জিহ্বা সংযত রাখুন, নিরাপদ থাকুন
শেষ জমানায় মানুষের জবান বেশি দারাজ হয়ে যাবে। অসংলগ্ন ও অনুচিত কথা অধিক হারে বলতে থাকবে। আর এ কারণে বিভেদ ও বিদ্বেষের আগুনে মানুষ জ্বলতে থাকবে। বিপদের মুহূর্তে অপ্রয়োজনীয় বিষয় নিয়ে মাতামাতি করা, প্রজ্জ্বলিত আগুনে ঘি ঢালা এবং দূর থেকে বসে তা উপভোগ করা- এ সবই বর্জনীয় ও নিন্দিত। এগুলো থেকে যে বেঁচে থাকতে পারবে, সেই মুক্তি পাবে, ইনশাআল্লাহ।
কথা বেশি বলার মধ্যে উপকারিতা কম, নীরব থাকায় লাভ বেশি। সময়ে সময়ে চর্বিতচর্বণ নানা বিষয়ে যেসব বিতর্ক-বিবাদ হয়ে থাকে, তার বেশিরভাগের সূচনা হয় জিহ্বা থেকে। তাই জিহ্বাকে যে যত বেশি সংযত রাখতে পারবে, তার ওপর যার যতো বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে, সে ততো বেশি নিরাপদ থাকবে। অনেক সময় সক্ষমতা থাকলেও বিভিন্ন বিষয় এড়িয়ে যাওয়া উচিত; এটাকে বলে দূরদর্শিতা। কখনো সখনো সুযোগ থাকা সত্ত্বেও সুযোগ গ্রহণ না করাই উচিত; এটাকে বলে উদারতা। আর কখনোবা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বৃহৎ স্বার্থে নীরব থাকা উচিত; এটাকে বলে বিনয় ও নম্রতা।
বর্তমানে যেমন- ইলম ও প্রজ্ঞার দেখা পাওয়া ভার, তার চেয়েও অনেক বেশি বিরল দূরদর্শিতা, উদারতা ও নম্রতার দেখা পাওয়া। বস্তুত জীবনের প্রতিটি যুদ্ধে, প্রতিটি লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার দরকার নেই। কখনো বাহ্যত পরাজিত হয়েও আখেরে জয়ী হওয়া যায়। কথাটি যদিও একটু সূক্ষ্ম, তবে ইতিহাসপড়ুয়া ও বিবেকবানদের জন্য এতটুকুই যথেষ্ট। ধৈর্যধারণ, রাগ নিয়ন্ত্রণ, ভাষার মিষ্টতা ও উদারতা প্রতিটি সত্য প্রচারকের জন্য আবশ্যকীয় বৈশিষ্ট্য। এসব গুণ ভালোভাবে অর্জন না হলে পদে পদে অনেক ধাক্কা খেতে হয়; এমনকি পদস্খলনের আশঙ্কাও থেকে যায়।
আক্রমণ-প্রতিআক্রমণের দ্বারা বেশিরভাগেরই হিদায়াত নসিব হয় না; উল্টো এতে মানুষের মধ্যে জিদ, গোঁড়ামি ও দলান্ধতা শিকড় গেড়ে বসে। তাই আমাদের প্রতিটি আচরণ, প্রতিটি কথা ও প্রতিটি পদক্ষেপ যেন সঠিক হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখা কাম্য। একটি বিশুদ্ধ হাদিস স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আশা করি, এতে সবার চিন্তার খোরাক হবে।
ইমাম তিরমিজি রহ. বর্ননা করেন:
عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ: كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي سَفَرٍ... ثُمَّ قَالَ: أَلاَ أُخْبِرُكَ بِرَأْسِ الأَمْرِ كُلِّهِ وَعَمُودِهِ، وَذِرْوَةِ سَنَامِهِ؟ قُلْتُ: بَلَى يَا رَسُولَ اللهِ، قَالَ: رَأْسُ الأَمْرِ الإِسْلاَمُ، وَعَمُودُهُ الصَّلاَةُ، وَذِرْوَةُ سَنَامِهِ الجِهَادُ, ثُمَّ قَالَ: أَلاَ أُخْبِرُكَ بِمَلاَكِ ذَلِكَ كُلِّهِ؟ قُلْتُ: بَلَى يَا نَبِيَّ اللهِ، فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ قَالَ: كُفَّ عَلَيْكَ هَذَا، فَقُلْتُ: يَا نَبِيَّ اللهِ، وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُونَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِهِ؟ فَقَالَ: ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ يَا مُعَاذُ، وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ أَوْ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ.
