• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

নিম্নমানের কাজে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা : তাজুল ইসলাম

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৬ জুলাই ২০২০  

অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে আর নিম্নমানের কাজ করতে দেয়া হবে না জানিয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, নিম্নমানের কাজের সাথে জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সোমবার (৬ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ কক্ষ থেকে এক অনলাইন সভায় যোগ দিয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন। দেশের ১২ জেলার বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের বিভিন্ন কার্যক্রমের খোঁজ নিতে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীদের সাথে অনলাইনে সভা করেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, দেশের রাস্তাঘাট, সুপেয় পানি, স্যানিটেশনসহ ছোট বা বড় যেকোনো প্রকল্প নেয়া হোক তা মানসম্মত এবং টেকসই হতে হবে। মানুষকে উন্নয়নের সুফল দিতে হলে যেকোনো কাজ টেকসই এবং কোয়ালিটিসম্পন্ন করতে হব।

গুণগত মানসম্পন্ন কর্মকাণ্ড নিশ্চিত করতে গিয়ে কেউ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হলে মন্ত্রণালয় তা শক্ত হাতে মোকাবিলা করবে জানিয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের উন্নয়নে আর কোনো নিম্নমানের কাজ করতে দেয়া হবে না। কেউ যদি নিম্নমানের কাজের সাথে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেকোনো ধরনের ঝুঁকি ও সমস্যার সম্মুখীন হলে তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

স্থানীয় সরকার বিভাগ দেশের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে নিবিড়ভাবে জড়িত— উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছরই বর্ষাকালে অতিবর্ষণ এবং উজান থেকে পানি এসে অনেক চরাঞ্চল তলিয়ে যায়। এতে বাড়িঘর, ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহত হয়। এসব প্রতিকূলতা মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান যোগ দেন।

বন্যা মোকাবিলা সংক্রান্ত কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয়ের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ঢাকাস্থ প্রধান কার্যালয় এবং বন্যাকবলিত সকল জেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে বলে স্থানীয় সরকার বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট এবং পানিভর্তি জেরিক্যান বিতরণের মাধ্যমে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি বগুড়া, কুড়িগ্রাম ও সিরাজগঞ্জ জেলার বন্যাকবলিত এলাকায় অস্থায়ী নলকূপ স্থাপন হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহের জন্য ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট প্রস্তুত রেখেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর। চাহিদা ও পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় মালামালও মজুদ আছে।

বন্যার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথে ডুবে যাওয়া নলকূপ জীবাণুমুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্লিচিং পাউডার জেলা ও উপজেলায় রয়েছে বলেও সভায় জানান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের কর্মকর্তারা।

ঝালকাঠি আজকাল