• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

ট্রাম্পের অভিশংসন প্রক্রিয়া চালানোর পক্ষে রায় দিল সিনেট

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিশংসন প্রক্রিয়াকে সংবিধানসম্মত উল্লেখ করে পূর্ণাঙ্গ বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন সিনেট। খবর বিবিসি বাংলা’র। মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্পের ছয়ই জানুয়ারির বক্তৃতা এবং তার সমর্থকদের তাণ্ডবের দৃশ্যের একটি ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। 

এরপর সিনেটে ৫৬-৪৪ ভোটে বিচার প্রক্রিয়া এগিয়ে নেবার পক্ষে রায় আসে। তবে ৫৬-৪৪ ভোটের অর্থ হলো অন্তত ছয় জন রিপাবলিকান সিনেটের ট্রাম্পের বিচারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। কেননা সিনেটে ১শ’ সদস্যের মধ্যে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদেরও সমান সদস্য রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটলে গত ৬ জানুয়ারির ভয়াবহ হামলার ঘটনায় সহিংসতায় উস্কানি দেবার অভিযোগ আনা হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে।

ম্যারিল্যান্ড থেকে নির্বাচিত প্রতিনিধি জ্যামি রাসকিন বলেন, ‘এটা বড় অপরাধ ও অসদাচরণ। এটা অভিশংসনযোগ্য অপরাধ না হলে আর কিছুই তা হতে পারেনা।’

তবে ট্রাম্পের আইনজীবীরা যুক্তি দেখান যে, সাবেক একজন প্রেসিডেন্টকে বিচারের মুখোমুখি করাটা অসাংবিধানিক এবং তারা এ জন্য ডেমোক্র্যাটদের উদ্যোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ তোলেন।

৫৬ জন বিচারের পক্ষে সমর্থন দিলেও ট্রাম্পের পক্ষ নিয়েছেন ৪৪ জন, এতে প্রমাণ হয় যে সিনেটে শাস্তি এড়াতে ট্রাম্পের যথেষ্ট সমর্থন আছে। কারণ বিচার করে শাস্তি দিতে হলে সেনেটের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন দরকার হবে।

তবে শাস্তি পেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প ভবিষ্যতে আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।

সিনেট কার্যক্রমের শুরুতে ডেমোক্র্যাটরা যুক্তি দেখান যে, তাদের উদ্যোগ আইনসম্মত। এরপর দশ মিনিটের ভিডিওটি দেখানো হয় যেখানে ট্রাম্প তার সমর্থকদের জীবনবাজী রেখে লড়াইয়ের কথা বলেন। এরপরই ক্যাপিটলে হামলার ঘটনা ঘটে।

জ্যামি রাসকিন কান্না বিজড়িত কণ্ঠে বলেন, ক্যাপিটলে দাঙ্গার সময় সেখানে আসা তার কন্যার কাছ থেকে তিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন এবং তিনি তার পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। ‘এটি আমেরিকার ভবিষ্যৎ হতে পারে না’ বলে তিনি উল্লেখ করেন।

এরপর ট্রাম্পের আইনজীবীরা তাদের অবস্থান তুলে ধরেন। একজন আইনজীবী বলেন, ‘আসলে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আবার নির্বাচনে লড়াই থেকে বিরত রাখার জন্য সংবিধানের নামে এটি করা হচ্ছে।’

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে খবর এসেছে যে, ফ্লোরিডায় বসে টেলিভিশনে সিনেটের কার্যক্রম দেখে আইনজীবীদের পারফরম্যান্স নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।

প্রতিটি পক্ষ এখন ১৬ ঘণ্টা করে সময় পাবে নিজেদের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরতে, যা শুরু হবে আজ বুধবার দুপুরবেলা থেকে। এই যুক্তিতর্ক সপ্তাহ ধরে পর্যন্ত চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরপর সিনেটররা দু’পক্ষকেই জেরা করার সুযোগ পাবেন।

দুপক্ষের আইনপ্রণেতারাই বলেছেন, তারা দ্রুত এই প্রক্রিয়া শেষ করার পক্ষে।

তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এরই মধ্যে বলে দিয়েছেন, তিনি অভিশংসন শুনানিতে যোগ দেবেন না এবং কোন বক্তব্যও দেবেন না।

ঝালকাঠি আজকাল