মুআজ বিন জাবাল রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সাথে সফরে ছিলাম। তিনি বললেন, আমি কি সমস্ত কাজের মূল, স্তম্ভ ও সর্বোচ্চ শিখর সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসুল সা.। তিনি বললেন, সকল কাজের মূল হলো ইসলাম, তার স্তম্ভ হলো সলাত, আর তার সর্বোচ্চ শিখর হলো জিহাদ। তিনি আরও বললেন, আমি কি তোমাকে এসব কিছুর সার সম্পর্কে বলব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর নবি সা.। তিনি তার জিহ্বা ধরে বললেন, এটা সংযত রাখো। আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর নবি সা., আমরা যে কথাবার্তা বলি, এগুলো সম্পর্কেও কি আমাদের পাকড়াও (জবাবদিহি করা) হবে? তিনি বললেন,"হে মুআজ, তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক! মানুষকে তো কেবল জিহ্বার উপার্জনের কারণেই অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।" (সুনানুত তিরমিজি : ৪/৩০৮, হা. নং ২৬১৬, প্রকাশনী : দারুল গারবিল ইসলামি, বৈরুত)
হাদিসটি নিয়ে একটু চিন্তা করুন। বেশি না, সামান্য। "মানুষকে তো কেবল জিহ্বার উপার্জনের কারণেই অধঃমুখে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে" -এ অংশটি আবারও পড়ুন, আবারও, আবারও। একটু চোখ বন্ধ করে ভেবে দেখুন, আমাদের জবানের হিফজত হচ্ছে তো? আমরা সত্যিই জিহ্বার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করছি তো? ঠাণ্ডা মাথায় এ হাদিসটি নিয়ে চিন্তা করলে অনেক প্রশ্নের জবাব পেয়ে যাবেন, অনেক সমস্যার সমাধান পেয়ে যাবেন। কী করতে হবে, আর কী করা উচিত বা অনুচিত, তা নতুন করে আর বলে দিতে হবে না। সবার প্রতি একটাই অনুরোধ থাকবে, নীরব থাকুন আর সত্যটা সঠিক উপায়ে খুঁজতে থাকুন। অসংলগ্ন কথা বলে নিজেও বিপদে পড়বেন না, অন্য ভাইদেরও বিপদে ফেলবেন না।
সততা, ইখলাস, হিম্মত, বিনয় ও সত্য পাওয়ার তীব্র আকাঙ্খা আপনাকে হতাশ করবে না। আল্লাহ নিশ্চয়ই সব দেখছেন; তিনিই আপনাকে সঠিক পথ দেখাবেন। আল্লাহ আমাদের পক্ষপাতিত্ব, খিয়ানত, অহংকার, অপবাদ ও হিংসা থেকে রক্ষা করে সত্যানুসন্ধান, সততা, বিনয়, উদারতা ও ধৈর্যসহ সকল উত্তম বৈশিষ্ট্য দান করুন।
পবিত্র কুরআনের সূরা মু'মিনুনের প্রথম তিনটি আয়াতে মহান আল্লাহ বলেন, ‘নিঃসন্দেহে (সে সব) ঈমানদার ব্যক্তিরা সফলকাম। যারা নিজেদের নামাজে একান্ত বিনয়ানত থাকে। যারা অর্থহিন, বেহুদা কথা ও কাজ থেকে নিজেদেরকে বিরত রাখে।’
এই সূরার প্রথম এগারটি আয়াতে যে বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে তা হচ্ছে- একজন বিশ্বাসীর মধ্যে যে সকল গুণাবলী থাকা আবশ্যক। যেমন- একজন বিশ্বাসীর প্রথম কাজ হলো- সে নামাজে মনযোগি হবেন এবং একান্ত বিনয় এবং মনোযোগের সাথে নামাজ আদায় করবেন। তিনি অপ্রয়োজনীয় কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
এই আয়াতে দেখা যাচ্ছে- প্রকৃত বিশ্বাসীর অন্যতম গুণাবলী হবে- অপ্রয়োজনীয় কথা ও কাজ থেকে বিরত থাকা। কারণ এই অপ্রয়োজনীয় কথা ও কাজ মানুষকে বিভ্রান্ত করে এবং ভুল চিন্তার দিকে নিয়ে যায়। পরিণতিতে জাহান্নাম। অন্যদিকে, আল্লাহ তায়লা এই গুণাবলীর অধিকারীদের জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
হায়! মানুষ যদি জানত, জিহ্বার মধ্যে কী পরিমাণ ফিতনা ও ফাসাদ নিহিত রয়েছে, তাহলে অধিকাংশ মানুষ কথাই বলত না! মানুষ কথা বলে নিজের ভালোর জন্য, কিন্তু কথার মধ্যে যদি নিজের চিরমুক্তির পথটাই রুদ্ধ হয়ে যায়, তাহলে বুদ্ধিমান এমন কে আছে, যে স্বেচ্ছায় সে পথ মাড়াবে?
