• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

দিনভর তল্লাশি শেষে ৫২ সোনার বার মিলল বোর্ডিং ব্রিজে

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারি ২০২০  

গোপন তথ্য ছিল বাংলাদেশ বিমানের দুবাই থেকে আসা একটি উড়োজাহাজে অবৈধ সোনার বার থাকার। সেই অনুযায়ী চট্টগ্রাম কাস্টমস দল সকালেই প্রস্তুতি নিয়ে ফ্লাইটের অপেক্ষায় থাকে। রবিবার সকাল পৌনে ৯টায় বিমানের নির্ধারিত ফ্লাইট চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। যাত্রীরাও নামতে শুরু করে কিন্তু কোথাও সেই কাঙ্খিত সোনার বার খোঁজ মিলছিল না। উড়োজাহাজের টয়লেট থেকে শুরু থেকে যাত্রীর ব্যাগ, সিট তন্নতন্ন করেও খোঁজ মিলছিল না। পরে সন্দেহে থাকা উড়োজাহাজের টয়লেটের কমোড খুলতে গেলে বাঁধা আসে বাংলাদেশ বিমানের পক্ষ থেকে; কারণ এই উড়োজাহাজটি একেবারে নতুন বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার। 

এরপর সকাল থেকে সেই ফ্লাইট হ্যাঙ্গারে দাঁড়িয়ে রাখানো হয়। সকাল গড়িয়ে বিকাল হলো। ঢাকা থেকে উড়িয়ে আনা হলো বিমানের প্রকৌশল দল। তারা বিমানের টয়লেট খুলে কিছুই পেল না। পরে তল্লাশির একপর্যায়ে বোর্ডিং ব্রিজের শুরুতে এককোনায় মিলল সেই সোনার বার। একে একে খুলে পাওয়া গেলো ৫২টি অবৈধ সোনার বার। সেগুলোর ওজন ছয় কেজি এবং বাজারমূল্য তিন কোটি ৬০ লাখ টাকা। তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে সকালে ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে গেল রাতে।

জানতে চাইলে বিমানবন্দরে কর্মরত কাস্টমসের উপ কমিশনার রিয়াদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তল্লাশিতে উড়োজাহাজের মধ্যে সম্ভাব্য সবস্থানে সেই সোনার বারের খোঁজ মিলছিল না। কিন্তু সন্দেহের তালিকায় থাকা উড়োজাহাজের টয়লেট আমরা খুলে দেখতে পারছি না। এতে শতভাগ নিশ্চিত হওয়াও যাচ্ছে না। পরে বিমান প্রকৌশলীরা টয়লেট খুলে নিশ্চিত হন সেখানে সোনার বার নেই।

এরপর চুড়ান্ত তল্লাশির একপর্যায়ে উড়োজাহাজ থেকে যাত্রী উঠানামার জন্য ব্যবহৃত বোর্ডিং ব্রিজের শুরুতে সেই কাঙ্খিত সোনার বার পাওয়া যায়। যেহেতু কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি তাই প্রথমে আমরা বিভাগীয় মামলা করবো এরপর জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিটি গঠন হবে। এরপর আইনী পদক্ষেপ নেয়া হবে-যোগ করেন ওই কাস্টমস কর্মকর্তা রিয়াদুল ইসলাম।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিমানের চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক আরিফুজ্জামান খান বলেন, কাস্টমস আমাদের উড়োজাহাজের টয়লেট খুলতে চেয়েছিল কিন্তু ড্রিমলাইনার রাজহংস হচ্ছে নতুন। ফলে নিজস্ব প্রকৌশলী ছাড়া খোলার সুযোগ নেই। পরে ঢাকা থেকে বিমানের পরিচালক (প্রকৌশল) চট্টগ্রাম এসে টয়লেট খুলে নিশ্চিত হন সেখানে কোন সোনার বার নেই। এসময় গোয়েন্দা সংস্থা, বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক উপস্থিত ছিলেন। পরে বোর্ডিং ব্রিজ থেকে সোনার বার পাওয়া যায়। এরপর উড়োজাহাজটি রাত আটটা ২০ মিনিটে নির্ধারিত সময়ে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে দুবাইয়ের উদ্দেশ্য রওনা দেয়। 

ঝালকাঠি আজকাল