• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

ইসলামের দৃষ্টিতে যেসব কারণে স্মরণশক্তি কমে যায়

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২২  

স্মৃতিশক্তি মানুষের অমূল্য সম্পদ। মস্তিষ্কের সঠিক ব্যবহারে মানুষের স্মৃতিশক্তি অটুট থাকে এবং ধীরে ধীরে তা বাড়তে থাকে। আবার  কারও কারও মস্তিষ্ক সবসময় একরকম থাকে না। একেক বয়সে একেক রকম হয়। ছোটবেলায় হয়তো স্মরণশক্তি ভালো থাকে। আবার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে জ্ঞানশক্তি লোপ পায়।

আপনি কি মনে করেন আপনার স্মরণশক্তি কমে যাচ্ছে? আপনি কি মনে করেন সূক্ষ্ম চিন্তা করার ক্ষমতা আপনার আগের মতো নেই? তাহলে আপনার জেনে নেয়া উচিত স্মরণশক্তি কমে যাওয়ার কারণগুলো-

০১. অপরিষ্কার থাকা।
০২. অধিক চিন্তা ও টেনশন করা।
০৩. লজ্জাস্থানের দিকে তাকানো। তাই বিনা প্রয়োজনে এদিকে না তাকানোই উত্তম। এমনটি ইস্তিঞ্জার সময়ও।
০৪. পচা, গন্ধ ও নাপাক বস্তুর দিকে তাকানো।
০৫. মা ব্যতীত অন্য নারীদের দিকে তাকানো।
০৬. প্রয়োজনের তুলনায় অধিক পানি পান করা।
০৭. ধনিয়া পাতা কিংবা ধনিয়ার বিচি খাওয়া।
০৮. গুনাহ্ করা।
০৯. মিথ্যা বলা।
১০. হারাম খাওয়া।
১১. অলসতা করা।
১২. অন্যের চোখ পড়ে এমন খোলামেলা খাবার খাওয়া। উল্লেখ্য, এমন খাবার খেলে অন্তরের নূরও কমে যায়।
১৩. হেঁটে হেঁটে কিছু খাওয়া।
১৪. টক জাতীয় বস্তু খাওয়া।

( ফাতাওয়ায়ে শামীতে স্মরণশক্তি কমার আরো কিছু কারণ উল্লেখ করা হয়েছে )

১৫. ইঁদুরের ঝুটা খাওয়া।
১৬. জীবিত উকুন ফেলে দেওয়া।
১৭. বদ্ধ পানিতে প্রস্রাব করা।
১৮. নামাজের কাতার ভাঙা।
১৯. জমাট রক্ত চিবানো।
২০. টক আপেল খাওয়া। 
২১. খাবার প্লেট বা বাটিতে না নিয়ে সরাসরি পাতিল থেকে খাওয়া।
২২. অতিরিক্ত ঠাট্টা করা।
২৩. কবরস্থানে হাসা।
২৪. ইস্তিঞ্জাখানায় অজু করা। 
২৫. পায়জামা বা পাগড়িকে বালিশ হিসেবে ব্যবহার করা।
২৬. গোসল ফরজ অবস্থায় আকাশের দিকে তাকানো।
২৭. কাগজের টুকরো দিয়ে ঘর পরিষ্কার করা। 
২৮. পরিহিত কাপড়ের টুকরো দিয়ে হাত বা মুখ মোছা।
২৯. মসজিদে জামাকাপড় ঝেড়ে পরিষ্কার করা।
৩০. বাম পা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করা এবং ডান পা দিয়ে মসজিদ থেকে বের হওয়া।
৩১. হস্তমৈথুন করা।
৩২. রাস্তায় প্রস্রাব করা।
৩৩. নাপিতের আয়না দেখা।
৩৪. ভাঙা চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ানো।

বিভিন্ন কিতাবে স্মরণশক্তি কমার আরো কিছু কারণ উল্লেখ আছে যেমন-

৩৫. নেশা জাতীয় বস্তু পান করা।
৩৬. অতিরিক্ত গরম বস্তু পান করা।
৩৭. অতিরিক্ত ঠান্ডা বস্তু খাওয়া বা পান করা।
৩৮. কবরের লেখা পাঠ করা।
৩৯. অধিক রাগ করা।
৪০. মাথায় আঘাত পাওয়া।
৪১. অধিক সময় রোদে থাকা।
৪২. দেহের রক্ত কমে যাওয়া।
৪৩. দীর্ঘ সময় পেট খারাপ থাকা।
৪৪. দুর্গন্ধ জাতীয় কোনো বস্তুর ঘ্রাণ নেয়া।
৪৫. ফলদার গাছের নিচে প্রস্রাব করা।
৪৬. বালির মধ্যে প্রস্রাব করা।
৪৭. দাড়িবিহীন বাচ্চাদের দিকে লোলুপ দৃষ্টিতে তাকানো।
৪৮. অহংকার করা।
৪৯. হিংসা করা।
৫০. গান-বাদ্য শ্রবণ করা।
৫১. অতিরিক্ত চিৎকার করা।
৫২. শোরগোল ও চিৎকার শোনা।
৫৩. তৃপ্তি হওয়ার পরেও মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া।
৫৪. অধিক ঘুমানো। (৬-৭) ঘণ্টার বেশি ঘুমানোকেই অধিক ঘুমানো বলা যায়।
৫৫. একেবারেই কম ঘুমানো।
৫৬. অধিক থুথু ফেলা।
৫৭. কাশি রোগে আক্রান্ত।
৫৮. বাচ্চাদের সঙ্গে বা অন্যকারো সঙ্গে অবৈধ প্রেমে জড়িয়ে পড়া।
৫৯. মাত্রাতিরিক্ত হাসা।
৬০. ওস্তাদের সঙ্গে বেয়াদবি করা।
৬১. নারীদের মধ্য দিয়ে চলা।
৬২. পনির খাওয়া। 
৬৩. পুরুষদের জন্য সুন্নত তরিকা ব্যতীত চুল অধিক লম্বা রাখা।
৬৪. মাত্রাতিরিক্ত কথা বলা।
৬৫. অগোছালো জীবন-যাপন অর্থাৎ কিতাবপত্র, খাতা-কলম ও কাপড়-চোপড় ইত্যাদি গুছিয়ে না রেখে যত্রতত্র ফেলে রাখা।
৬৬. সিনেমা দেখা।
৬৭. মোবাইল ও টেলিভিশনে অশ্লীল ছবি দেখা।
৬৮. বন্ধুত্ব ও অধিক সম্পর্ক গড়ে তোলা। বন্ধুত্ব ছাত্রদের জন্য মারাত্মক জীবন বিধ্বংসী ও ক্ষতিকর।
৬৯. ব্রেইনের ওপর অধিক চাপ পড়া। 
৭০. হীনমন্যতায় ভোগা।
৭১. ইলমকে অসম্মান করা।

ঝালকাঠি আজকাল