• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

ফের ২৩ জেলা বন্যাকবলিত হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২০  

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী আগামী সপ্তাহে নতুন করে ২৩ জেলায় বন্যা দেখা দেবে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এ কথা জনান। দেশের মধ্যে ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা দেখা দেয়। গত ২৬ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত ছিল এই বন্যা।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র থেকে যে সতর্কীকরণ করা হয়েছে, এতে বলা হয়েছে, ১১ জুলাই থেকে পানি বাড়বে, ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, পদ্মা ও মেঘনা নদীর পানি বাড়বে। সেটা এবার ২৩টি জেলায় বিস্তৃতি লাভ করবে, ২৩ জেলার মানুষ বন্যাকবলিত হবে। বন্যার স্থায়িত্ব দীর্ঘায়িত হবে। এজন্য আমরা প্রত্যেক জেলায় ২০০ টন চাল, ৫ লাখ টাকা, ২ লাখ টাকা শিশুখাদ্যের জন্য, ২ লাখ টাকা গবাদিপশুর জন্য এবং ২ হাজার শুকনা খাবারের প্যাকেট গতকালই আমরা পাঠিয়ে দিয়েছি। যাতে পানি বাড়লেও মাঠ প্রশাসন ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে যেন জনগণের পাশে দাঁড়াতে পারে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, গইবান্ধা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, জামালপুর, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, ফরিদপুর, মাদারীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, নাটোর ও নওগাঁ জেলায় বন্যা দেখা দেবে। এই ২৩ জেলায় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ কঠিন সময় মোকাবিলা করছে জানিয়ে এনামুর রহমান বলেন, আমরা আম্ফান মোকাবিলা করলাম, এরপরই আমরা ২৬ জুন থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি বন্যা মোকাবিলা করছি। ৭ জুলাই থেকে ১২টি জেলায় অনেকটা স্বাভাবিক পরিস্থিতি চলে এসেছে।

সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে সভা করার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বন্যায় বেশি কবলিত হবে, মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসতে হবে, সেজন্য আমরা নির্দেশনা দেই তারা যেন বেশি বেশি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করে। কারণ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ চলছে, এই পরিস্থিতিতে যাতে সামজিক দূরত্ব বজায় রাখা যায়। মাস্ক ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, স্কুল-কলেজগুলোকে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তর করে সেখানে সব ধরনের ব্যবস্থা করা হবে। কতটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলো এবং সেখানে কতজন আশ্রয় নিয়েছেন সে তালিকা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।

ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বন্যাকবলিত এলাকার জনগণকে আমরা আশ্বস্ত করতে চাই আপনারা আতঙ্কিত হবেন না, প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন, তিনি সব সময় আপনাদের খবর রাখেন এবং আমাদের নির্দেশ দেন। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত আছে। কাজেই কোনো অবস্থায়ই খাবারের কোনো সঙ্কট হবে না।

ঝালকাঠি আজকাল