• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আজ ৮ ডিসেম্বর ঝালকাঠি মুক্ত দিবস

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

আজ ৮ ডিসেম্বর ঝালকাঠি মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঝালকাঠি জেলা হানাদার মুক্ত হয়। এদিন ভোর রাতে ঝালকাঠিতে থাকা পাকিস্থানী সেনারা নদী পথে বিলাঞ্চলে অপারেশনের নামে শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়। দুপুরে তাদের দোষর রাজাকার বাহিনী অস্ত্রসহ শহরের তরুণ মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের কাছে আত্মসমর্পণ করে। সন্ধ্যায় বিনা বাঁধায় ঝালকাঠি থানা দখলে নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। এরপর চুরান্ত ভাবে মুক্ত হয় ঝালকাঠি। এরপরেই জয় বাংলার স্লোগানে মুখোরিত হয় ঝালকাঠির আকাশ বাতাস।

মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, ৭ ডিসেম্বর রাতে শহরে পাকিস্তানিদের দোষর এক রাজাকার ৮ ডিসেম্বর ভোরে রাস্তায় যাকে দেখা যাবে তাকে গুলি করে হত্যা করা হবে বলে কার্ফু ঘোষণা করে। কিন্তু ভোর হওয়ার আগেই ঝালকাঠিতে থাকা পাকবাহিনী নৌ যোগে শহর ছেড়ে পালিয়ে যায়।

সে সময়কার তরুণ মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আনোয়ার হোসেন পান্না বলেন, কুখ্যাত বারেক রাজাকার ৩৬ সদস্যের রাজাকার বাহিনী নিয়ে শহরের কাঠপট্টি এলাকায় তার নেতৃত্বে তরুণ মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয়দের কাছে আত্মসমর্পন করে। পাকবাহিনী শহর ছেড়ে যাওয়ার পর রাজাকারা পালাতে শুরু করেছিল। এ সময় তরুণ মুক্তিযোদ্ধারা জয় বাংলার স্লোগানে দিয়ে রাজাকারদের ঘিরে ফেললে রাজাকারা নিজেদের রাইফেল ফেলে আত্মসমর্পন করে। পরে রাজাকারদের শহরের পশ্চিম ঝালকাঠি নিয়ে গেলে স্থানীয় জনতার গণধোলাইয়ে কুখ্যাত রাজাকার বারেক নিহত হয়।

একই দিন সকালে নলছিটি থানার তৎকালীন পুলিশ কর্মকর্তারা নলছিটির মুক্তিযোদ্ধা সেকান্দার আলী মিয়ার কাছে অস্ত্রসহ আত্মসমর্পন করে। ৭ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা থানা ঘেরাও করে রাখে। নলছিটি থানা পুলিশ প্রাথমিক পর্যায় প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও চারিদিক থেকে অবরুদ্ধ অবস্থা দেখে তারা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। ফলে ৮ ডিসেম্বর নলছিটি বন্দরও হানাদার মুক্ত হয়।

এদিকে ৮ ডিসেম্বর সকাল থেকেই ঝালকাঠি শহরের চারপাশে অপেক্ষমান মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে ঢুকতে শুরু করেন। সন্ধ্যায় ঝালকাঠি থানা অবরুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধারা। তৎকালীন পুলিশের সিআই শাহ আলম আনুষ্ঠানিক ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করেন।

ঝালকাঠির তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেলিম শাহনাজের কাছে ঝালকাঠি থানা পুলিশ অস্ত্রসহ অত্মসমর্পণ করলে চুড়ান্ত ভাবে মুক্ত হয় এ জেলা।

হানাদার মুক্তির খবর শহরবাসীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে আনন্দ উল্লাস আর জয় বাংলার স্লোগানে রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ।

ঝালকাঠি আজকাল