• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

পিপিই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যে জাতিসংঘ প্রতিনিধির প্রশংসা

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২০  

 


করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় পিপিই নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপো।

বুধবার করা এই টুইটে তিনি বলেন, ভালো বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। পিপিই শুধু ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রয়োজন যারা করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। অন্যকেউ পরলে আমরা তাদের করোনা রোগীকে চিকিৎসা করতে পাঠিয়ে দেব। 

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি মিয়া সেপো এ বিষয়টিকে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালকের নজরে আনেন। 

এরআগে গত ৩১ মার্চ গণভবন থেকে ৬৪ জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) ব্যবহার নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওইসময় ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া অন্যদের পিপিই পরতে নিষেধ করেন তিনি। 

এ সময় হেসে মজা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘পিপিই সবার জন্য না। শুধুমাত্র যারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সেবা করবে তাদের জন্য। আর এটা দরকার আমাদের নার্সদের জন্য, ডাক্তারদের জন্য। এখন সবাই যদি পরে বেড়াবে তাহলে সবাইকে পাঠায় দিবো রোগীর সেবা করতে। এখন যাকেই পরা দেখব তাকেই রোগীর সেবা করতে পাঠায় দিবো। তা ছাড়া কি করা যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পিপিই সাধারণ কারও ব্যবহার করার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু এখন দেখি অনেকেই যত্রতত্র এটা পরে বেড়াচ্ছেন। এটা কেন পরে বেড়াচ্ছে আমি ঠিক জানি না। তবে আমি মনে করি এটা ভালোভাবে প্রচার করা দরকার। ঘরে-বাইরে, সাধারণ কাজ যারা করবে তাদের এসব পরার প্রয়োজন নেই। তারা এমনিতে একটা গাউন পরে নিতে পারে। কাপড় দিয়ে বানাবে, ধোবে আবার ব্যবহার করবে।’

‘রোগীর সেবা যারা করছে তারাই পিপিই পাচ্ছে না কিন্তু ঘরে-বাইরে সবাই এটা পরে ঘুরে বেরাচ্ছে। আমার মনে হয় এটা থেকে বিরত রাখা একান্তভাবে দরকার’, যোগ করেন শেখ হাসিনা।

একই অনুষ্ঠানে পিপিই পরার নিয়াবলি নিয়ে স্বাস্থ্যবিভাগকে উদ্যোগ নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কোন ড্রেস কোন সময় পরতে হবে এ সংক্রান্ত লিফলেট দিয়ে প্রচারণা দরকার। যারা পরতে চায় তারা ডাক্তারদের মতো গাউন পরতে পারে।’

এরআগে গত বছরের শেষের দিকে চীনে উহান শহরে অজ্ঞাত ভাইরাসের সন্ধান পায় চিকিৎসকরা। যা পরবর্তীতে করোনা ভাইরাস হিসেবে সনাক্ত হয়। ক্রমশ এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। 

গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। এরপর ১৮ মার্চ প্রথম ব্যক্তির মৃত্যুর কথা জানায় আইইডিসিআর। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুইজন। বাংলাদেশে এ নিয়ে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ জনে। আর মারা গেছেন ৬ জন। 

এছাড়াও বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজার ছুঁইছুঁই করছে। এরমধ্যে কেবল ইউরোপেই সংখ্যাটা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে।

ঝালকাঠি আজকাল