বুদ্ধিমানরা কথা বলে মেপে মেপে। যতটুকু বললে লাভ নিশ্চিত, ততটুকুই বলে। ক্ষতি বা আশঙ্কার পথগুলো এড়িয়ে চলে। কোথাও ক্ষতির সামান্য সংশয় থাকলেও তার থেকে দূরে থাকে। তাই মন চাইলেই যখন তখন যাকে তাকে ইচ্ছেমতো কিছু বলে দেওয়াটা বাহাদুরি নয়; বরং নির্বুদ্ধিতা। আর এ নির্বুদ্ধিতাটাই তাকে জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে; যেমনটি হাদিসে বলা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের জবানকে যথাযথভাবে ব্যবহার করার তাওফিক দিন এবং এটাকে ভুল পথে ভুল জায়গায় ব্যবহার করা থেকে রক্ষা করুন।
ঝালকাঠি আজকাল- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- ভোলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রাণী প্রদর্শনী মেলা
- স্বনির্ভর দেশ গড়তে প্রাণী সম্পদের উৎপাদন বাড়াতে হবে : শামীম
- প্রধানমন্ত্রী যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন সেভাবেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে
- বরিশালে ২০ জেলে ও ২ নৌযান আটক
- গৌরনদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ১৭ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা
- সারাদেশে ইন্টারনেটের ধীর গতি
- ইস্টার্ন ব্যাংকে নারী-পুরুষ নিয়োগ, চাকরির ধরন ফুল টাইম
- কমলো হজের খরচ
- হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ শুরু
- প্রাথমিক শিক্ষকদের ফের অনলাইনে বদলি আবেদনের সুযোগ
- চেন্নাইয়ের হার ঠেকাতে পারলেন না মুস্তাফিজ-পাথিরানা
- তীব্র তাপপ্রবাহে প্রাথমিক স্কুলে অ্যাসেম্বলি বন্ধ রাখার নির্দেশ
- বিদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার সব বিধিনিষেধ তুলে নিলো কুয়েত
- ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তিন ধর্ষকের হাতে স্ত্রীকে তুলে দিলেন স্বামী
- শিব নারায়ণের কর্নিয়ায় আলো ফুটবে দুই অন্ধের চোখে
- বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবস ভাতা
- রুমা সীমান্ত এলাকায় তীব্র গোলাগুলি, আতঙ্ক
- শান্তিচুক্তির অগ্রগতি জাতিসংঘে তুলে ধরল বাংলাদেশ
- আরও তিন দিন থাকবে তাপপ্রবাহ, কিছু জায়গায় বৃষ্টির আভাস
- বাংলাদেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ফি কমাতে ভুটানের প্রতি অনুরোধ
- মালয়েশিয়ায় শোষণের শিকার বাংলাদেশি শ্রমিকরা: জাতিসংঘ
- পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা, চলছে গণনা
- সারা দেশে হিট অ্যালার্ট জারি
- হজের আগে ওমরাহকারীদের ফেরার তারিখ জানাল সৌদি
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে মিশা-ডিপজল প্যানেল বিজয়ী
- বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি
- শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী
- মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশী
- স্বচ্ছতার সাথে সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্র বাছাই হবে
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট
- প্রথম ধাপ: উপজেলা ভোটের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় আজ
- অনলাইনে ছবি শেয়ার করাও বিপজ্জনক হতে পারে
- গরমে গাড়ির টায়ারের জন্য কোন বাতাস উপকারী?
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- গরমে বাড়ে যেসব চর্মরোগ
- ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত
- প্রিজন সেলে হত্যার ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
- ঝালকাঠিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণ
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- বরিশালে ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে অলোচনা সভা
- বিয়ে করলেন জোড়া লাগা ২ বোন, স্বামী একজনই
- বাতাসের চাপ থেকে বিদ্যুৎ: বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশি স্টার্টআপ
- কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন