• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

ত্বকের উন্নত চিকিৎসায় ‘ক্রায়োসার্জারি’

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৯  

আমরা প্রায় সময় বিভিন্ন রকমের ত্বকের সমস্যায় ভুগে থাকি যেমনঃ ব্রণ,আচিল,মেছতা,টিউমার বা সিস্ট ইত্যাদি।মাঝে মাঝে এগুলোয়ামাদের অসহ্য লাগে একদম।টিনেজাররা বেশি এই সমস্যায় ভুগে থাকে।সাধারণত ত্বকের ব্যাপারে একটু যত্নবান হলেই এ সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠা যায়।কিন্তু যদি এ সমস্যাগুলো ব্যাপক আকার ধারণ করে তখন আমাদের একটু এডভান্সড ট্রিটিমেন্ট প্রয়োজন হতে পারে।তেমন একটি যুগান্তকারি চিকিৎসা পদ্ধতি হল ‘ক্রায়োসার্জারি (Cryosurgery)’।

প্রচন্ড গরমে বা উত্তাপে আমাদের সেল ডেমেজ হয় অর্থাৎ আমাদের কোষগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয় বা মারা যায় এ একথা আমরা সবাই জানি।আবার প্রচন্ড ঠান্ডায়ও একটি ঘটনা ঘটতে।

আর এই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়েই ১৯০৭ সালে ড.ইরভিল কুপার অনোল্ড লি –প্রথম ক্রায়োসার্জারি প্রয়োগ করেন।ক্রায়োসার্জারি শুধু আমাদের মেছতা,অ্যাকনি এসব সমস্যা সমাধান করে তা কিন্তু নয়; বৃহত্তর পরিসরে আরো অনেক চিকিৎসায়ও ক্রায়োসার্জারি বেশ ফলপ্রসু।যেমনঃ

  1. Liver cancer
  2. Prostate cancer
  3. Lung cancer
  4. Kidney cancer
  5. Breast cancer
  6. Bone cancer
  7. Cervical cancer

এমনকি ডেন্টিস্ট্রিতেও এ পদ্ধতি অহরহ ব্যবহার করা হয়।

যেসব ক্ষতিগ্রস্থ ট্যিস্যুতে ক্রায়োসার্জারি করা হবে সেখানে সরাসরি তরল নাইট্রোজেন(N2) প্রয়োগ করা হয়।সে সময় N2  এর  তাপমাত্রা খুবই কম থাকে যা হল -196’ C ।

N2 ছাড়াও Ag/Co2 ব্যবহার করা হয়।কোষগুলো হিমায়ির হলে আবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় নেয়া হয়।এরপর আবার হিমায়িত কোষগুলোকে ধীরে ধীরে গলতে দেয়া হয়।এই চক্রটি কয়েকবার করে করা হয়।২  ঘন্টার মধ্যে স্থানটিতে inflam হয়,লাল হয়ে ত্বক ফুলে যায় এবং cell damage হয়ে যায়।

আমাদের হুয়াইট ব্লাড সেল বা শ্বেত রক্তকণিকা ডেমেজ সেলগুলো শোষণ করে নেয় এবং ধীরে ধীরে জায়গাটি সুস্থ কোষ দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়ে যায়।

অন্যসব সার্জারির তুলনায় ক্রায়োসার্জারির সুবিধা অনেক বেশীঃ

  • ব্যাথা কম হয়
  • রক্তক্ষরণ কম হয়
  • খরচ কম পড়ে
  • ঝামেলা কম

যাদের ক্ষেত্রে বড় ধরণের সার্জারি করা সম্ভব নয় যেমন; বয়ষ্কদের জন্য কিংবা যারা রেডিওথেরাপির ধকল সহ্য করতে পারেন না তাদের জন্য ক্রায়োসার্জারি খুবই সুবিধাজনক একটি পদ্ধতি।এই চিকিৎসায় ভাল ফল পাওয়া যায় তাই আগের মত নতুন ত্বকও ফিরে পাওয়া যায়।

তবে ক্রায়োসার্জারির কিছু সাইড ইফেক্ট  আছেঃ

  • হালকা ব্যাথা হতে পারে
  • ফোস্কা পড়তে পারে
  • ইনফেকশন হতে পারে
  • অল্প রক্তক্ষরণ হতে পারে

তবে সঠিকভাবে চিকিৎসা সম্পন্ন করা গেলে এসব সমস্যা অনেক ক্ষেত্রেই হয়না।এই পদ্ধতি প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে ঠান্ডার মাত্রা নির্ভর করে ক্ষতের আয়তন,এর ধরণ,গভীরতা ও অবস্থানের উপর।

যাদের ক্ষেত্রে ক্রায়োসার্জারি করা যাবেনাঃ

১/যাদের ঠান্ডায় সংবেদনশীলতা বেশী

২/ক্যান্সার আছে এমন ত্বকে

৩/যাদের ক্ষত দেরীতে শুকায় বা ডায়াবেটিক আছে

ঝালকাঠি আজকাল