ক্রসফায়ার ও ভয়ঙ্কর নির্যাতন নিয়ে মুখ খুললেন সেই জজ মিয়া
‘নির্মম নির্যাতন ও ক্রসফায়ারের হুমকিতে আমাকে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি করা হয়। ওদের নির্যাতন আমি সইতে পারছিলাম না। নির্যাতনের একেকটি দিন ছিল বিভীষিকাময়। স্মরণ করলেই গা শিউরে ওঠে। নিজেকে স্থির রাখতে পারি না। ওদের নির্যাতনে আমার এক হাত ভেঙে যায়। এখনো মাঝে-মাঝেই হাত অবশ হয়ে যায়।’ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলছিলেন বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট হামলা মামলার অন্যতম প্রধান চরিত্র মো. জালাল ওরফে জজ মিয়া। রাষ্ট্রযন্ত্রের নির্দেশে ফুটপাথের দোকানি নিরীহ যুবক জজ মিয়াকে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার প্রধান আসামি দেখিয়ে তদন্ত নাটক মঞ্চস্থ করেছিল তৎকালীন পুলিশ প্রশাসন। ক্ষমতাধর দুই পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই নেওয়া হয়েছিল তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি। তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে টানা ৫ বছর কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠের নির্জন কক্ষে রাখা হয়েছিল জজ মিয়াকে। তবে কালের পরিক্রমায় ২০০৯ সাল থেকে প্রকাশ পেতে থাকে প্রকৃত ঘটনা। উল্টোদিকে ঘুরতে থাকা ঘড়ির কাঁটা পায় সঠিক কক্ষপথের সন্ধান। আসামি থেকে রাজসাক্ষী হন জজ মিয়া। একে একে বেরিয়ে আসতে থাকে প্রকৃত ঘটনা।
মো. জালাল কীভাবে জজ মিয়া? এমন প্রশ্নের জবাবে জজ মিয়া জানান, ২১ আগস্টের ঘটনার অনেক আগে নোয়াখালীর সেনবাগের গ্রামের বাড়িতে যুব কল্যাণ ফান্ড নামে একটি সমিতি গঠন করেন তিনি। ওই সমিতিতে বিচার শালিস হতো। সমিতির একটি পদে থাকার সুবাদে তাকেই অনেক সময় বিচার করতে হতো। এক পর্যায়ে তার নাম হয়ে যায় জজ মিয়া। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় বসবাস জজ মিয়ার। একটি আউটসোর্সিং কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার পরিবারে আছেন স্ত্রী, এক সন্তান ও ছোট বোন। মামলায় কীভাবে জড়ানো হয়? বিষয়টির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জজ মিয়া বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১২ কিংবা ১৫ দিন আগে আমি অসুস্থ হয়ে গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী চলে যাই। সপ্তাহখানেক পর মোটামুটি সুস্থ হই। যেই দিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলাডা হয়, ওইদিন বিকালে বাবুল ভাইর চায়ের দোকানে (স্থানীয় দোকান) চা খাইতাছিলাম। তখন টিভিতে দেখলাম গ্রেনেড হামলার খবর। ওই দোকানে তখন এলাকার বিএনপির জামাল মেম্বার ছিল। তহনই আমি কইছ, সবচেয়ে খারাপ কাজ হইছে এইড্যা। এইড্যা বিএনপি ছাড়া আর কেউ করেনাই। ওই সময় এইড্যা লইয়া জামাল মেম্বারের লগে আমার অনেক তর্ক-বিতর্ক হইছে। ওইদিন সন্ধ্যার সময় আমরা আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সদস্যরা কানকিরহাট বাজারে প্রতিবাদ মিছিলও করছি।’ তাহলে গ্রেফতার কেন? কোথা থেকে আপনাকে গ্রেফতার করা হয়? জবাবে জজ মিয়া বলেন, দেখেন, হামলার ঘটনার ১৫ দিন পর ঢাকায় আসব। এমন সময় গ্রামের মোকছেদ চৌকিদার আমারে বলতাছে- জজ মিয়া তোমার নামে থানায় কম্পিলিন আছে। দারোগার লগে থানায় দেখা কর। আমি কই- কী কম্পিলিন আছে? কয়- তুমি দেশে মাদক বেচো এই কম্পিলিন আছে। আমি কই- আমি মাদক বেচলে দেশে চেয়ারম্যান আছে, মেম্বার আছে, ময়মুরুব্বি আছে এরা আগে জানত। এর আগে কম্পিলিন থানায় কেমনে যায়? চৌকিদার কয়- তুমি আগে দেখা কইরো। চৌকিদার আবার কবির দারোগারে ফোন দিছে, ফোনে বলে- হেয় বাড়িতে আছে, চার দোকানে চা খাইতাছে আপনি আসেন। আমি দোকান থেইক্যা বাইর হমু এমন সময় হেয় কইতাছে- তুমি বাইর হইও না, কবির দারোগা আইতাছে, তুমি হের লগে কথা কইয়া যাও। আবার চার দোকানে তখন জামাল মেম্বারও আছিল, আরও মুরুব্বিরাও আছিল। কিছু সময় পর কবির দারোগা মোটরসাইকেলে আইস্যা আমারে হ্যান্ডকাফ লাগাইয়া ফেলাইল, কোনো কথা নাই। জামাল মেম্বারসহ অন্য মুরুব্বিরা দারোগারে কইতাছিল, ভাই কী হইছে, আমাদেরকে বলেন। ওর সম্বন্ধে তো আমরা জানি। দারোগা তাদের কয়, ‘ওর নামে আমগো কাছে কোন কম্পিলিন নাই, ঢাকায় ওর নামে মামলা হইছে, ঢাকা থেইক্যা লোক আইতাছে। আপনাদের যা বলার, থানায় আইস্যা বলেন।
জজ মিয়া জানান, তাকে সেনবাগ থানায় নিয়ে আসার পর হাজতখানায় রাখা হয়। ঘণ্টা তিনেক পর সিআইডির এসপি আবদুর রশীদের নেতৃত্বে একটি টিম সেনবাগ থানায় যায়। এ সময় রশীদ থানায় গিয়ে জজ মিয়াকে খোঁজেন। এরপর থানা থেকে পুলিশের সব সদস্যকে বের করে দেওয়া হয়। কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে হাজতখানা থেকে জজ মিয়াকে একটি কক্ষে নেওয়া হয়। বলা হয় জজ মিয়া গ্রেনেড হামলায় জড়িত ছিল। সিআইডির কথায় রাজি না হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে অমানুষিক নির্যাতন।
জজ মিয়া বলেন, আমি তাদের বারবার কইছি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের উল্টা সাইডের ফুটপাথে আমি সিডি ক্যাসেট আর ছবি-পোস্টার বেচি। আরেকটা দোকান আছে বক চত্বরে ফলের। হামলার দিন আমি কই ছিলাম তাদেরকে যাচাই করতে কই। হেরা কয় স্বীকারোক্তি কেমনে বাইর করতে হয়, তা আমগো জানা আছে। পরে আমার মুখ গামছা দিয়া বানছে, এরপর থানার ভিতরে আমারে ঘণ্টাখানেকের মতো এলোপাতাড়ি মারে। কেউ হাতে মারতাছে, কেউ পায়ে মারতাছে। মাইরে ডান হাতের হাড্ডিটা ফাইট্যা যায়। হেরা কয় স্বীকারোক্তি দিলে নাকি আমি বাইচা যামু। নাইলে ক্রসফায়ারে দিব।
