• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

‘ভালো লাগে না’ রোগের টিকা কী জানি না: প্রধানমন্ত্রী

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২১  

ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের নেতিবাচক সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবকিছুতেই কিছু ভালো লাগে না নামে একটা রোগে তারা ভোগেন। এই রোগের কী চিকিৎসা আছে আমি জানি না, এর জন্য কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে কিনা তাও জানি না।

বুধবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে করোনা ভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনা ভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে শুরু হয় কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রম।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আপনারা জানেন ভ্যাকসিন আসার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলো টেস্ট করা হয় এবং তারপর দেওয়া হয়। আমাদের দুর্ভাগ্য হলো— কিছু কিছু লোক থাকে সব কিছুতেই একটা নেতিবাচক মনোভাব তারা পোষণ করেন।  হয়তো তাদের কাছ থেকে মানুষ কোনো সাহায্য পায় না। কিন্তু কোনো কাজ করতে গেলে সেখানে বিরূপ সমালোচনা, মানুষের ভেতরে সন্দেহ ঢোকানো, মানুষকে ভয়-ভীতি দেওয়া— এই ধরনের কিছু কাজ কারো কারো অভ্যাস আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সবসময়ই তাদের কোনো কিছুই ভালো লাগে না, যত ভালো কাজই করেন। সবকিছুতেই কিছু ভালো লাগে না নামে একটা রোগে তারা ভোগেন। এই রোগের কী চিকিৎসা আছে আমি জানি না, এর জন্য কোনো ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে কিনা তাও জানি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু ভালো লাগে না— এই ধরনের রোগ কিন্তু পত্রিকা দেখলেই পাবেন। সেখানে সবকিছুতে একটা দোষ টোগানো (খোঁজা), এই ভ্যাকসিন আসবে কি আসবে না, আসলে পরে এত দাম হলো কেন, এটা চলবে কিনা, দিলে কী হবে— নানা প্রশ্ন তাদের।

সমালোচনাকারীদেরও টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যাই হোক, আমি চাই তারাও সাহস করে আসবেন, তাদেরও ভ্যাকসিন দিয়ে দেব। যাতে তারা সুরক্ষিত থাকেন। কারণ তাদের যদি কিছু হয় তাহলে আমাদের সমালোচনাটা করবে কে? সমালোচনার লোকও থাকা দরকার। থাকলে আমরা কিছু জানতে পারি, আমাদের কোনো ভুল-ভ্রান্তি হলো কিনা। সে জন্য তাদের আমি সাধুবাদ দিচ্ছি। তাদের সমালোচনা যত হয়েছে, আমরা কিন্তু তত বেশি দ্রুত কাজ করার একটা প্রণোদনা পেয়েছি।

দেশে প্রথম টিকা নেন কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর পর্যায়ক্রমে চিকিৎসক হিসেবে প্রথম টিকা নেন মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. আহমেদ লুৎফর মবিন, তারপর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশের সদস্য দিদারুল ইসলাম এবং সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদ।

বিগ্রেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদের টিকা গ্রহণ শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে বলেন, মন চাচ্ছে আমরা গিয়ে নিয়ে আসি। আগে আগে নিলে বলবে আগে নিজেই নিলো, কাউকে দিলো না। সবাইকে দিয়ে নেই তারপর আমি নেব।

প্রথম টিকা নেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তাকে জিজ্ঞেস করেন তোমার ভয় লাগছে না তো? জবাবে রুনু বলেন, না স্যার। এরপর প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুব সাহসী তুমি। তুমি সুস্থ থাকো, ভালো থাকো। আরও অনেক রোগীর সেবা করো, সেই দোয়া করি।

প্রথম দফায় টিকা গ্রহণকারী ৫ জনের সঙ্গেই কুশল বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। সবাইকে অভিনন্দন জানান তিনি।

প্রথম পর্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল থেকে ৬৯০ জনকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রথম মাসে ৬০ লাখ মানুষকে করোনা টিকা দেওয়া হবে।

অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত করোনা ভাইরাসের টিকা সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সরকার এবং বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী সেরাম ইন্সটিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড নামের টিকার তিন কোটি ডোজ ক্রয় করেছে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ভারতে উপহার হিসেবে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ টিকা এবং কেনা টিকার প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ টিকা গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ। পরবর্তী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে টিকা আসবে বাংলাদেশে।

অনলাইন রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) ছাড়া কেউ করোনা (কোভিড-১৯) টিকা পাবে না বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনা টিকার জন্য ডিজিটাল ভ্যাকসিন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ‘সুরক্ষা’তে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। www.surokkha.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে এই অনলাইন রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

ঝালকাঠি আজকাল