‘ভুল ভাঙাতে’ নিজেই সাপের কামড় খেলেন আদনান!
সাপ ভীতি’ আমাদের বহু পুরনো। আর এই সার্বজনীন ভীতির ফলেই প্রকৃতিতে সাপদের প্রাণ হারাতে হচ্ছে খুবই নির্মমভাবে। অথচ সাপ প্রকৃতির একটি অত্যন্ত উপকারী প্রাণী।
আমাদের দেশে যত প্রকারের সাপ রয়েছে তার মধ্যে ৯৫ শতাংশ সাপ নির্বিষ। অর্থাৎ, বিষ নেই। অবশিষ্ট মাত্র ৫ শতাংশ সাপ বিষধর। তবে তারা সচরাচর ব্যাপকভাবে মানুষের ক্ষতি করে না।
‘সাপ মানেই বিষাক্ত, তাদের দেখামাত্রই মেরে ফলতেই হবে’- সাধারণ জনগণের এই ভুল বা ভ্রান্ত ধারণাটি শুদ্ধ বা সঠিক ধারণায় রূপান্তরিত করতে দীর্ঘদিন থেকে কাজ করছেন বন্যপ্রাণী গবেষক ও আলোকচিত্রী আদনান আজাদ আসিফ।
সাপ ধরে উপস্থিত মানুষের মধ্যে সেই সাপটি সম্পর্কে নানা ধারণা দিয়ে তারপর পুনরায় সাপটিকে প্রকৃতিতে ছেড়ে দেন তিনি। সাপ সম্পর্কে মানুষের মারাত্মক ভয়-ভীতি দূর করতে কখনো কখনো নিজেকেও সাপের কামড় বা ছোবল সহ্য করতে হয়েছে তাকে। শেষাবধি উপস্থিত জনগণকে তিনি বোঝাতে পেরেছেন- ‘ভাইরা, দেখলেন তো! এই সাপের ছোবল বা কামড় খেয়েও মরিনি আমি। আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। সুতরাং, সাপকে কখনো মারবেন না। সাপ আমাদের প্রকৃতির বড় উপকারী প্রাণী। তাদের বাঁচতে সাহায্য করুন।’
ঘটনাচক্রের শেষাংশে এমন কথাগুলো বলে উপস্থিত জনগণের মধ্যে একটি ‘গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ’ পৌঁছে দেন তিনি। এই ম্যাসেজটি সংক্রমিত হয়ে ২০ জন থেকে বর্ধিত হয়ে ৪০ জনে কিংবা তারও ক্রমবর্ধিষ্ণু হয়ে দারুণ চাঞ্চল্যে পৌঁছে থাকে এক প্রান্তর থেকে অপর প্রান্তরে।সাপ হাতে আদনান।এ ঘটনা প্রসঙ্গে আদনান আজাদ আসিফ বলেন, আমি গবেষণা কাজের জন্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে রয়েছি। রোববার (১৪ জুলাই) আমাকে সকাল ৬টার সময় আমাকে আমার এক স্টাফ এসে বলে, গাছে সাপ দেখা যাচ্ছে। গাছে সাপ! বিষয়টি শুনেই বিছানা থেকে উঠে আমার বিছানার পাশে রাখা ‘স্নেইক হুক’ (সাপ ধরার শিক) নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলের দিকে যাই। ধারণা করি- গাছের সাপ মানেই ভালো প্রজাতির সাপ হবে।
তিনি আরো বলেন, আম গাছে থাকা সেই সাপটির আমি তখন শুধু পেটের অংশ দেখতে পাচ্ছিলাম। দেখি লোকজন জড়ো হয়ে বাঁশ-লাঠি নিয়ে সাপটিকে মেরে ফেলার জন্য একদম প্রস্তুত। আমি তাদের বলি- এ সাপটিকে কিছুতেই মারা যাবে না। পরে সেই সাপটি তখন এক গাছ থেকে অন্য গাছে চলাফেলা করতে শুরু করে। এভাবে তিন-চার ঘণ্টা কাটে। দুপুরের দিকে সাপটি গাছ থেকে নিচে নামার চেষ্টা করলেই তাকে কৌশলে ধরে ফেলি। সাপটি ধরার খবর শুনে সেই মানুষগুলো আবারো জড়ো হতে থাকে। উপস্থিত প্রায় অর্ধশত মানুষের সামনে সাপ সম্পর্কে মানুষদের সচেতন করার চেষ্টা করি।
সাপটির কামড় সম্পর্কে আদনান বলেন, সাপটিকে প্রকৃতিতে নিয়ে ছাড়তে গেলেই সে উল্টে এসে কামড় বাসায় আমার আঙুলে। আমি সঙ্গে সাঙ্গে হাত ঝাড়া দেই। সাপটি মাটিতে পড়ে যায়। তারপর লোক ধেয়ে আসে সাপটিকে মেরে ফেলার জন্য। তখন আমি সাপটিকে আড়াল করে রাখি তাকে বাঁচাবার জন্য। সে আবারও আমাকে কামড় বসায় এবং চলে যায়। তারপর উপস্থিত লোকজনকে বোঝাতে সক্ষম হই যে, ভয় পেয়ে সাপ আমাকে কাটলেও আমি দিব্বি বেঁচে আসি। সুতরাং, সাপ মারবেন না।
বন্যপ্রাণী গবেষক আদনান আজাদ আসিফ বলেন, এ বিরল প্রজাতির সাপটির বাংলা নাম ‘জলপাইরঙা দাঁড়াশ’। এর ইংরেজি নাম Indo-chinese Rat Snake বৈজ্ঞানিক নাম Ptyas korros। এরা নির্বিষ ও খুবই দ্রুতগতির সাপ। গাছেই থাকতে পছন্দ করে। প্রজনন মৌসুমে ৪-১২টি ডিম দেয়। পাখি, গিরগিটি, ইঁদুর, ব্যাঙ খায়। সিলেটের বনাঞ্চল, বান্দরবান ও সুন্দরবনে কদাচিৎ দেখা যায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্যপ্রাণি বিভাগের অধ্যাপক এবং বন্যপ্রাণী বিশারদ ও লেখক ড. মনিরুল এইচ খান বলেন, সব ধরনের সাপের প্রতি মানুষের প্রচণ্ড ভীতি রয়েছে। অথচ শতকরা ৯৫ শতাংশ সাপের কিন্তু কোনো প্রকার বিষ নেই। জনসাধারণের এই ভ্রান্ত-ভীতি দূর করতে পারলেই আমাদের প্রকৃতিতে সাপ বেঁচে থাকার সুযোগ পাবে এবং প্রতিবেশ ব্যবস্থায় সুশৃংখলা ফিরে আসবে।
