• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

কোন দেশে আছে রাস্তায় দুর্ঘটনা হবে, কিন্তু বিচার হবে না: নাসিম

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২০ নভেম্বর ২০১৯  

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, পরিবহন শ্রমিক পক্ষ, মালিক পক্ষ সবার সঙ্গে আলোচনা করে, মতামত নিয়ে দীর্ঘ একবছর পর নতুন সড়ক আইন বাস্তবায়ন করা হলো। আর সঙ্গে সঙ্গে জনগণকে জিম্মি করে আন্দোলন শুরু হয়ে গেলো। কোন দুনিয়ায় আমরা আছি। দুনিয়ার কোন দেশে আছে রাস্তায় দুর্ঘটনা হবে, কিন্তু বিচার হবে না?

বুধবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে এবং শেখ রাসেলের জন্মদিনকে ‘শিশু রক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করার দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এই সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে পরিবহন শ্রমিক, মালিক পক্ষের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। জনগণের স্বার্থ, শ্রমিকের-মালিকেরও স্বার্থ রক্ষার জন্য আইনটি নিয়ে অনেকবার আলোচনা হয়েছে, ক্যাবিনেটে কথা হয়েছে। সবার মতামত নিয়ে আজকে দীর্ঘ এক বছর পর সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে আইনটি বাস্তবায়ন করা হয়েছে। দুনিয়ার কোন দেশে আছে রাস্তায় দুর্ঘটনা হবে, কিন্তু বিচার হবে না। একমাত্র অসভ্য লোক ছাড়া এমন কথা কেউ বলতে পারে না। রাস্তায় আপনার চোখের সামনে আপনার সন্তান, পরিবারের সদস্য নিহত হয়ে যাচ্ছে। কতো নারী-শিশু নিহত হচ্ছেন। জনগণের দাবি, যাতে তারা রাস্তায় নিরাপদে চলতে পারে। যেটা দুর্ঘটনা সেটা দুর্ঘটনাই। কিন্তু কোনো ঘাতক যদি ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্ঘটনা ঘটায় এবং কারো মৃত্যু হয়। তাহলে তো এটা হত্যাকাণ্ড। এর বিচার হবে না কেনো। তারপরও অনেক পর্যালোচনা করে, সবার মতামত নিয়ে নতুন সড়ক পরিবহন আইনটি করা হয়েছে। আর আইনটি করার সঙ্গে সঙ্গে দেখা গেলো জনগণকে জিম্মি করে আন্দোলন শুরু হয়ে গেলো। কোন দুনিয়ায় আমরা আছি। জনগণকে জিম্মি করে, জনগণকে কষ্ট দিয়ে আপনার ধর্মঘট করে যাবেন। এটা আমরা কোনোভাবেই সমর্থণ করি না।

তিনি বলেন, অনেক পরিবহন নেতা আছে যারা আওয়ামী লীগ করে। আওয়ামী লীগের ছায়াতলে এমপি-মন্ত্রী হয়েছেন। সুফল ভোগ করছেন। অথচ তাদের কৃতজ্ঞতাটুকু নাই। তারা এখন সরকারকে বিব্রত করতে জনগণকে জিম্মি করে আন্দোলন করছেন। এই আন্দোলন আমরা সমর্থন করি না। আপনারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন, তবে ক্যাবিনেটে না বসেই কেনো আন্দোলন করছেন মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্য?

১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম বলেন, পরিবহন সেক্টরের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো চাঁদাবাজি। কোটি কোটি টাকা চাঁদাবাজি হয় এখানে। আর এই চাঁদা আদায়ের জন্য কোনো দলের রাজনৈতিক নেতার কোনো ধর্ম নেই। এখানে বামপন্থী দল আছে, আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবাই আছে। এই যে পরিবহন শ্রমিক নেতা, মালিক পক্ষের নেতা তারা কিন্তু সবাই বিভিন্ন দলের রাজনীতি করে। কিন্তু চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে তারা সবাই একমত। সবাই একই সিন্ডিকেট।এমনকি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও এর সঙ্গে জড়িত। চাঁদার কারণে অনেক পরিবহন শ্রমিক-মালিক নির্যাতিত হয়। এই চাঁদাবাজি বন্ধ হলে সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। দুর্ঘটনাও কমে যাবে, চালকের বাড়াবাড়ি কমে যাবে। মালিকেরও বাড়াবাড়ি কমে যাবে। আজকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন হলে দেখবেন পরিবহন সেক্টর ভালো চলবে। কিছু হলেই আপনারা ধর্মঘট করেন, কেনো করেন, কেনো মানুষকে কষ্ট দেন?।

এসময় তিনি বলেন, ক্যাসিনোকাণ্ডে যেমন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো দল-মত না দেখে নিজের দলের লোকজনের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিয়েছেন। তেমনি এই পরিবহন সেক্টরে যারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে, চাঁদাবাজি করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি ফালগুনী হামিদ। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

ঝালকাঠি আজকাল