• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

ঝালকাঠিতে মাল্টা চাষে সফল খোন্দকার ইকবাল মাহমুদ

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০  

ঝালকাঠি প্রতিনিধি: করোনা পরিস্থিতি জনিত কারণে এই রোগ প্রতিরোধক মাল্টার স্থানীয় বাজারে চাহিদা রয়েছে। এই ফল বাজারে আসতে শুরু করেছে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত দেশি মাল্টা সাধারণ মানুষের কাছে ফরমালিন মুক্ত থাকায়া চাহিদাও বেশি। ঝালকাঠি জেলায় দ্রুত সম্প্রসারিত হচ্ছে মাল্টা চাষ। স্থানীয় কৃষকরা অপেক্ষকৃত উচুঁ জায়গায় কান্দি করে মাল্টার বাগান করছে। কৃষি বিভাগ চাষাবাদে কৃষকদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়ে কৃষকদের মাল্টা চাষ সম্প্রসারণে কাজ করছে। এই অঞ্চলের উৎপাদিত মাল্টা চাষ লাভজনক এবং মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ মিষ্টি স্বাদের ফল। কৃষি সম্প্রষারণের হিসাব মতে জেলায় ৫০ একরের  মাল্টা চাষ হচ্ছে। এবং স্থানীয় পর্যায়ো উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায়া ১০০-১২৫ টাকা কেজি দরে সকল শ্রেণি পেশার মানুষে চাহিদা পুরণ করতে।

ঝালকাঠি জেলার মধ্যে সর্ববৃহত মাল্টা বাগান ঝালকাঠির শহরতলির বিকনা ব্লকের খন্দকার ইকবাল মাহমুদের। তিনি ২০১৭ সালে এই ব্লকের ৩ একর জায়গা কিনে বারি-১ জাতের মালটার বাগান করেছেন এবং এর সাথে উচ্চ ফলনশীল জাতের আম-লিচু ও ছবেদা ফলের গাছসহ ৯০০টি ফলের গাছ রয়েছে। ২০১৭ সালে রোপন করা মাল্টা বাগান থেকে এব বছর পর ২০১৮ সাল থেকে ফলন পেতে শুরু করেছেন।

বর্তমানে তার বাগানে এ বছরও বাম্পার ফলন হয়েছে এবং সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ শেষে ফলন তোলা ও বাজারজাত করবেন। গত বছর তাঁর ফল চাষাবাদে ৩ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে, শুধু মাল্টা বিক্রি করে ৯ লক্ষ টাকা পেয়েছেন। তাঁর নিট লাভ হয়েছে ৬ লক্ষ টাকা। তিনি চাষাবাদে মানুষের জন্য ক্ষতি হতে পারে এমন কোন রাসায়নিক সার ব্যবহার করে না। স্থানীয় ঝালকাঠি ও বরিশাল থেতে ফল বিক্রেতারা তার বাগান থেকে মাল্টা কিনে নিয়ে যায়। চাষাবাদের অরগানিক পদ্ধতি ব্যবহার তার বড় বৈশিষ্ট্য।

চাষি খন্দকার ইকবাল মাহমুদ জানান,  বাগান করার পূর্বে ভূমি উন্নয়ন ও ধানি জমিকে উচ্চ করার জন্য মাটি কেটে দুটি পুকুর তৈরী করেছে যেখানে এখন মিশ্র জাতে মাছের চাষ হচ্ছে। আগামীতে জৈব সারের ব্যবহার করার জন্য দুগ্ধ খামার ও হাঁসের খামার করার জন্য চিন্তা ভাবনা করছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রিফাত সিকদার বরেন, আমাদের দেশে এখন অনেক মাল্টা চাষ হয়। ঝালকাঠির মাটিও মাল্টা চাষে উপযোগী চাষিরা মাল্টা চাষ করে সফলাতা পেয়েছে। এ অঞ্চলেন মাল্টা মিষ্টি ও সুস্বাধু হওয়ায় চাহিদা অনেক বেশি। মাল্টা চাষি খন্দকার ইকবাল মাহমুদকে এই বাগানের খোঁজ খবর নিয়ে আমরা কৃষি বিভাগ প্রযুক্তিগত পরামর্শ দিয়েছি। খন্দকার ইকবাল মাহমুদের মত বেকার যুবকরা যদি মাল্টা চাষ করে তা হলে তারা স্বাবলম্বী  হতে পারবে।

ঝালকাঠি আজকাল