আমার কান্না হেগো মন গলে নাই। বারবার কইছিলাম, স্যার আপনি তদন্ত করেন, আমি কই আছিলাম, ঘটনার দিন। তবে তাগো একটাই কথা আছিল, স্বীকারোক্তি না দিলে তোরে ক্রসফায়ার দিমু। আর ওই টাইমে ক্রসফায়ারটা এভেলেভেল চলতাছে। তখন ক্রসফায়ারের আতঙ্ক সবদিকে। এরপর থানা থেইক্যা বাইর কইরা গাড়িতে উঠাইয়া কই জানি লইয়্যা আইল। ঘণ্টাখানেক পর গাড়ি সাইড কইরা হেরা আমারে নামাইল। তখন কয়- যদি স্বীকারোক্তি দিস, তাইলে বাইচ্যা থাকবি। আর যদি না দিস তাহলে তোরে ক্রসফায়ারে দিমু, ঢাকা শহরের ৪/৫টা মার্ডারের মামলা দেখাইয়া দিমু। আমি কই- স্যার আমারে মাইরেন না, আর আমি কী স্বীকারোক্তি দিমু? আমিতো কিছুই জানি না। তারা কয়- তোরে কিছুই জানার লাগব না। এ কথা কইয়্যা তারা আমারে গাড়ি কইরা কই জানি লইয়্যা গেল। চোখ খোলার পর দেখি আমি একটা রুমের ভিতরে। তখন রশীদ সাহেব কইতাছে- তোরে বড় স্যারের কাছে লইয়া যামু, তখন সেখানে তুই কবি তুই ঘটনার লগে জড়িত। কতক্ষণ পর আবার চোখ বাইন্দা লইয়া যায় রুহুল আমিন সাহেবের রুমে। রুহুল আমিন সাহেব আমারে কয়- তুমি কী জানো? আমি কই- স্যার, আমি শুধু জানি আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত, আর আমি এইডার লগে ছিলাম। পরে রুহুল আমিন সাহেব রশীদ সাহেবরে বাইর কইরা দিয়া আমারে বসায়। বসাইয়্যা আমারে কয় খামাখা তুই জানেরে এত কষ্ট দিস কেন? তুই স্বীকারোক্তি দিয়া দে, ভালো থাকবি। আমি কই- স্যার, আমিতো ঘটনার কিছুই জানি না, স্বীকারোক্তি কী দিমু? তখন রুহুল আমিন সাহেব কয়- আমরা সবকিছু তোরে শিখায়া দিমু। কী কী হইছে, না হইছে। পরদিন সকাল ৮টার দিকে আমারে আবার ডাকে। ডাইক্যা তারা কয়- আমরা যেইডা কই, এইডা শোনলেই তুই বাঁচতে পারবি। এমনকি তোর ফ্যামিলিও আমরা দেখমু। না শুনলে, তুই আসামি থাকবি তোর ফাঁসি হইয়া যাইব।
কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে ডুকরে কেঁদে ওঠেন জজ মিয়া। কিছু সময় পর নিজেকে কিছুটা সামলে নিয়ে তিনি বলেন, ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়ে আমাকে একটি জবানবন্দি মুখস্থ করানো হয়। ল্যাপটপ বাইর কইরা বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের হামলার ভিডিও ফুটেজ কয়েক দফা আমারে দেখায় সিআইডির অফিসাররা। এরপর আমারে অনেকগুলো ছবি বাইর কইরা দেখায়। আমি কই- স্যার, এদের কাউরেতো আমি চিনি না। কয়- প্রতিটা ছবিতে নাম আছে। ওইগুলা ভালো কইরা দেখ। সবগুলো ছবির নাম মুখস্থ করায়। পরে জানছি ওই ছবিগুলো ছিল তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীগো। ৭ দিনের রিমান্ডে আইনা আমারে এগুলা মুখস্থ করাইছে। মুখস্থ করানোর পর বলাইয়া আবার ভিডিও করছে। তখন মুন্সি আতিক সাহেব উপস্থিত ছিল। ভিডিও করার পর আমারে কয়- তুই যদি আমাদের কথা না শুনছ তাহলে এই ভিডিও ফুটেজেই তোর বিচার হইব। তখন আমি কই- স্যার, আমার ফ্যামিলির কী হইব? তারা কয়- তুই যতদিন ভিতরে থাকবি, ততদিন তোর ফ্যামিলির যত খরচপাতি লাগে এইডা আমরা দিমু। পরে হেরা আমারে কোর্টে নেয়। তখন আমার সঙ্গে এসপি রশীদ সাহেব আর মুন্সি আতিক সাহেব ছিল। এরপর জজের চেম্বারে ঢুকলাম। সঙ্গে তারা দুজনও ঢুকে পড়ে। ম্যাজিস্ট্রেট একলা থাকলে আমি হয়তো সত্য কিছু কইতে পারতাম। দুই এসপি সামনে বইস্যা থাকায় আমি কথা ঘুরানের কোনো সুযোগ পাইনাই। হেরা যেভাবে শিখাইয়া দিছে, ওইভাবে আমি বইলা গেছি। মাঝে মাঝে কিছু কথা ভুইলা গেছি, এগুলা আবার মুন্সি আতিক আর এসপি রশীদ সাহেব ম্যাজিস্ট্রেটকে বলছে।
কারাগারে কীভাবে কাটছে? এমন প্রশ্নের জবাবে জজ মিয়া বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এক রাইত রাখার পর তারা আমারে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠায়া দিল। কনডেম সেলে রাখা হয় আমারে। ওইখানে তিন মাস পর রুহুল আমিন সাহেব আর মুন্সি আতিক সাহেব জেলগেটে আমার লগে দেখা কইরা একই কথা কয়। বলে, কেউ যদি জিগায় তাহলে কবি, আমরাই শেখ হাসিনাকে মাইরা ফালানোর প্রোগ্রাম করছি। একটা রুমে তিন বছরের মতো আছিলাম। আম্মা জেলগেটে আইলে তারে কইলাম- ‘আম্মা টেকা-পয়াসাতো এরা দিতাসে, চলে না কষ্ট হয়? মা কয়- বাবা টেকা-পয়সা বড় কথা না, তুই কী কারণে ভিতরে? তোরে আইনা আটকায় রাখল কেন? আমি কই- একটা মামলা আছে, মামলাডা শেষ হইলে এরা আমারে বাইর করব। আর যতদিন ভিতরে থাকমু স্যারেরা আপনেরে চালাইব। আপনি টেনশন কইরেন না, আর কারও লগে কোনো কথা বাতরি কইয়েন না। মারে বুঝাইয়া দিলাম মা চইল্যা যায়।
প্রকৃত সত্য বের হলো কীভাবে? জবাবে জজ মিয়া বলেন, গ্রেফতারের পর কয়েক মাস আমার মায়ের কাছে তারা ৪-৫ হাজার কইরা টাকা দিছিল। এইড্যাই...। একবার সিআইডি থেইক্যা ফোন দিলে মা ঢাকায় আইছে টেকা নিতে, তখন এক চ্যানেলের সাংবাদিক বাড়িতে রিপোর্ট করতে গেছিল। আমার ছোটবোনরে জিগায় তোমার ভাইতো নাই, তোমাদের সংসার কেমনে চলে? ছোটবোন কয়- সংসার চলে এমনেই। তখন সাংবাদিক কয়- তোমার আম্মায় কই? ছোটবোন বলে- ঢাকায়। ঢাকায় কই গেছে? কয়- সিআইডি অফিসে। সিআইডি অফিসে কিয়ের লিগা গেছে? কয়- আমার ভাইরে অ্যারেস্ট করছে যারা, তারাই আমগোরে চালাইতাছে। এইডা জানাজানির পরে, এরা যে নম্বরে মার লগে যোগাযোগ করত তা বন্ধ কইরা দেয়। পরে তাদের লগে আর কোনো যোগাযোগ নাই আমার ফ্যামিলির। ৪-৫ দিন পর জেলগেটে সিআইডি থেকে যাইয়া আমার লগে দেখা কইরা কয়- আমরা তোকে বাঁচাইতে চাইছি। তোর ফ্যামিলিতো চায় না। মিডিয়ার লগে যোগাযোগ বন্ধ করতে ক তোর পরিবাররে। আমার মারে আমি এইড্যা বুঝাইছি। হে এইড্যা হুনবার চায় নাই। তার কথা হে সত্যটা কইবই।
