• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

বিদায়ী তাওয়াফ ও হাজীদের ঘরে ফেরা

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০১৯  

বিদায়ী তাওয়াফের মাঝ দিয়ে হজের সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হচ্ছে আজ। এবার নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার পালা। তবে যেসব হাজি এখনো মদিনায় যাননি, তারা পালাক্রমে মদিনা মোনাওয়ারা যাবেন। সেখান থেকে কেউ মদিনা এয়ারপোর্ট হয়ে সৌদি আরব ত্যাগ করবেন, অনেককেই আবার সড়কপথে মদিনা থেকে জেদ্দা হয়ে নিজ নিজ গন্তব্যে যাবেন।

বিদায়ি তাওয়াফ করা ওয়াজিব। হজরত রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হাজিরা বায়তুল্লাহর সঙ্গে শেষ সাক্ষাত না করে যেন ফিরে না আসে।’ (সহিহ মুসলিম)।

তাই আজ হাজিরা বিদায়ি তাওয়াফ করছেন, কেউ নফল তাওয়াফ করছেন। মিকাতের বাইরে যেসব হাজিরা এসেছেন, তাদের জন্য মক্কা মোকাররমা ত্যাগ করার সময় বিদায়ি তাওয়াফ করা ওয়াজিব। আর যারা মক্কা এলাকার ভেতরে থাকেন, তাদের জন্য বিদায়ি তাওয়াফ মোস্তাহাব।

ফরজ তাওয়াফ করার পর কেউ যদি নফল তাওয়াফ করে থাকেন, তাহলেও তার বিদায়ি তাওয়াফ আদায় হয়ে যাবে। তবে বিদায়ি তাওয়াফ আলাদাভাবে করে নেয়াই ভালো।

হজরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রহ.) একবার বিদায়ি তাওয়াফ করে এক অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে যান। এরপর তিনি আবার বিদায়ি তাওয়াফ আদায় করেন।

তাওয়াফ শব্দের অর্থ হলো প্রদক্ষিণ করা বা চক্কর দেয়া। বাইতুল্লাহ শরীফের চর্তুদিকে তাওয়াফ করা হলো হজ এবং ওমরার জন্য ফরজ রুকন। যা অকট্যভাবে পালন করতে হবে।

আল্লাহ তায়ালার নিকট বাইতুল্লাহর চর্তুদিকে তাওয়াফ করা আর তালবিয়া পাঠ এতই পছন্দনীয় যে, আল্লাহ তায়ালা প্রতিদিন বাইতুল্লাহ শরীফের ওপর ১২০টি রহমত নাজিল করেন। এরমধ্যে শুধুমাত্র তাওয়াফকারীদের জন্য ৬০টি রহমত নির্ধারণ করেছেন। তাওয়াফের রয়েছে কিছু আহকাম ও শর্ত। যা তুলে ধরা হলো-

তাওয়াফের আহকাম:
তাওয়াফের চক্কর পূর্ণ করা। তাওয়াফের স্থানেই তাওয়াফ করা। অর্থাৎ বাইতুল্লাহ শরীফের বাইরে মসজিদে হারামের ভেতরে তাওয়াফ করা।

তাওয়াফ করতে হবে নিজেকে। কোনো কিছুর ওপর সাওয়ার হয়ে হলেও। অর্থাৎ যে ব্যক্তি তাওয়াফের নিয়ত করবে তাওয়াফ তাকেই করতে হবে। আর হেঁটে তাওয়াফে অক্ষম হলে যানবাহন বা সাওয়ারিতে আরোহন করে তাওয়াফ করা।

তাওয়াফের শর্ত:
তাওয়াফের জন্য ৬টি শর্ত রয়েছে। এগুলো মধ্যে ৩টি শর্ত সর্বাবস্থায় প্রযোজ্য। আর ৩টি শর্ত শুধুমাত্র হজের ফরজ রুকন তাওয়াফে জিয়ারাতের জন্যই প্রযোজ্য।

সর্বাবস্থায় পালনীয় ৩ শর্ত:
মুসলমান হতে হবে। তাওয়াফের নিয়ত অর্থাৎ তাওয়াফের ইরাদা বা ইচ্ছা থাকতে হবে।
তাওয়াফ মসজিদে হারামের মধ্যে হতে হবে।

হজের জন্য পালনীয় ৩ শর্ত:
তাওয়াফে জিয়ারত নির্দিষ্ট সময়ে হওয়া। আর তা হলো ১০ জিলহজ সূর্যোদয়ের পর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত। তাওয়াফ ইহরামের পরে হওয়া। আর উকুফে আরাফা অর্থাৎ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের পরে হওয়া (৯ জিলহজ)।

আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে তাওয়াফের আহকাম ও শর্তগুলো যথাযথ পালন করে সঠিক ও সুন্দরভাবে তাওয়াফ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঝালকাঠি আজকাল