• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

কর্মক্ষেত্রে যে কারণে হাসতে হবে

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২ নভেম্বর ২০২০  

অফিস মানে এমন একটি জায়গা, যেখানে সবাই কাজের জন্য যায়। প্রত্যেকেই তার কাজ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। উঁচু গলায় কথা বলা যায় না, গল্প-আড্ডা থেকেও থাকতে হয় দূরে। মানুষেরা তখন ছোট-খাট এক রোবট হয়ে ঘাড় গুঁজে কাজ করে যায়। কিন্তু আসলেই কি এভাবে সম্ভব? হাসি-গল্প-আড্ডা তো মানুষের সাধারণ অভ্যাস। এগুলো থেকে বেশিক্ষণ দূরে থাকা যায় না। দূরে রাখা উচিতও নয়। কারণ নিরস মুখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে গেলে সেই কাজ হয়তো সম্পূর্ণ হবে, তবে কাজে প্রাণ থাকবে না। যিনি কাজ করছেন তার শারীরিক ও মানসিক ভালো থাকাও সমান জরুরি।

ভালো থাকতে হলে হাসির বিকল্প নেই একথা আমরা সবাই জানি। এমনিতেও গোমড়া মুখের কোনো ব্যক্তিকে অন্যরা পছন্দ করেন না। অফিসে সেই কর্মীই বেশি জনপ্রিয় যিনি হাসিমুখে সবার সঙ্গে কথা বলেন। তবে এই হাসি মানে কিন্তু কাজ রেখে সবার সঙ্গে হাসাহাসি নয়। বরং কাজ ও হাসির সমন্বয় হলে তখন তা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হবে। কর্মক্ষেত্রে হাসিখুশি থাকার কিছু উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিন-

jagonews24

অফিস মানেই একগাদা কাজের চাপ- আপনার মনে যদি এমন ধারণা একবার আসন গেড়ে বসে তবে তা দূর করা মুশকিল। দিনের পর দিন বিনোদন বঞ্চিত থাকলে একটা সময় তা বিষণ্নতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর বিষণ্ন অবস্থায় যে কাজ করবেন, তা নিশ্চয়ই ততটা সুন্দর হবে না! তবে হাসির কারণে শরীরে ‘এন্ডোরফিনস’ হরমোন নিঃসৃত হয়, যা বিষন্নতা দূর করে। তাই বিষণ্নতা কাটাতে এবং কাজের দক্ষতা বাড়াতে হাসতে হবে প্রতিদিন। এই হাসি মানে কিন্তু জোর করে হাসা নয়, বরং চারপাশের পরিবেশ হাসিখুশি রাখা।

কাজের চাপ থাকবেই। নিজের যোগ্যতার প্রমাণ দিতে হলেও আপনাকে কাজ দিয়েই আগাতে হবে। কিন্তু এই চাপ একপাশে রেখে নিজেকে হালকা করারও প্রয়োজন আছে। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকে হাসুন। একা একা নয়, কিছুক্ষণ বিরতি নিয়ে সহকর্মীদের সঙ্গে চা-কফি পান করতে পারেন। সেইসঙ্গে চলতে পারে গল্প-হাসি আড্ডা। তবে খেয়াল রাখবেন, তা যেন এতটা সময় না হয় যা কাজের ক্ষতি করে। কারণ কর্মক্ষেত্রে আপনার যাওয়ার প্রধান কারণ হলো এই কাজ।

jagonews24

সহকর্মীরা হলেন পরিবারের সদস্যদের পরে সবচেয়ে কাছের মানুষ যারা দিনের একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে পাশাপাশি থাকেন। তাই তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা জরুরি। সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক কেমন, তা কিন্তু আপনি মানুষ হিসেবে কেমন সেই বিষয়টিও প্রকাশ করে। অফিসে হাসিখুশি থাকলে সহকর্মীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তৈরি হবে সহজেই।

jagonews24

মানসিক চাপ যে শুধু অফিসের কাজের কারণে হয়, তা কিন্তু নয়। বরং পারিবারিক কিংবা অন্যান্য কারণেও মানসিক চাপে ভুগতে পারেন। এটি কমাতে সব সময় থাকতে হবে হাসিখুশি। অফিসের কাজের চাপ যেন সেই মানসিক চাপের সঙ্গে জোট বাঁধতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তাই কাজের সময়টাতেও হাসুন। নিজেকে ভালো রাখুন। ভালো রাখুন চারপাশের মানুষকেও।

ঝালকাঠি আজকাল