গ্রামাঞ্চল থেকে বিলুপ্তির পথে ঐতিহ্যের তালগাছ
রাজাপুর প্রতিনিধিঃ তালগাছ বাংলাদেশ ও এশিয়া মহাদেশের অনেক অঞ্চলেরই জনপ্রিয় গাছ। কারণ এর প্রায় সব অঙ্গ থেকেই কিছু না কিছু কাজের জিনিস তৈরী হয়, কিছুই ফেলা যায় না। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পরিবেশ বান্ধব তালগাছ। তাল পাতা দিয়ে ঘর ছাওয়া, হাতপাখা, তালপাতার চাটাই, মাদুর, আঁকবার পট, লেখবার পুঁথি, পুতুল ইত্যাদি বহুবিধ সামগ্রী তৈরী হয় এমনকি তালের কাট দিয়ে বাড়ি, নৌকা, হাউস বোট ইত্যাদি তৈরি হয়। কিন্তু কালের আবর্তে গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যের এ তালগাছ। তালের ফল এবং বীজ দুই-ই বাঙালির জন্য সুস্বাধু খাদ্য। তাল গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তা থেকে গুড়, পাটালি, মিছরি, ইত্যাদি তৈরি যায়। তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি ও সি, জিংক, পটাসিয়াম, আয়রন ও ক্যালসিয়ামসহ অনেক খনিজ উপাদান। তালগাছকে নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, “তালগাছ, এক পায়ে দাড়িয়ে, ঊকি মারে আঁকাশে, সব গাছ ছাড়িয়ে,।” রবীন্দ্রনাথ তাল গাছকে একাকী এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে ধ্যানী বলে উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাল গাছকে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকার কারণে, ক্লাসে পড়া না পারা ছাত্রের সাথে তুলনা করেছেন। আমাদের দেশের পরিবেশ বান্ধব এই তাল গাছ আজ বিলুপ্ত প্রায়। এক সময় সারা বাংলার গ্রাম গঞ্জে, প্রায় প্রতিটি ভিটা বাড়ি থেকে শুরু করে আনাচে কানাচে, রাস্তার দু’পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো তাল গাছের নয়নাভিরাম দৃশ্য চোখে পরতো। কালের পরিক্রমায় বাংলার ঐতিহ্যের অংশ তাল গাছের অস্তিত্ব আজ সংকটাপূর্ণ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তাল গাছ আস্তে আস্তে হারিয়ে যাওয়ার কারণে এ প্রজন্ম অনেকটা তাল গাছের বৈশিষ্ট, উপকারিতা ও তাল ফলের স্বাদ ভুলতে বসেছে। কয়েক বছর আগেও বাজারে প্রচুর তাল বিক্রি হতো। জৈষ্ঠ, আষাঢ় মাসে কাঁচা তাল ফলের শাস খেতে চারিদিকে ডাক পরে যেত। চলতো শাঁস খাওয়ার প্রতিযোগিতা। কে কত খেতে পারে। শ্রাবণ ভাদ্র মাসে পাকা তালের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত হয়ে উঠতো প্রতিটি পাড়া মহল্লা। পাকা তালের আটি পিষে হলুদ রস বের করার জন্য শুষে যেত বাড়ির ঝি-বউয়েরা। শ্রাবণ মাসে কলাপাতায় তালের পিঠা তৈরীতে ধুম পরে যেত। শুধু তালের পিঠাই নয়, তালের রুটি, তালের বড়াও তালসত্বসহ আরও বাহারী অনেক রকম পিঠা। মেহমানদারীতে সকল পিঠা ছিল স্বাদে গন্ধে অতুলনীয়। তাল গাছের পাতার সাথে সুপরিচিত বাবুই পাখির সুনিপুণভাবে তৈরী পাতার সাথে ঝুলাানো বাসা (আশ্রয়স্থল) সকলের পরিচিত। আজকাল হাজার হাজার পাখির কিচির-মিচির ডাক আর মনোরম দৃশ্য চোখে পরে না। তাল গাছ এক বীজ পত্রী উদ্ভিদ। শাখা প্রশাখাবিহীন এক পায়ে দাড়িয়ে থাকা অন্যতম দীর্ঘ এই গাছের মাধ্যমে পাড়া, মহল্লা ও বাড়ির পরিচয় পাওয়া যেত। তাল গাছ ৬০-৭০ ফুট পর্যন্ত লম্বা হয়ে থাকে। এর জীবন কাল প্রায় ১০০-১৫০ বছর। গ্রাম বাংলার মাটি তাল গাছের উপযোগী। গ্রাম-গঞ্জে এমনও একটি প্রচলিত কাব্য আছে শালিস মানি কিন্তু বড় তাল গাছটা আমার। এ কথার মাধ্যমে তাল গাছের গুরুত্বকেই বুঝানো হয়েছে। জনশ্রুতি আছে যে, তাল গাছের মত বড় বড় গাছে বজ্রপাত হতো। ফলে মাঠ-ঘাটে প্রাণিকুলের জীবন রক্ষা পেতো। বর্তমানে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রকৃতি হয়ে উঠছে বিরাগভাজন। সময় মত বৃষ্টি না হওয়া, আবার অতিবৃষ্টি, কালো মেঘের বজ্রপাতে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা এত বেশি যা ভাবিয়ে তুলছে। এ অবস্থায় তাল গাছ রোপণ, হেফাজত ও রক্ষায় কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ প্রয়োজন।