‘সব সাপই কিন্তু আমাদের প্রকৃতির উপকার করে। বিষধর গোখরা বা কেউটে সাপ কিন্তু মানুষের বসতবাড়ির আশপাশেই থাকে। এদের প্রধান খাবার ইঁদুর। তাই তারা আমাদের বসতভিটার কাছাকাছি থাকে। তারা প্রচণ্ড ভয় বা আঘাত না পেলে কিন্তু কখনো ছোবল দেয় না।’
ঝালকাঠি আজকাল- হঠাৎ কোমরে ব্যথা কঠিন কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
- রোজা রাখলে কি সত্যিই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়?
- ইফতারে প্রাণ জুড়াবে সাবুদানার ডেজার্ট
- ডেস্কটপ কম্পিউটারের যত্ন নেবেন যেভাবে
- দ্বন্দ্ব ঘোচাতে সংগঠন গতিশীল করার কৌশল আ.লীগের
- রিটার্নের প্রমাণপত্র না ঝুলালে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা
- রেলের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না: রেলমন্ত্রী
- বিশেষ তারল্য সহায়তায় ঘাটতি কাটিয়ে উঠছে ইসলামি ধারার পাঁচ ব্যাংক
- ঈদ ইত্যাদির ভিন্ন পরিবেশনায় ২ ভাই
- বাংলাদেশে পাপেট সরকার দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: জয়
- অক্টোবরে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল উদ্বোধন
- অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়তে হবে- প্রধান বিচারপতি
- ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী
- ঈদ সামনে রেখে চাঙ্গা অর্থনীতি
- বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ : ওবায়দুল কাদের
- গাজায় শিশুহত্যা চলছে, কোথায় বিশ্বমানবতা
- ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত
- বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিলে বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে : শামীম এমপি
- ভেদরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত
- মাদারীপুরে ৫ ব্যবসায়ীকে ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা
- মাদারীপুরে বঙ্গবন্ধুর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন
- মঠবাড়িয়ায় জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালিত
- মঠবাড়িয়ায় পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার- ৫
- পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী পালন
- ভোলায় নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
- গৌরনদীতে ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
- বরিশালে কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ১৬
- বরিশালে অভিযান চালিয়ে ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- বরিশালে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
- প্রবাসী আয়ের প্রধান উৎস এখন আমিরাত-যুক্তরাজ্য
- কান্না থামাতে মুখ চেপে ধরলে মারা যায় শিশু নুসরাত
- জাতিসংঘ বাংলাদেশে জলবায়ু কর্মকান্ডে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে
- আল্লাহর কাছে মর্যাদা ও সওয়াবে নারী-পুরুষের সাম্য
- প্রধানমন্ত্রী যুবসমাজকে গড়ে তুলতে কর্মমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন
- রমজান উপলক্ষে ঝালকাঠিতে চলছে সুস্বাদু মোটা মুড়ি ভাজার উৎসব
- ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালিত
- একজন মুসলিম যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিবেন
- ঝালকাঠিতে ২ লাখ ৯৭ হাজার জাল টাকার নোটসহ গ্রেপ্তার ২
- তার ছাড়াই গ্রাহকরা পাবেন ব্রডব্যান্ড
- এন্ডোসকপি করাতে গিয়ে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
- রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা
- আম্বানিপুত্রের বিয়েতে বসবে তারার মেলা, থাকছেন যারা
- রেটলিস্ট হালনাগাদে মতামত জানতে চায় বিটিআরসি
- রোজার আগে যেসব প্রস্তুতি নেবেন
- অশিক্ষার অন্ধকারে কেউ থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
- চট্টগ্রামের সুগার মিলের আগুনে এক লাখ টন চিনি পুড়ে ছাই
- নলছিটিতে হত্যা মামলায় ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার-২
- যেকোনো গণিতের সমাধান করে দেবে অ্যাপ
- ব্যাংক খাতে সংস্কার, পথনকশার বাস্তবায়ন শুরু
- শবে বরাতের আমল ও ফজিলত