• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

খাওয়ার সময় সালাম দেয়া নেয়ার বিধান

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২০  

সালাম আরবি শব্দ, এর অর্থ হচ্ছে শান্তি, প্রশান্তি, কল্যাণ, দোয়া, শুভকামনা। সালাম একটি সম্মানজনক, অভ্যর্থনামূলক, অভিনন্দনজ্ঞাপক, উচ্চমর্যাদাসম্পন্ন পরিপূর্ণ ইসলামি অভিবাদন। 

‘সালাম’ আল্লাহর সুন্দর নামসমূহের মধ্যে অন্যতম। (সুরা-৫৯ হাশর, আয়াত: ২৪)।

ইসলামের অনন্য সৌন্দর্য প্রকাশ পায় সালামের মাধ্যমে। সালাম পরস্পরে সম্পর্ক বৃদ্ধি করে, ভালোবাসা গভীর করে। বেশি বেশি সালাম প্রদানের ব্যাপারে নবী (সা.) আমাদের আদেশ করেছেন। আজান, ইকামত, নামাজ, ইস্তিঞ্জা ইত্যাদি ছাড়া বাকি সর্বাবস্থাই সালাম দেয়া যায়।

অনেকেই মনে করেন, খাওয়ার সময় সালাম দেয়া যায় না। কেউ সালাম দিলে তাকে বলা হয়, ‘আরে জানো না, খাওয়ার সময় সালাম দেয়া যায় না?’ আবার অনেকে তো বলে, ‘খাওয়া আর কোরআন পড়া সমান, তাই এ অবস্থায় সালাম দেয়া যাবে না।’

এসবই কুসংস্কার। কোরআন ও সহিহ হাদিসে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। বরং ইসলামে কিছু নির্দিষ্ট সময় বা পরিবেশ ব্যতীত সর্বাবস্থায় সালাম প্রদানে উৎসাহিত করা হয়েছে। বারা ইবনু আযিব (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সালামের বহুল প্রসার করো, তাহলে শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করবে।’ (বুখারি, আদাবুল মুফরাদ: ৯৮৮)।

অবশ্য এ ব্যাপারে একটি হাদিস পেশ করা হয় যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) নাকি বলেছেন, لا سلام على أكل অর্থাৎ: ‘খাওয়ার সময় সালাম দেয়া যাবে না।’ অথচ ইমাম আজলুনি (রহ.) বলেছেন, ‘এটি কোনো হাদিসই না। তবে খাবারের লোকমা যদি মুখে থাকে, তাহলে সালামের উত্তর দেয়া জরুরি না। এছাড়া খাওয়া অবস্থায় সালাম দেয়া অথবা উত্তর দেয়াতে কোনো অসুবিধা নেই।’ (আজলুনি, কাশফুল খাফা, ২/৩৬৩)।

শায়খ আব্দুর রহমান আস সাহিম বলেন, সমাজে প্রচলিত খাওয়ার সময় সালাম দেয়া যায় না বলে যে কথাটি রয়েছে তা সালামের ব্যাপারে নয়, মোসাফাহার ব্যাপারে। সুতরাং সালাম দেয়া ও নেয়াতে কোনো সমস্যা নেই। (সাখাবী, আল-মাকাসিদ, পৃ. ৪৬০, মোল্লা কারী, আল আসরার, পৃ. ২৬৫, আল-আজলূনী, কাশফুল খাফা ২/৪৮৮, যারকানী, মুখতাসারুল মাকাসিদ, পৃ. ২০৩)।

ঝালকাঠি আজকাল