• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

পিপিই উৎপাদন ও রপ্তানি করতে চায় বিজিএমইএ

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২০  

বিশ্বমানের চতুর্থ ধাপের পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) তৈরির পাশাপাশি বিদেশে রপ্তানির পরিকল্পনা নিয়েছে তৈরি পোশাক-শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

আগামী ছয় থেকে এক বছরের মধ্যে পিপিই সেক্টরের রপ্তানি বাজারে প্রবেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছে সংগঠনটি। বর্তমানে বিশ্বমানের পিপিই’র ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে মাত্র ১১টি প্রতিষ্ঠান পিপিই তেরি করছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান যোগ হচ্ছে এই সেক্টরে। বাংলাদেশ যদি শুরুতে ওই বাজার ধরতে পারে তাহলে পোশাক-শিল্প খাত আবারো ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হবে বলে মনে করছেন পোশাক খাত সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, বর্তমানে বিজিএমইএ কমপক্ষে ২০ হাজার পিপিই দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছে।  মূলত আমরা যা বানাচ্ছি প্রথম স্তরের পিপিই।  কিন্তু করোনার চিকিৎসা কাজে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজন তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের পিপিই।  আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য বিশ্বমানের ওই ধরনের পিপিই তৈরি করা। যা বিদেশে রপ্তানি করা যায়। আমরা ইতিমধ্যে আইএলও, ডব্লিউএইচও, ডব্লিএফপি, ইউনিসেফ এবং অন্যান্য সংস্থার সাথে আলোচনা করেছি।

তিনি বলেন, তাদের কাছে মানসম্মত পিপিই উৎপাদন ও আমাদের উৎপাদন ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সহায়তা চেয়েছি। তারা প্রযুক্তিগতসহ এ সেক্টরে মার্কেট তৈরিতে সহায়তা করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।  এই প্রচেষ্টা ইতিমধ্যে সম্পন্ন।  তাদের সহায়তায় আগামী ৬ মাস থেকে এক বছরের মধ্যে এই সেক্টরকে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় উন্নত করতে পারবো এবং চতুর্থ ধাপের পিপিই তৈরি করার মতো ক্ষমতা ও জ্ঞান অর্জন করবে আমাদের গার্মেন্টস খাত।

বিজিএমইএ সূত্রে আরো জানা যায়, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভাইরাসের প্রকোপটি যেহেতু সত্যিই বেড়েছে।  সেখানে বাংলাদেশে পিপিই স্যুটগুলির অভাব রয়েছে।  এটি কেবল চিকিৎসক এবং নার্সদের নয়, সব হাসপাতালের কর্মীদের প্রয়োজন। বর্তমান পরিস্থিতিতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান পিপিই চাইছে। পিপিই স্যুটগুলি স্থানীয়ভাবে আমাদের পোশাক উৎপাদকদের দ্বারা তৈরি হয় না।  বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা অনুযায়ী মানসম্মত পিপিই ফ্যাব্রিক আমদানি করতে হয় মূলত চীন থেকে। তদুপরি চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য পিপিই স্যুট তৈরি করতে হয় তবে কারখানাগুলিকে সেলাইসহ কিছু বিশেষ যন্ত্রপাতি দরকার হবে। কারখানায় জীবানুমক্ত পরিবেশও বজায় রাখতে হবে।  প্রশিক্ষণও প্রয়োজন হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেকোনও কারখানার জন্য কমপক্ষে ৬ মাস বা তার বেশি সময় লাগবে।

সূত্র আরো জানায়, বর্তমানে বিজিএমইএ কমপক্ষে ২০ হাজার পিপিই দেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করছে। মূলত আমরা যা বানাচ্ছি প্রথম স্তরের পিপিই। কিন্তু করোনার চিকিৎসা কাজে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজন তৃতীয় ও চতুর্থ স্তরের পিপিই।  আমরা যা তৈরি করছি তা বিশ্বমানের নয়। এটি মূলত শতভাগ পানিরোধী এবং পেশাদার পিপিই’র কাছাকাছি।  বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ ধরনের পিপিই ব্যবহার করে চিকিৎসা দিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ভয় পাচ্ছে।  তারা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম এমন পিপিই আশা করে। আমাদের তৈরিকৃত পোশাকগুলি ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (ডিজিএইচএস) অনুমোদন দিয়েছে। বর্তমানে আমাদের অনেক সদস্য এ ধরনের পোশাক (লেভেল-১) দান করছেন। আমরা আরো কিছু ফ্রেবিক্স কেনার পরিকল্পনা করছি।

তবে বিজিএমইএ’র চূড়ান্ত লক্ষ্য বিশ্বমানের পিপিই তৈরি করে এবং বিদেশে রপ্তানি করা।  যা অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে করতে চায় সংগঠনটি।

 

ঝালকাঠি আজকাল