• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদার চার্জ শুনানি ৪ ফেব্রুয়ারি

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারি ২০১৯  

 বিএনপি’র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় চার্জ শুনানির জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ফের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

সোমবার (২১ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল কবীর অংশিক শুনানি শেষে ৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

গত ১৩ জানুয়ারি মামলার আসামি ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের পক্ষে চার্জ শুনানি শেষ না হওয়ায় সোমবার শুনানির জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু আজও শুনানি শেষ করা সম্ভব হয়নি।

কারা কর্তৃপক্ষ দুপুর সাড়ে ১২টায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে হাজির করেন। তবে আদালত কক্ষে তাকে চুপচাপ বসে থাকতে দেখা যায়।

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানিতে এসে বিচারককে আদালতের বিষয়ে অসন্তোষ জানিয়েছিলেন খালেদা জিয়া।

নাইকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন।

এই মামলায় পলাতক রয়েছেন তিন আসামি। তারা হলেন- সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহা-ব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

মামলার ১১ আসামির মধ্যে সাবেক সচিব শফিউর রহমান ২০১৮ সালের ৫ মে মারা যাওয়ায় বর্তমানে আসামি সংখ্যা ১০ জন।

দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান ২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন। নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেন হাইকোর্ট।
কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।

ঝালকাঠি আজকাল