খালেদার মুক্তি: কোয়ারেন্টাইনে থাকা নেতারা হাজির বিএসএমএমইউতে

বিএনপি নেতারা আবারো নিজেদের দেয়া কথা রাখলেন না। তারা করোনাভাইরাস ইস্যুতে নিরাপত্তার স্বার্থে শনিবার (২১ মার্চ) রাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সব ধরণের সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) নিজেরাই সেই কথা ভঙ্গ করলেন।

জনসমাগম এড়ানোর বিপরীতে খালেদা মুক্তির কথা শুনে কোয়ারেন্টাইন থেকে বের হয়ে বিএনপি নেতারা বিএসএমএমইউতে জড়ো হন। বিএনপি নেতারা অমান্য করলেন সরকার ও বিশেষজ্ঞদের নির্দেশনা। এ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, মাত্র কয়েকদিন আগেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদও প্রচার হয়েছে। এরপর তিনি করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে দলের সব সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন। অথচ সেই তিনিই আজ নিজে খালেদা জিয়ার মুক্তির খবর শুনে দল বেঁধে হাজির হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)। অমান্য করেন নিজের দেয়াই নির্দেশনা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কোয়ারেন্টাইনে থাকা খালেদার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরীসহ আরো অনেকে।

এদিকে বিএনপি নেতাদের এমন দায়িত্বহীনতায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন দেশের রাজনৈতিক বিজ্ঞজনরা।

তারা বলছেন, তারা নিজেরা জনসমাগম করবে না বলে সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত রাখলো। আবার নিজেরাই আজ সেই কথা ভঙ্গ করে একদল মানুষ নিয়ে আসলো হাসপাতালে। তাহলে এখন আপনারাই বলুন, তাদের কথা-কাজ ও রাজনৈতিক মতাদর্শে স্বচ্ছতা কোথায় এবং কতটুকু। তারা যে মানুষের কথা ভাবেনা, আরও একবার সেটা প্রমাণ হয়ে গেলো।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম উদ্যোক্তা ডা. জাফরুল্লাহর সঙ্গে। তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, বিএনপি নেতাদের গতিবিধি তিনি বোঝেন না। আর বোঝেন না বলেই তিনি বিএনপির হয়ে কাজ করার তেমন আগ্রহ বোধ করেন না।