• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

পরস্পরের সালাম শুভেচ্ছা বিনিময়ের শ্রেষ্ঠ প্রথা

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

আরবি শব্দ ‘সালাম’-এর অর্থ ‘শান্তি কামনা’। ‘ইসলাম’ শব্দের অর্থ ‘শান্তি’। সালাম ইসলাম শব্দের সঙ্গে সম্পর্কিত। ইসলামে মুসলমানের পরস্পর সাক্ষাতের সময় প্রথমে একে অন্যকে সালাম দেওয়া হচ্ছে একটি রীতি। একজন সালাম করলে অন্যজনকে এর জবাবে পাল্টা সালাম দিতে হয়। এখন যদি এক মুসলমান অন্য মুসলমানকে শুধু সালাম শব্দটি বলে সালাম করে তবে তা ইসলামী তরিকা মোতাবেক সালাম হবে না। সালামের সময় প্রথমে যে সালাম করে তাকে বলতে হয়, ‘আসসালামু আলাইকুম’। এর অর্থ ‘আপনার/তোমার ওপর শান্তি বর্ষিত হোক’। এর জবাবে অন্যজনকে বলতে হয়, ‘ওয়া লাইকুমুস সালাম’- ‘আপনার/তোমার ওপরও শান্তি বর্ষিত হোক’।

সালাম দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার ব্যাপারে হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা ইমান না আনা পর্যন্ত বেহেশতে যেতে পারবে না। আর তোমাদের ইমান পরস্পরকে না ভালোবাসা পর্যন্ত পূর্ণতা লাভ করবে না। আর আমি কি তোমাদের এমন একটি কাজের কথা বলব না যা করলে তোমাদের মধ্যে ভালোবাসার সৃষ্টি হবে। তা হলো, তোমরা তোমাদের মধ্যে ব্যাপকহারে সালামের প্রচলন করবে।’ মুসলিম, আবু দাউদ।

সালাম দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে বিধায় নিজেদের ঘরের লোকজনকে সালাম দেওয়ার ব্যাপারে ইসলামে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। এ সম্পর্কে আল কোরআনে বলা হয়েছে, ‘যখন তোমরা নিজেদের ঘরে প্রবেশ কর, তখন (ঘরের) স্বজনদের সালাম দেবে। এটা অভিবাদন হিসেবে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত হয়েছে, যা কল্যাণময় ও পবিত্র।’ সূরা নূর, আয়াত ৬১। এ প্রসঙ্গে হাদিসও রয়েছে। হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘হে বৎস! যখন তুমি তোমার পরিবার-পরিজনের কাছে যাবে, তখন তাদের সালাম করবে। এতে তোমার ও তোমার পরিবারবর্গের জন্য ভালো হবে।’ তিরমিজি। অনেক পিতা-মাতা ঘরে প্রবেশের সময় উপস্থিত ছেলেমেয়েদের সালাম দিতে লজ্জাবোধ করেন। তা ঠিক নয়। কয়েক দিন নিজের মনের ওপর জোর খাটিয়ে সালাম দিলেই এ লজ্জা দূর হয়ে যাবে।
সালাম করার সময় আসসালামু আলাইকুম বলা হয়। এর সঙ্গে ওয়া রহমাতুল্লাহ অর্থাৎ শান্তির সঙ্গে রহমতও বর্ষিত হোক বলা ভালো। এরপর বারাকাতুহু অর্থাৎ বরকতসহ যোগ করে সালাম করলে তা আরও ভালো। এ সম্পর্কে হজরত ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘একবার এক ব্যক্তি রসুলুল্লাহর কাছে এসে বললেন, আসসালামু আলাইকুম। তিনি তার সালামের জবাব দিলে সেই লোকটি বসে পড়েন। তখন রসুলুল্লাহ বললেন, সে দশটি নেকি পেয়েছে। এরপর এক ব্যক্তি এসে বললেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ। তিনি তার সালামের জবাব দিলে সেই লোকটি বসে পড়েন। তখন রসুলুল্লাহ বললেন, সে ২০টি নেকি পেয়েছে। এরপর আরেক লোক এসে বললেন, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। তিনি তার সালামের জবাব দিলে সেই লোকটিও বসে পড়েন। তখন রসুলুল্লাহ বললেন, সে ৩০টি নেকি পেয়েছে।’ আবু দাউদ, তিরমিজি।

ঝালকাঠি আজকাল