অপ্রয়োজনীয় সিজার বন্ধে লড়ছেন যে নারী
বিশ্বব্যাপী ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রসব সিজারিয়ান বা সি-সেকশন করানোর সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ডাব্লিউএইচও৷ কিন্তু বাংলাদেশে সেই সীমা ছাড়িয়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে৷
গত দুই বছরে শিশু জন্মের ক্ষেত্রে সিজারিয়ানের হার বেড়েছে ৫১ শতাংশ। বিষয়টিকে ‘অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচার’ উল্লেখ করছেন অনেকেই। বেসরকারি এক পরিসংখ্যান বলছে, গত বছর সিজারিয়ানের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের খরচ প্রায় চার কোটি ঢাকা।
দেশের এমন পরিস্থিতি পরিবর্তনে কাজ করছেন এক তরুণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম। সম্প্রতি অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান রোধে নানা পদক্ষেপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন একুশে টিভি অনলাইনকে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন একুশে টিভি অনলাইন প্রতিবেদক তবিবুর রহমান।
প্রশ্ন: দেশে সিজারিয়ানের বর্তমান অবস্থা কী?
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম: বিশ্বব্যাপী ১০ থেকে ১৫ শতাংশ প্রসব সিজারিয়ান বা সি-সেকশন করানোর সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই হারটা বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ৩১ শতাংশে পৌঁছেছে। এর সাথে মাতৃ-মৃত্যুর হার বাড়ছে। সিজারিয়ান হলো মা ও সন্তানের জীবন রক্ষার্থে এক ধরনের চিকিৎসা। তবে আমাদের দেশে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর ব্যবসায়ী স্বার্থে অপ্রয়োজনীয় সিজার বেড়েছে।
প্রশ্ন : কী কারণে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ান বাড়ছে, আর এটা প্রতিরোধে আমাদের করণীয় কী?
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম: সম্প্রতি সিজারিয়ান বেড়ে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে ব্যবসায়ী স্বার্থ। বেসরকারি হাসপাতালগুলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য অনৈতিকভাবে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ানের দিকে ঝুকঁছে। আমাদের দেশের মানুষ স্বাস্থ্যাসেবা নিশ্চিত করতে পুরোপুরি ভাবে চিকিৎসকের ওপর নির্ভর করে। তিনি যে সিদ্ধান্ত দেন আমরা সেটাই মেনে নিই। এটা হচ্ছে এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বড় হাতিয়ার।
আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি এখানে ডাক্তারদের নৈতিক শিক্ষার অভাব রয়েছে। এছাড়া দায়ীদের প্রশিক্ষণের অভাব রয়েছে। এদিকে সরকারের নজর দিতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিফতরের উদ্যোগে প্রশিক্ষণমূলক প্রোগ্রাম গ্রহণ করতে পারে। এক্ষেত্রে মিডিয়া অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। প্রতিটি হাসপাতালে একজন প্রশিক্ষিত দায়ী রাখা যেতে পারে।
অনেক উচ্চবৃত্ত ঘরের মেয়ে এখন সিজার করতে ইচ্ছুক। তাকে যদি ভাল করে বুঝানো হয়। আসলে সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া অনেক ঝুকিঁ। তাহলে তারাও এবিষয়ে সচেতন হবে।
প্রশ্ন :অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে আমাদের করণীয় কী?
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম: আমাদের অনেক কিছু করণীয় রয়েছে। আমরা এসব বিষয়ে দিক নির্দেশনা নিতে পারি চায়না ও ব্রাজিল থেকে। কারণ চায়না ও ব্রাজিলে অপ্রয়োজনীয় সিজারিয়ানের হার আমাদের থেকেও শোচনীয় ছিলো। দুইটি দেশেই অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। চায়না অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে নানাবিধি স্বাস্থ্যনীতি গ্রহণ করেছিল।
এমনকি প্রতিটি হাসপাতালে সিজারিয়ানের হার নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিলো। নির্ধারিত হারের চেয়ে অধিক হলে জরিমানা করা হতো। নির্ধারিত হারের চেয়ে কম সিজার করতে পারলে পুরস্কার প্রদান করা হতো। এমন পদক্ষেপ আমাদের দেশে গ্রহণ করা যেতে পারে। এছাড়া আমাদের দেশের সুশীল সমাজ এবিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে পারে। নারী অধিকার নিয়ে যে সব সংগঠন কাজ করছে। তারাও এবিষয়ে বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধ করা সম্ভব।
প্রশ্ন : আপনি অপ্রয়োজনীয় সিজার রোধে আইনী লড়াই করে যাচ্ছেন। আদালতে একটা রিটও করেছেন। বর্তমান এর অবস্থা কি।
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম: বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) এর পক্ষ থেকে আমি একটা রিট করেছি। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের মাধ্যমে এটি করা হয়। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতর আগামী ১ মাসের মধ্যে বিশেষজ্ঞ ও সমাজের স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে নীতিমালাটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেছে হাইকোর্ট। রুলে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে অপ্রয়োজনীয় সিজার প্রতিরোধে কার্যকর তদারকি করতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। ৬ মাসের মধ্যে সময় বেঁধে দিয়েছে আদালত। এর সময় শেষ হচ্ছে আগামী ডিসেম্বর। তবে যতদিন এই বিষয়ে কোন প্রকার আইন করা না হয়। ততদিন পর্যন্ত এই নীতিমালা আইন হিসেবে গণ্য করা হবে।
প্রশ্ন :অপ্রয়োজনীয় সিজার নিয়ে আন্দোলন ছাড়া আর কোনো কাজ করছেন কিনা। আপনার আগামীদিনের পরিকল্পনা কী?
ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম: স্বাস্থ্য খাতকে উন্নত করতে এর আগেই আমি অনেক কাজ করেছি। আমাদের আন্দোলনের কারণে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা একটি নীতিমাল তৈরি হয়েছে। সেটিও বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) এর পক্ষ থেকে করা হয়েছে। এটি আইন হিসেবে গণ্য করার রায় দিয়েছে হাইকোর্ট বিভাগ। এই নীতিমালা প্রযোজ্য হবে পরিবহন দুর্ঘটনায় আহতদের জন্য। এছাড়া কিডনি প্রতিস্থাপনে মানবদেহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন সংশোধনের কাজ করা হচ্ছে। বর্তমানে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনে যে আইন রয়েছে। এটা পরিবর্তনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। একটি মামলা করা হয়েছে। আশা করছি আপনাদের একটা সুসংবাদ দিতে পারবো।
- হঠাৎ কোমরে ব্যথা কঠিন কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
- রোজা রাখলে কি সত্যিই মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়?
- ইফতারে প্রাণ জুড়াবে সাবুদানার ডেজার্ট
- ডেস্কটপ কম্পিউটারের যত্ন নেবেন যেভাবে
- দ্বন্দ্ব ঘোচাতে সংগঠন গতিশীল করার কৌশল আ.লীগের
- রিটার্নের প্রমাণপত্র না ঝুলালে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা
- রেলের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে না: রেলমন্ত্রী
- বিশেষ তারল্য সহায়তায় ঘাটতি কাটিয়ে উঠছে ইসলামি ধারার পাঁচ ব্যাংক
- ঈদ ইত্যাদির ভিন্ন পরিবেশনায় ২ ভাই
- বাংলাদেশে পাপেট সরকার দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: জয়
- অক্টোবরে পায়রা বন্দরের প্রথম টার্মিনাল উদ্বোধন
- অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়তে হবে- প্রধান বিচারপতি
- ঢাকায় আয়ারল্যান্ডের বাণিজ্যমন্ত্রী
- ঈদ সামনে রেখে চাঙ্গা অর্থনীতি
- বঙ্গবন্ধুর প্রদর্শিত পথই আমাদের পথ : ওবায়দুল কাদের
- গাজায় শিশুহত্যা চলছে, কোথায় বিশ্বমানবতা
- ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত
- বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিলে বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে : শামীম এমপি
- ভেদরগঞ্জে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত
- মাদারীপুরে ৫ ব্যবসায়ীকে ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা
- মাদারীপুরে বঙ্গবন্ধুর ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালন
- মঠবাড়িয়ায় জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন পালিত
- মঠবাড়িয়ায় পুলিশের অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার- ৫
- পটুয়াখালীতে নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী পালন
- ভোলায় নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন
- গৌরনদীতে ৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায়
- বরিশালে কারেন্ট জাল ও মাছ সহ আটক ১৬
- বরিশালে অভিযান চালিয়ে ৫ ব্যবসায়ীকে জরিমানা
- বরিশালে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন
- প্রবাসী আয়ের প্রধান উৎস এখন আমিরাত-যুক্তরাজ্য
- কান্না থামাতে মুখ চেপে ধরলে মারা যায় শিশু নুসরাত
- জাতিসংঘ বাংলাদেশে জলবায়ু কর্মকান্ডে অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে
- আল্লাহর কাছে মর্যাদা ও সওয়াবে নারী-পুরুষের সাম্য
- প্রধানমন্ত্রী যুবসমাজকে গড়ে তুলতে কর্মমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন
- রমজান উপলক্ষে ঝালকাঠিতে চলছে সুস্বাদু মোটা মুড়ি ভাজার উৎসব
- ঝালকাঠিতে নানা আয়োজনে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবস পালিত
- একজন মুসলিম যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিবেন
- ঝালকাঠিতে ২ লাখ ৯৭ হাজার জাল টাকার নোটসহ গ্রেপ্তার ২
- তার ছাড়াই গ্রাহকরা পাবেন ব্রডব্যান্ড
- এন্ডোসকপি করাতে গিয়ে চিকিৎসকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ
- রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ প্রধানমন্ত্রীর ১৫ নির্দেশনা
- আম্বানিপুত্রের বিয়েতে বসবে তারার মেলা, থাকছেন যারা
- রেটলিস্ট হালনাগাদে মতামত জানতে চায় বিটিআরসি
- রোজার আগে যেসব প্রস্তুতি নেবেন
- অশিক্ষার অন্ধকারে কেউ থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী
- চট্টগ্রামের সুগার মিলের আগুনে এক লাখ টন চিনি পুড়ে ছাই
- নলছিটিতে হত্যা মামলায় ইউপি সদস্যসহ গ্রেফতার-২
- যেকোনো গণিতের সমাধান করে দেবে অ্যাপ
- ব্যাংক খাতে সংস্কার, পথনকশার বাস্তবায়ন শুরু
- শবে বরাতের আমল ও ফজিলত