• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

নতুন ভাইরাস আবিষ্কার, ভালো হবে সব ধরণের ক্যান্সার!

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৯  

বিজ্ঞানীরা ক্যান্সার নিরাময়ে নতুন এক ধরনের ভাইরাস আবিস্কার করেছেন। এর মাধ্যমে যে চিকিৎসা হবে তার নাম দেয়া হয়েছে সিএফ-৩৩। বিজ্ঞানীদের দাবি, উল্লিখিত চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে সব ধরনের ক্যান্সার নিরাময় সম্ভব।

 দৈনিক টেলিগ্রাফের অনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইউমান ফং এই চিকিৎসা পদ্ধতি তৈরির কাজটি করেছেন। আর পদ্ধতিটি তৈরির কাজটি করেছে অস্ট্রেলিয়ার একটি নামকরা বায়োটেক কোম্পানি। যার নাম ইমুজেনে।
 
উদ্ভাবকরা আশা করছেন আগামী বছর থেকে স্তন ক্যান্সার থেকে শুরু করে সব ধরনের ক্যান্সার আক্রান্তদের দ্বারা এই চিকিৎসা পদ্ধতির পরীক্ষা চালানো হবে।  

আগামী বছর থেকেই তৃতীয় স্তরের স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী ছাড়াও মেলানোমা, ফুসফুস, মূত্রাশয়, পাকস্থলী এবং অন্ত্র ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের দ্বারা ‘বাসকেট স্টাডি’ নামের এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে ক্যান্সার নিরাময়ের পরীক্ষা চলানো হবে।

তবে বিজ্ঞানীরা ইঁদূরদের ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা পদ্ধতি সফলভাবে প্রয়োগ করলেও সেটা যে মানুষের ক্ষেত্রেও সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। কিন্তু গবেষণা দলের প্রধান অধ্যাপক ফং অবশ্য আশাবাদী। তিনি বলছেন, মানুষের শরীরেও সফলতা পাবে এই চিকিৎসা পদ্ধতি।

এই ভাইরাস, যা সাধারণত সর্দি সৃষ্টি করে, মার্কিন বিজ্ঞানীদের দ্বারা তা মস্তিষ্কের ক্যান্সারের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়েছিল। তবে কিছু রোগীর ক্যান্সার পুনরায় হওয়ার আগে তা কয়েক বছর ধরে অদৃশ্য হয়ে যায়, আবার কারো ক্ষেত্রে টিউমারগুলো যথেষ্ট সঙ্কুচিত হতে দেখা গেছে।

একইভাবে, ইমিলজিক বা টি-ভেক নামে পরিচিত ঠান্ডা কালশিটে ভাইরাসের একটি রূপ মেলানোমার চিকিৎসা করতে সক্ষম বলে প্রমাণিত হয়েছিল, কারণ এটি শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থায় টিউমার এবং মেলানোমা কোষগুলো সনাক্ত করতে এবং ধ্বংস করতে সহায়তা করে।

অধ্যাপক ফং বলেন, ‘এ ধরনের ভাইরাস ১৯৯০ সাল থেকে ক্যান্সারের ভাইরাস মেরে ফেলার কাজে ব্যবহৃত হতো বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে তখন এটা একটা বড় ভয় ছিল যে এসব ভাইরাস বিষাক্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুও ঘটাতে পারে।’

তিনি আরো বলেন, ‘সব কিছুর মূলে একটা সমস্যা ছিল। আর তা হলো আপনি যখন এই ভাইরাসকে যথেষ্ট বিষাক্ত বানিয়ে ক্যান্সারের ভাইরাস মেরে ফেলার জন্য মানুষের শরীরে ব্যবহার করবেন তখন সেই বিষাক্ত ভাইরাস মানুষের মৃত্যুর আশঙ্কাও তৈরি করে।’

অধ্যাপক ইউমান ফং জানালেন, তারা যে চিকিৎসা পদ্ধতিটি আবিস্কার করেছেন তার মাধ্যমে আগের এই শঙ্কা আর থাকছে না। ওই ভাইরাসের সঙ্গে অন্যান্য ভাইরাসের মিশ্রণের মাধ্যমে তারা এমন একটি পদ্ধতি তৈরি করেছেন যাতে ক্যান্সারের ভাইরাস নির্মূল হবে কিন্তু মানুষের কোনো ক্ষতি করবে না।

ঝালকাঠি আজকাল