• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

গভীর সাগরে ছোট দ্বীপে পাখি আর লাল কাঁকড়ার সৌন্দর্য‌্য

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১০ ডিসেম্বর ২০১৯  

চারদিকে সাগরের অথৈ জলরাশি। পশ্চিম দিকে নানা রঙের হাজারো অতিথি পাখি আর পানকৌড়ির কলতানে মুখরিত, নেই মানুষের কোলাহল। পূর্ব দিকে হাজার হাজার লাল কাকড়ার মহাসমাবেশ। কোথাও শুধু ধু ধু বালুচর।

জায়গাটি পটুয়াখালীর কলাপাড়ার চরবিজয়ের। এই সেদিন, ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকের গভীর সমুদ্রে এ চরের সন্ধান পায় পর্যটন ব্যবসায়িরা।

প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি লোকালয়ের অনেকটা দূরে বঙ্গোপসাগারের গভীরে বুকের ভেতরে। ছোট ভূখণ্ডে পর্যটক আর মৎস‌্যজীবী ছাড়া মানুষ নেই, বসতি নেই,নেই বাড়ি-ঘর, এমনকি নেই গাছও। সমুদ্রের মাঝে সূর্যের আলোর চিকচিক দৃশ্যের সাথে ঢেউয়ের খেলা। রয়েছে এই একই স্থানে দাড়িয়ে সুর্য উদয় ও অস্ত যাওয়া দৃশ‌্য দেখার সুযোগ।

প্রায় ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও দেড় কিলোমিটার প্রস্থ এ চরটি। তখন পটুয়াখালী জেলা প্রশাসন পর্যটকদের কাছে চরটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে বাগান তৈরি করতে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ২ হাজার চারা রোপন করেন। এসময় জাতীয় পতাকা ও সাইনবোর্ড টানিয়ে চরের নামকরণ করেন ‘চর বিজয়’।

 

তবে জেলেসহ স্থানীয়দের কাছে এ চরটি হাইরের চর নামেও পরিচিত। কুয়াকাটা সৈকত থেকে ট্যুরিস্ট বোট নিয়ে মাত্র দেড় ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় এ চরটিতে।

জেলেরা জানান, বর্ষা মৌসুমের ছয় মাস চরটি সাগরের পানিতে হাঁটু পরিমাণ ঢাকা থাকে। আবার শীত মৌসুমে উঁকি দেয়। এসময় ছোট ছোট ডেরা তৈরি করে শুঁটকি করার জন্য দুই তিন মাস এ চরে অবস্থান নেয় জেলেরা।

 জেলেদের জাল দিয়ে চরে মাছ শিকার। সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের সময় চরটিতে অপরূপ দৃশ্য আর ঢেউয়ের শব্দ, অগণিত অতিথি পাখির কিচির মিচির ও লাল কাঁকড়াদের বর্ণিল আলপনা অসাধারন। ’

চর বিজয়ের নামকরণকারীদের একজন ট্যুরিজম ব্যবসায়ি হোসাইন আমির বলেন, ‘সমুদ্রের মাঝে জেগে ওঠা চরটি ২০১৭ সালের ৪ ডিসেম্বর বিজয়ের এই মাসে আবিষ্কার হয়েছে। তাই এ চরটির নামকরন করা হয় চর বিজয়। ’

 সম্ভাবনাময় এই চরটি ইতোমধ্যে কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের দৃষ্টি কেড়েছে। দিন দিন বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা।

কুয়াকাটা পৌর মেয়র আ. বারেক মোল্লা বলেন, এ চরটিতে শৌচাগার, পিকনিক স্পট, সুপেয় পানির ব্যবস্থাসহ ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করা প্রয়োজন। কিন্তু পৌরসভার বাইরে হওয়ায় এসব কাজ করা যাচ্ছেনা। তবে এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। ‘

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমান জানান, চর বিজয় অতিথি পাখিদের অভয়ারণ‌্য একটি দ্বীপ। এটি রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে।

ঝালকাঠি আজকাল