জজ মিয়া বলেন, এমন টাইমে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইয়া পড়ে। মামলা পুনরায় তদন্ত শুরু হয়। একদিন র্যাবের কর্নেল গুলজার সাহেবের লগে সিআইডি টিম যায়। লগে মুন্সি আতিক আছিল। আগের ঘটনা আবার আমারে জিগাইলে আমি কই- স্যার, আমি যদি এখন সত্য কথা কই তাহলে আমারে কি ক্রসফায়ারে দেবেন, না জেলের বাইরে নেবেন? তখন তারা কয়- এইডা আমরা বলতে পারি না। তখন আমি কই- তাহলে আমি কিছু বলতে পারুম না। তখন তারা কয়- সত্য যেটা এইডাই কও। তখন ক্রসফায়ার না দেওয়ার আশ্বাস দেয়। আসল ঘটনা শোনার পর গুলজার সাহেব আতিক সাহেবের সঙ্গে অনেক চেতাচেতি করে। যাওয়ার সময় আমারে কয়- আল্লাহ ভরসা, আল্লাহরে ডাক, আল্লাহ ছাড়া তোমাকে এখান থেকে কেউ বাঁচাইতে পারব না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকতেই আমি মামলা থেকে অব্যাহতি পাই।
রিমান্ডে থাকা সময়ের স্মৃতিচারণ করে জজ মিয়া বলেন, ওই সময় একদিন মগবাজারে ওয়ার্ড কমিশনার মোখলেছ সাহেবের বাড়ির গলিতে নিছিল। ওই গলিতেই আমারে শিখাইয়া দেয় যে- আমরা মোখলেছ সাহেবের বাড়ির নিচে মিটিং করছি, আমারে মিষ্টির ঠোংগা দিছে, ঠোংগা নিয়া বায়তুল মোকাররম মসজিদে বইছি, বওয়ার পর ভাগ ভাগ হইছি। ওই সময়ই আরেকটা গাড়িতে থাকা চোখ বাঁধা অবস্থায় মোখলেছ সাহেবরে দেখাইয়া কয়- ভালো কইরা চিইনা রাখ। তখন যাদের দেখাইতো কাউকেই চিনতাম না। এখন চিনি। সিআইডি অফিসে থাকার সময় বিদেশি সাংবাদিকরাও আইছিল। তখন রুহুল আমিন সাহেব আমারে আগে থেকেই বলছিল, তোর দিকে যদি আমি হাত উঠাই, তাহলে তুই হ কইয়া মাথা নামায় ফেলবি। আর তুই হাত জোড় কইরা বইয়া থাকবি। সে ইংলিশে কী যেন কইয়া হাত উঠায়, আর আমি হাত জোড় কইরা মাথা নামাইয়া রাখি।
এখনো আতঙ্কে ভোগেন উল্লেখ করে জজ মিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সাড়ে ১০ বছর চলছে। কিন্তু আমার ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি। আমি কেমন আছি এটার আর কেউ খোঁজ নেয় না। প্রায় দেড় বছর আগে আমার মা মারা গেছে। অনেক কষ্ট কইর্যা তার চিকিৎসা করাইছিলাম। কী আর কমু ভাই! এর আগে দুবার বিয়ে কইর্যাও বউ রাখতে পারি নাই। ২১ আগস্টের বিষয়টি জানার পর আতঙ্কে বউয়ের গার্জিয়ানরা তাগো মাইয়া লইয়্যা যায়। এহন আল্লাহই জানে বাকি জীবন কেমনে কাটামু!
ঝালকাঠি আজকাল- রোজার মাসে সুস্থ থাকতে হৃদরোগীরা যা করবেন
- মুখে-গলা-ঘাড়ে কালো ছোপ?
