• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

মা-বাবা সম্পর্কে সন্তানের প্রতি কয়েকটি উপদেশ

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২  

দুনিয়ার চাক-চিক্যময় জীবনের যত অর্জন, আর যা কিছু দেখছি, তার পুরোটাই বাবা-মার অবদান। তাই কোরআনুল কারিমে মহান আল্লাহ তাআলা সন্তানের প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ বাবা-মার জন্য আবশ্যক করে দিয়েছেন। এমন অনেক দৃষ্টান্ত আছে যে, একটু বয়স হলেই বাবা-মাকে ভুলে যায়। ক্ষেত্রবিশেষ বাবা-মার সব অবদানকে অস্বীকারও করে বসে।

শুধু তা-ই নয়, আসামীর কাঠগড়ায় অবস্থান করে বাবা-মা। কোনো উপায় না পেয়ে বৃদ্ধ বয়সে যেতে হয় বৃদ্ধাশ্রমে। না, এমনটি মোটেই ঠিক নয়, বরং কোরআন বলে ভিন্ন কথা। বাবা-মার বেশি কিছু অধিকার নিশ্চিত করবে সন্তান। কী সেসব অধিকার?

১. উত্তম আচরণ

আল্লাহ তাআলার নির্দেশ-  وَبِالوٰلِدَينِ إِحسٰنًا

তোমরা বাবা-মার সঙ্গে সদা সদ্ব্যবহার করো; যে মা দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করেছেন এবং যে বাবা হাটি হাটি পা পা করে একদম ছোট থেকে নিয়ে সাবলম্বী হওয়া পর্যন্ত নিজে সুখ ভোগ না করে সন্তানের জন্য পরিশ্রম করেছেন।

২. তাদের জন্য ‘উফ’ শব্দ না বলা

আল্লাহ তাআলার নির্দেশ- فَلا تَقُل لَهُما أُف

তাদের (বাবা-মাকে) ‘উহ/উফ’ শব্দটিও বলো না; বাবা-মা যখন বার্ধক্যে(বৃদ্ধবস্থায়) উপনীত হয়, তখন তারা ছোট শিশুর মতো আচরণ করতে থাকে। বিভিন্ন ধরনের বায়না করে। বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করে। তখন তাদের দাবি-দাওয়া শুনে, তাদের বায়না শুনে উফ শব্দটি বলা যাবে না।

৩. ধমক দেওয়া যাবে না

আল্লাহর নির্দেশ-ٍّ وَلا تَنهَرهُما

তোমরা তাদেরকে ধমক দিও না; যেখানে বাবা-মাকে উফ শব্দটি বলা পর্যন্ত নিষেধ সেখানে ধমক দেওয়ার দো প্রশ্নই আসে না। এরপরেও আল্লাহ তাআলা কোরআনে পাকের গুরুত্বের সঙ্গে নির্দেশ দেন, তোমরা তাদের ধমক দিও না। এখনও সমাজে এমন কিছু হতভাগা সন্তান আছে, যারা বাবা-মাকে কথায় কথায় ধমক দিয়ে বসে।

৪. সুন্দর কথা বলা

আল্লাহর তাআলার নির্দেশ- وَقُل لَهُما قَولًا كَريمًا

এবং তাদের সঙ্গে সুন্দর শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা বলো; তাদের সঙ্গে নম্র আচরণ করো।তাদের সামনে কখনো নিজেকে কঠোর করিও না। কেননা বাবা–মার সন্তুষ্টি তো আল্লাহর সন্তুষ্টি। আর বাবা-মা নারাজ থাকে, তো আল্লাহ নারাজ।

৫. তাদের ভালোবাসা ও নম্রভাবে কথা বলা

আল্লাহ তাআলার নির্দেশ- وَاخفِض لَهُما جَناحَ الذُّلِّ مِنَ الرَّحمِ

আর তাদের সামনে ভালবাসার সঙ্গে, নম্রভাবে মাথা নত করে দাও; বাবা-মার সামনে নিজেকে এমন ভাবে উত্থাপন করো, যেন তুমি তাদের কাছে দুর্বল। তাদের কথার উপর কথা বলার সামর্থ্য টুকুও নেই। তাদের উভয়কে জীবনের চেয়ে বেশি ভালোবাসো।

৬. তাদের জন্য দোয়া করা

আল্লাহ তাআলার নির্দেশ- وَقُل رَبِّ ارحَمهُما كَما رَبَّيانى صَغيرًا

‘বল, হে আমার পালনকর্তা! তাদের উভয়ের প্রতি রহম কর, যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন; এটি বাবা-মার জন্য সন্তানের দোয়া। সন্তান জীবনভর বাবা-মার জন্য এ দোয়া করবে।

আল্লাহ তাআলা উম্মতে মুসলিমকাকে জীবনভর বাবা-মার প্রতি এ ৬টি দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঝালকাঠি আজকাল