উপজেলার বামনকাঠি এলাকার শামসুল আলম মানিক ফরাজী, কৃষক আব্দুস সাত্তার ও আবুল বাশার তালগাছ সম্পর্কে বলেন, এ গাছ অল্প সময়ে মধ্যে বিক্রি করে অনেক টাকা পাওয়া যায়না এবং এ গাছের সকল অংশই মানুষের উপকারে আসে। এ গাছ রোপন করলে তাতে বেশী জমি দখল করেনা তাই জমিও নষ্ট হয় না। কোন সার ঔষধ ব্যবহার করতে হয়না। কোন পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। রোপন করার ১০ থেকে ১৫ বছর পরে তাল গাছে ফল ধরে। এ গাছ খুব শক্ত-পোক্ত হওয়ায় ঝড় বন্নায় ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকেনা। তবে কৃষকরা দাবী করেন এ বিষয়ে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা এবং তদারকি থাকলে হয়তো গাছগুলো একটু বেশি করে রোপন করা হত।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার রিয়াজউল্লাহ বাহাদুর জানান, এ গাছ রোপনের ব্যাপারে আমরা কৃষকদের উদ্ভুদ্ধ করি এবং তারা রোপনও করে কিন্তু আগের তুলনায় একটু কম।
ঝালকাঠি আজকাল
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- পাকা বেদানা খুঁজে কিনবেন যে কৌশলে
- ইফতারে রাখুন স্বাস্থ্যকর চিকেন স্যান্ডউইচ
- মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখছে এআই!
- শাহজালালের থার্ড টার্মিনাল পুরোপুরি চালুর অপেক্ষা
- স্থলভাগে গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রম, যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- পাল্টে যাচ্ছে রাজধানীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেহারা
- এপ্রিলে বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির
- শিল্পে দ্রুত ইভিসি মিটার দেবে তিতাস
- শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার নির্দেশ
- অর্থনীতিতে গতি ফেরাতে যত পরিকল্পনা
- বাজার নিয়ন্ত্রণে আরও ক্ষমতা পাচ্ছে সরকার
- ফার্স্টলুকে পূর্বাভাস, গ্যাংস্টার রূপে আসছেন শাকিব খান
- থামছে না অপহরণ, মুক্তিপণ দিয়ে ঘরে ফিরলেন আরও ১০ জন
- দুস্থ নারীদের সরকারি চাল পাচার, ২ ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
- দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের খাবার
- সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপে ভেসে আসছে বিকট শব্দ, সীমান্তে আতঙ্ক
- লিচু বাগানে মিললো ১৮ কেজি গাঁজা
- বিচারপতি ইনায়েতুর রহিমের মায়ের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
- মঠবাড়িয়ায় ৮‘শ ৯৬ টি সুবিধাভোগী পরিবারের মাঝে টিসিবি পণ্য বিক্রয়
- মাদারীপুরে সাজ্জাপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
- বরিশালে রমজান উপলক্ষ্যে সুলভ মূল্যে ভ্রাম্যমান ডিম বিক্রয়
- বরিশালে বিপুল পরিমান কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ৮০
- উজিরপুরে এক কেজি গাঁজাসহ মাদক সম্রাট গ্রেফতার
- কথা না শোনায় স্বামীকে নিয়ে পরকীয়া প্রেমিককে হত্যা করেন রুনা
- বাংলা নববর্ষ উদযাপনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ১৩ নির্দেশনা
- প্রধানমন্ত্রীর গাড়ীবহরে হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
- কুড়িগ্রাম যাচ্ছেন ভুটানের রাজা
- কুড়িগ্রাম হবে আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে
- কান্না থামাতে মুখ চেপে ধরলে মারা যায় শিশু নুসরাত
- জাতিসংঘ বাংলাদেশে জলবায়ু কর্মকান্ডে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে
- রমজান উপলক্ষে ঝালকাঠিতে চলছে সুস্বাদু মোটা মুড়ি ভাজার উৎসব
- আল্লাহর কাছে মর্যাদা ও সওয়াবে নারী-পুরুষের সাম্য
- প্রধানমন্ত্রী যুবসমাজকে গড়ে তুলতে কর্মমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন
- ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালিত
- আসছে ১৫০০ টন ভারতীয় পিঁয়াজ
- সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চাকরি
- একজন মুসলিম যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিবেন
- ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত
- রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা
- নলছিটিতে হত্যা মামলায় ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার-২
- রোজার আগে যেসব প্রস্তুতি নেবেন
- যেকোনো গণিতের সমাধান করে দেবে অ্যাপ
- ঈদ সামনে রেখে চাঙ্গা অর্থনীতি
- চট্টগ্রামের সুগার মিলের আগুনে এক লাখ টন চিনি পুড়ে ছাই
- ঝালকাঠিতে মহিলা কলেজের ৬তলা নতুন ভবনের উদ্বোধন
- এ বছর ফিতরার হার নির্ধারণ
- ঝালকাঠিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
- নির্ধারিত দামের চেয়েও কমে ভোজ্যতেল ছাড়ল এস আলম গ্রুপ