• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

ডাটাবেজের মাধ্যমেই রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট ঠেকানোর সিদ্ধান্ত সরকারের

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯  

রোহিঙ্গা ডাটাবেজ দিয়েই এবার রোহিঙ্গাদের এনআইডি এবং পাসপোর্ট পাওয়া ঠেকানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ২০১৭ সালে কক্সবাজারের টেকনাফ এবং উখিয়ার ক্যাম্পে সম্পন্ন করা ৮ লাখ রোহিঙ্গার নিবন্ধন সংযুক্ত করা হয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং নির্বাচন কমিশনের এনআইডি সার্ভারের সাথে। তবে কৌশলে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতির বাইরে থাকা তিন লাখের বেশি রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশী পাসপোর্ট এবং এনআইডি নেয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অবশেষে পাসপোর্ট অধিদপ্তর এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের এনআইডি উইংয়ে যুক্ত করা হয়েছে রোহিঙ্গা ডাটাবেজ। যে কারণে এখন থেকে পাসপোর্ট কিংবা এনআইডি আবেদনকারীর প্রথমেই ফিঙ্গার প্রিন্ট পরীক্ষার জন্য দেয়া হবে রোহিঙ্গা ডাটাবেজে বা বিশেষ সফটওয়্যারে। সেখান থেকে পজেটিভ রিপোর্ট পাওয়ার পরই শুরু হবে বাকি প্রক্রিয়া।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় নির্বাচন কার্যালয়ের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একটা ডাটাবেজ করেছে। আমাদের মহাপরিচালক মহোদয় বলেছেন, যে ওই ডাটাবেজ তাদের সেন্ট্রাল সার্ভেতে রাখা হয়েছে, যাতে আমরা সনাক্ত করে পারি। এর মধ্যে যদি বাদ পরে থাকে, সে ক্ষেত্রে কিভাবে নির্ধারণ করা হবে, এই বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি।

এক হিসাব অনুযায়ী, পাসপোর্ট কার্যালয়গুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৫শ জনের বেশি আবেদন করেন। রোহিঙ্গা শনাক্তের জন্য প্রতিজনকে ৩ মিনিট করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গেলে দিনের পুরোটা সময় লেগে যাচ্ছে। এর মাঝে রোহিঙ্গা ডাটাবেজ ব্যবহার করেও সুফল মিলছে তুলনামূলক কম। চলতি মাসে পাসপোর্ট করাতে এসে আটক হওয়া ৩ রোহিঙ্গার মধ্যে দু'জনের তথ্য ছিলো এই ডাটাবেজে।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পাসপোর্ট কার্যালয়ের পরিচালক আবু সাঈদ বলেন, তার মানে অনেক রোহিঙ্গাই রেজ্রিস্টেশন করে নাই। যাদের নাম রেজ্রিস্টেশন হয় নাই, তাদের এই সফটওয়ারে আইডেন্টিফাই করার সুযোগ নেই।

এ অবস্থায় সুশীল সমাজ মনে করে, বাদ পড়া রোহিঙ্গাদের পুনরায় নিবন্ধনের আওতায় আনা গেলে এ সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।

চট্টগ্রাম জেলা কমিটির (সনাক) সভাপতি অ্যাডভোকেট আকতার কবীর চৌধুরী বলেন, নতুন করে যে রেজ্রিস্টেশন করা হয়েছে, সেটা একটু মিলানো দরকার। যদি কেউ বাদ করে থাকে, তাহলে তাদের এই রেজ্রিস্টেশনের আওতায় এনে আমাদের পাসর্পোট, পরিচয়পত্র অফিসের সার্ভারের সংরক্ষণ করা দরকার।

২০১৭ সালের ২৫শে আগষ্ট থেকে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ শুরু হলে সরকার পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মাধ্যমে তাদের নিবন্ধন শুরু করে। বায়েমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সম্পন্ন হওয়া এ নিবন্ধনে শুধুমাত্র নতুন আসা রোহিঙ্গারা অন্তর্ভূক্ত হয়েছিলো। বাদ থেকে যায় নব্বই দশক থেকে বাংলাদেশে অবস্থানকারী রোহিঙ্গারা।

ঝালকাঠি আজকাল