• শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪ ||

  • শ্রাবণ ১২ ১৪৩১

  • || ১৯ মুহররম ১৪৪৬

ঝালকাঠি আজকাল

কবরে কোরআনের আয়াত লেখার বিধান

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪  

কবরের ওপর কোরআনের আয়াত লেখা নাজায়েজ। এতে কোরআনের সম্মানহানী হয়। একবইভাবে কবরে বড় বড় কবিতা, স্তুতিবাক্য, কবিতা বা হাদিসের বাণী লিখে রাখাও নিষিদ্ধ। জাবের রা. বলেন,

نَهَى النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ تُجَصَّصَ القُبُورُ، وَأَنْ يُكْتَبَ عَلَيْهَا، وَأَنْ يُبْنَى عَلَيْهَا، وَأَنْ تُوطَأَ
.
নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কবর পাকা করা, তার ওপরে লেখা, কবরের ওপর বাড়ি নির্মাণ করা এবং তা পদদলিত করা থেকে নিষেধ করেছেন। (সুনানে তিরমিজি)

তবে কবর চেনার জন্য কোনো চিহ্ন দেওয়া যায় বা নামফলক লাগানো যায়; যেটাতে নাম-পরিচয় লেখা থাকবে। কবর চেনার প্রয়োজনে কবরে চিহ্ন দেওয়া নিষিদ্ধ নয়। হাদিসে এসেছে, উসমান ইবন মাজউনের (রা.) ইনতেকালের পর তার জানাজা ও দাফন শেষে নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কবরের চিহ্ন রাখার জন্য জনৈক সাহাবিকে একখণ্ড পাথর আনার জন্য নির্দেশ দেন। তিনি সেটি বহন করতে পারছিলেন না। তখন আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সেটি নিজে আনার জন্য অগ্রসর হন এবং তার দুহাতের জামার আস্তিন গুটিয়ে ফেলেন এবং পাথরটি বয়ে নিয়ে এসে ওসমানের (রা.) শিয়রে রাখেন এবং বলেন, আমার ভাইয়ের কবর চিহ্নিত করলাম, আমার পরিবারের কেউ মারা গেলে এই কবরের পাশে দাফন করবো। (সুনানে আবু দাউদ)

ঝালকাঠি আজকাল