- ঐতিহাসিক চুক্তি ॥ একীভূত হলো পদ্মা ও এক্সিম ব্যাংক
- আসছে ১৫০০ টন ভারতীয় পিঁয়াজ
- প্রশাসনে গতি বাড়ানোর উদ্যোগ
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত
- ইফতারে খান চিড়ার লাচ্ছি
- পণ্য মজুতের দায়ে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা সাড়ে ৩ লাখ
- কয়রায় সুইডেনের প্রিন্সেস ক্রাউন ভিক্টোরিয়া
- হলমার্কের এমডি তানভীর ও তার স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
- রমজানে জাল টাকা প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
- মোংলায় বড় জাহাজ ভেড়াতে শুরু হয়েছে মহাযজ্ঞ
- প্রবাসী নারীর অশ্লীল ভিডিও ধারণ, যুবক আটক
- ফোন সুইচ অফ থাকলেও খুঁজে পাবেন সহজে
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি দামে গরুর মাংস বিক্রিতে অপারগতা
- গাজায় দুর্ভিক্ষ-অনাহারে মৃত্যুর ঝুঁকিতে ৩ লাখ ফিলিস্তিনি
- নাশকতার মামলায় বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী কারাগারে
- ৭ কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি আটক
- প্রধানমন্ত্রী সবার কথা ভাবেন বলে দেশ আজ উন্নত - শাজাহান খান
- শিবচরে ১ শত ২০ কেজি জাটকা ও জেলিযুক্ত ১০ কেজি চিংড়ি জব্দ
- শরীয়তপুরে প্রথমবার মৌরি চাষ
- বরিশালকে সর্বোচ্চ পেনশন স্কিমের আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি
- মেঘনায় অভিযানে জব্দ ৫০ লাখ মিটার জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট
- জনগনের স্বাস্থ্যসেবা দোরগোড়ায় পৌছে দিতে কাজ করছে সরকার
- আত্মতুষ্টি নয়, আগামী পাঁচ বছর দেশ পাহারা দেবো : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- দুমকিতে শিশু ধর্ষনে অভিযুক্ত আসামী গ্রেফতার
- অপরিপক্ক তরমুজে সয়লাব বাজার, বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে
- একরাতে কবর থেকে ১৭ কঙ্কাল উধাও!
- ইস্টার্ন প্লাজায় আইফোনসহ নামিদামি ব্রান্ডের নকল মোবাইল!
- শিশুকে আটকে রেখে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন
- কান্না থামাতে মুখ চেপে ধরলে মারা যায় শিশু নুসরাত
- জাতিসংঘ বাংলাদেশে জলবায়ু কর্মকান্ডে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে
- আল্লাহর কাছে মর্যাদা ও সওয়াবে নারী-পুরুষের সাম্য
- প্রধানমন্ত্রী যুবসমাজকে গড়ে তুলতে কর্মমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন
- রমজান উপলক্ষে ঝালকাঠিতে চলছে সুস্বাদু মোটা মুড়ি ভাজার উৎসব
- ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালিত
- একজন মুসলিম যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিবেন
- তার ছাড়াই গ্রাহকরা পাবেন ব্রডব্যান্ড
- এন্ডোসকপি করাতে গিয়ে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
- রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা
- আম্বানিপুত্রের বিয়েতে বসবে তারার মেলা, থাকছেন যারা
- ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত
- রেটলিস্ট হালনাগাদে মতামত জানতে চায় বিটিআরসি
- রোজার আগে যেসব প্রস্তুতি নেবেন
- অশিক্ষার অন্ধকারে কেউ থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
- চট্টগ্রামের সুগার মিলের আগুনে এক লাখ টন চিনি পুড়ে ছাই
- নলছিটিতে হত্যা মামলায় ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার-২
- যেকোনো গণিতের সমাধান করে দেবে অ্যাপ
- শবে বরাতের আমল ও ফজিলত
- ঋতু পরিবর্তনের সময় রোগব্যাধি এড়াতে যা করবেন