• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

আবরারের মৃত্যু: দায়ীদের পক্ষে সাফাই গেয়ে ফের বিতর্কে ভিপি নুর!

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২০  

ফের বিতর্কিত ও পক্ষপাতমূলক মন্তব্য করে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুর। ২০১৮ সালের নভেম্বরে আলোচিত মোহাম্মদপুর রেসিডেন্সিয়াল স্কুলের শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরারের (১৫) মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের পক্ষে ভিপি নুর অবস্থান নেয়ায় এই সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে। আবরার হত্যার পরোক্ষভাবে জড়িতদের পক্ষে সাফাই গাওয়ায় ভিপি নুরের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।

ওই ঘটনায় মামলার আসামি দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সম্পাদকের বিরুদ্ধে জারি করা আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ‘নিন্দা’ জানিয়ে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) নিজের এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন ডাকসু ভিপি নুর। ওই স্ট্যাটাসের পর ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দেশের ছাত্রসমাজ ও সাধারণ মানুষ।

এর আগে আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারিক আদালত। এ অবস্থায় শোকাহত ছাত্রসমাজকে আঘাত দিয়ে আসামিদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন ডাকসুর বিতর্কিত ভিপি নুর।

ভিপি নুরের স্ট্যাটাস নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, নাঈমুল আবরারের মৃত্যু যেখানে একটি আলোচিত ঘটনা এবং এ ঘটনায় সারাদেশের মানুষ ক্ষুব্ধ, তারা প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলাকে দায়ী করছেন- সেখানে নুর কীভাবে হত্যাকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে কিভাবে এই ধরণের পক্ষপাতমূলক স্ট্যাটাস দেয়, সেটি আমার কাছে বোধগম্য নয়। একজন ছাত্র প্রতিনিধি হয়ে অপর একজন ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় আসামিদের পক্ষে অবস্থান নেয়ার পর ডাকসু ভিপি থাকার নৈতিক অধিকার কি তার থাকে?

এদিকে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, একটি বিচারাধীন বিষয়ে কীভাবে নুর এমন মন্তব্য করতে পারেন? যেখানে দেশের একটি বিচারিক আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন, সেখানে তার এমন মন্তব্যকে আদালত অবমাননার শামিল বলেও মনে করছেন তারা।

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে আরও কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন ভিপি নুর। তবে নেটিজেনরা বলছেন, এর প্রত্যেকটি ঘটনারই হয় বিচার হয়েছে, নয়তো বিচার-প্রক্রিয়া চলছে। এসব উদাহরণ দিয়ে তিনি একটি অবহেলাজনিত মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে পক্ষপাতিত্ব করছেন। বিষয়টি হতাশাজনক।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর বিকেলে মোহাম্মদপুর রেসিডেন্সিয়াল কলেজ ক্যাম্পাসে প্রথম আলোর সহযোগী প্রতিষ্ঠান কিশোর আলোর অনুষ্ঠান চলাকালীন মঞ্চের পেছনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরার। পরে তাকে মহাখালীর একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক আবরারকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় প্রথম আলোর দায়িত্বহীনতাকে দায়ী করেছে আবরারের পরিবার ও কলেজ কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার বাবা। ওই মামলাতেই চলতি মাসের ১৬ জানুয়ারি প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান ও পত্রিকাটির সহযোগী প্রকাশনা কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হকসহ দশজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার একটি বিচারিক আদালত।

ঝালকাঠি আজকাল