• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

কঙ্গোতে শান্তিরক্ষা মিশনের দুর্গম-ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাম্প অ্যাবেবা

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২০  

 


কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের দুর্গম ও ঝুঁকিপূর্ণ ক্যাম্পগুলোর একটি অ্যাবেবা। যেখানে বাংলাদেশি সেনাদের প্রতিনিয়ত মিলিশিয়াদের আচমকা হামলা মোকাবেলা করতে হয়। এর মাঝেও সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার পাশাপাশি চরম দুর্ধর্ষ একটি মিলিশিয়া বাহিনীকে শান্তিচুক্তির দোড়গোরায় নিয়ে এসেছেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা।
অ্যাবেবামুখী হতে যে নিরাপত্তা আয়োজন তা দেখে কিছুটা আঁচ করা যায় এলাকাটি কতটা বিপৎসংকুল। ঘন-জঙ্গলে মোড়া কঙ্গোর ১৫০টি সশস্ত্র মিলিশিয়া গ্রুপের প্রধান ৪টির দুটিই সক্রিয় অ্যাবেবায়। এ ছাড়াও রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বিষধর সাপ ব্ল্যাক মামবাবা। আর তাই নর্দার্ন সেক্টর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাজারি থেকে শুরু করে ঢাকা থেকে যাওয়া মিডিয়া টিমের প্রত্যেকের জন্য এ সতর্কতা।

বিপদ যেখানে কঠিন মানুষে মানুষে সম্পর্ক সেখানে হতে হয় নিবিড়। কি লিডার এঙ্গেজমেন্ট কর্মসূচিতে স্থানীয় সেনা, পুলিশ বাহিনীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানোর মাধ্যমে এ নীতির বাস্তবায়ন করছে ব্লুহেলমেটধারী বাংলাদেশি সেনারা।

কঙ্গোর এক বাসিন্দা জানান, বাংলাদেশি এখানে খুবই ভালো কাজ করেছে। তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।তবু মিলিশিয়াদের আক্রমণ থেকে ক্যাম্প ও স্থানীয়দের রক্ষা করতে সদা-সতর্ক থাকতে হয় শান্তিরক্ষীদের কুইক রেসপন্স টিমকে।

কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, আমাদের কমান্ড দেয়ার ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে তাদের ওপর চওড়া হতে পারি।

২০০৩ সাল থেকে এখানে নিয়োজিত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অব্যাহত প্রচেষ্টায় অস্ত্র ছাড়তে সম্মত হয়েছে ভয়ঙ্কর মিলিশিয়া গ্রুপ এফআরপিআই।
কঙ্গোতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মেজর হাদি বলেন, একটা ওয়েপন ফ্রি জোন করার মাধ্যমে এলাকার এবং শান্তি চুক্তি করার জন্য যা প্রয়োজন সেটা আমরা এখান থেকে করে আসছি।

কঙ্গোতে শান্তি ফেরাতে এ পর্যন্ত প্রাণ দিয়েছেন ১৪ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী।

ঝালকাঠি আজকাল