার্থীরা। তাদের পড়াশুনা করিয়ে প্রতিবছরই সন্তোষজনক ফলাফল অর্জন করে থাকি। কিন্তু সারা বছরেও শিক্ষার্থীদের উপর নির্ধারণ করা বেতন কোনো শিক্ষার্থীই দেয় না। ফলে বার্ষিক পরীক্ষা অথবা বোর্ড পরীক্ষার পূর্বে কম-বেশি বেতন আদায় করে নিতে হয়। মোটেও বেতন না নিলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কাঠামো ভেঙে যাবার আশঙ্কা থেকেই যায়।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আলমগীর হোসেন জানান, নবম শ্রেণির শুরু থেকে কোনো শিক্ষার্থীই বেতন-ভাতা দেয় না। ফরম পূরণের সময় দেখা যায় তার বেতন ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। সেই সঙ্গে ফরম পূরণের খরচ, সব মিলিয়ে পাঁচ হাজারেরও বেশি টাকা প্রতিষ্ঠানের পাওনা হয়ে যায়।

ঝালকাঠি জেলা শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেতন সব সময় বকেয়াই থাকে। অভিভাবকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন দিতে হয় এ ব্যাপারেও অনেকে সচেতন নয়। তাছাড়া ছাত্রীদের বেতন সরকার মওকুফ করে দিয়েছেন। ছাত্রদের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বেতন কত তা বোর্ড কিংবা মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করে দেয়নি। বিদ্যালয়গুলো তাদের মতো করেই বেতন নির্ধারণ করে থাকে। এজন্য যাদের বকেয়া থাকে সেটা বার্ষিক পরীক্ষা এবং বোর্ড পরীক্ষার পূর্বে পাওনাদি নির্ধারণ করে নেয়। এ জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ আসে সেটা সত্য নয়।

ঝালকাঠি আজকাল