• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

অভিজিৎ হত্যা : ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা অভিজিৎ রায় হত্যা মামলার পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ মঙ্গলবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির ও মো. আরাফাত রহমান। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি হলেন শফিউর রহমান ফারাবি।

তাদের মধ্যে মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে আবির শুরু থেকেই পলাতক। বাকি চারজন কারাগারে রয়েছেন।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি মামলাটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার এদিন ঠিক করেন। এর আগে গত ২৭ জানুয়ারি আদালতে আত্মপক্ষ শুনানিতে আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য-প্রমাণে আসা অভিযোগ পড়ে শোনালে কারাগারে থাকা চার আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে। তারও আগে রাষ্ট্রপক্ষ ট্রাইব্যুনালে এ মামলার অভিযোগ প্রমাণের জন্য চার্জশিটের ৩৪ জন সাক্ষীর মধ্যে অভিজিতের বাবা অধ্যাপক ড. অজয় রায়সহ ২৮ জনের সাক্ষ্য উপস্থাপন করেন।

মামলায় ২০১৯ সালের ১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ ইন্সপেক্টর মুহাম্মাদ মনিরুল ইসলাম ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিভিন্ন ধারায় এ চার্জশিট দাখিল করা হয়, যার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

চার্জশিটে বলা হয়, ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে অপপ্রচার ও মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি করায় জঙ্গি গ্রুপ আনসার আল ইসলামের নেতা মেজর জিয়ার নির্দেশ ও পরিকল্পনা এবং শারীরিক প্রশিক্ষক সেলিমের উপস্থিতিতে সংগঠনটির সদস্যরা অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার দুদিন আগে থেকে জঙ্গি সায়মন, সোহেল, আকরাম ও হাসান অভিজিৎ রায়ের গতিবিধি অনুসরণ করে। তাদের তথ্যের ভিত্তিতে আরাফাত, খলিল ওরফে আলী, অন্তু ও অনিক হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়। হত্যাকাণ্ডের সময় মেজর জিয়া, শরীরচর্চা প্রশিক্ষক সেলিম ঘটনাস্থল ঘিরে রাখেন যাতে তাদের সহযোগীদের কেউ আটক করতে না পারে। হত্যাকাণ্ডের পর তারা ঘটনাস্থলে ব্যবহৃত চাপাতি ফেলে পালিয়ে যান।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি একুশে বইমেলা থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যা এবং তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ ওরফে বন্যাকে গুরুতর আহত করা হয়। তারা উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অভিজিৎ যুক্তরাষ্ট্রে সফটওয়্যার প্রকৌশলী ছিলেন এবং বন্যা চিকিৎসক। ঘটনার পরদিন অভিজিতের বাবা অজয় রায় শাহবাগ থানায় এ হত্যা মামলা করেন।

ঝালকাঠি আজকাল