• বুধবার ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ||

  • অগ্রহায়ণ ১৩ ১৪৩০

  • || ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

২০০১ সালের এক শরতের ভোর, ছিল ভয় আর আতঙ্কের

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৩  

তেইশ বছর আগে একদিন। শরতের ভোরটা এবারের মতো এতো উৎসবমুখর ছিল না। বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নেমে আসে ভয়ঙ্কর ও বর্বর নির্যাতন। নৌকায় ভোট দেয়ার কারণে তাদের অত্যাচারে দুর্বিষহ হয়ে ওঠে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জীবন। তখনকার ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা, লুটপাট আর অগ্নিসংযোগেই থেমে ছিলেন না, বাড়ির মেয়ে-বউদের সম্মান কেড়ে নিতেও তারা এক মুহূর্ত ভাবেননি।

সেই বিভীষিকাময় সময়ের দগদগে ক্ষত এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া, চট্টগ্রামের রাউজান, হবিগঞ্জের মাধবপুর ও জগদীশপুর, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও মোহনপুর, চট্টগ্রামের ত্রিপুরাপাড়া ও মীরসরাই, ফেনীর সোনাগাজী এবং ঝালকাঠির কুতুবকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা। 

বিএনপি-জামায়াত জোট ২০০১ সালের নির্বাচনে জয় উদযাপন করতে বেছে নেয় এক ঘৃণ্য পন্থা। ৮ অক্টোবর সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পূর্ব দেলুয়া গ্রামের কিশোরী ও নবম শ্রেণির ছাত্রী পূর্ণিমা শীলকে তুলে নিয়ে গিয়ে করা হয় গণধর্ষণ। ভয়ে নির্যাতনের কথা স্থানীয় কোনো গণমাধ্যমকেও বলতে পারেননি পূর্ণিমা। ঢাকায় গিয়ে নির্যাতনের কথা তুলে ধরলে অভিযুক্তরা উল্টো দেন অপহরণের হুমকি।

ওই বছরের দৈনিক সংবাদের ১৪ নভেম্বরের পত্রিকায় এ ঘটনা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, নরপশুদের অত্যাচারের শিকার পূর্ণিমা শীল এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। সন্ত্রাসীরা যেকোনো সময় তাকে তুলে নিয়ে যেতে পারে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। এ অবস্থায় পুরো পরিবার উপজেলা সদরের শ্যামলীপাড়ায় চলে এলেও তাদের দিনযাপন করতে হচ্ছে আতঙ্কের মধ্যে।

ওই বছরের ২০ অক্টোবর ঢাকায় এক সাংবাদিক সম্মেলন করে পূর্ণিমা তার পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান। তবে স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট জয়ের পর আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয় চট্টগ্রামের রাউজান। ঘরবাড়ি ছাড়া হয় সাত ইউনিয়নের পাঁচ হাজার সংখ্যালঘু বাসিন্দা। মাত্র একদিনে লুটতরাজ চালানো হয় অর্ধশতাধিক বাড়িতে। জাল ফেলে তুলে নেয়া হয় পুকুরের মাছ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করায় চাঁদা দিয়ে মাশুল গুনতে হয় অনেক সংখ্যালঘু ব্যবসায়ীকে।
 
দৈনিক সংবাদে ওই বছরের ১৩ নভেম্বর এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিএনপির সশস্ত্র ক্যাডার গ্রুপ সপ্তাহব্যাপী একাধিক হিন্দু পরিবারের কাছে মোটা অঙ্কের চাঁদা আদায় করেছে। পূর্ব গুজরার নতুন চৌধুরীর হাটে ৮৪টি দোকানের মধ্যে ৬৪টি দোকান সংখ্যালঘুদের। নির্বাচনের পর প্রতিটি দোকানমালিকের ওপর নির্দিষ্ট অঙ্কের চাঁদা ধার্য করা হয়। ফলে অধিকাংশ ব্যবসায়ী দোকান বন্ধ রেখে পালিয়ে বেড়ান। 
নির্বাচনে হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সাল পরাজিত হন। ফলে খড়গ নেমে আসে সংখ্যালঘু ভোটারদের ওপর।

দৈনিক সংবাদের ৮ নভেম্বরের পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেলার মাধবপুর উপজেলার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের চোখে ঘুম ছিল না। এক আতঙ্কের সময় পার করছিলেন তারা। জগদীশপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীরা নির্বাচনে পরাজয়ের ঝাল মেটাতে সংখ্যালঘুদের কাঁচা ধান কেটে নিয়ে গেছেন। জেলেপল্লী থেকে মাছ ধরার জালও ছিনিয়ে নিয়েছেন তারা।
 
নৌকায় ভোট দেয়ার কারণে বিএনপি সমর্থকদের নির্যাতনের মুখে রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও মোহনপুরের বাংধারা গ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়। বাড়ি দখল করেই ছেড়ে দেননি সন্ত্রাসীরা, তাদের গোরস্থানটি পর্যন্ত বেদখল করে নেয়া হয়।

দৈনিক সংবাদের ৮ নভেম্বরের পত্রিকায় এ বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, দখলদারবাহিনী ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর পরিবারের সদস্যদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদের পর সেখানে গাছ লাগিয়ে দেয়া হয়। গোরস্থানও বেদখল করে নেয়া হয়।
 
হুমকির মুখে দুর্গাপূজার মাত্র দুদিন আগে বাবুলাল সরেন, আমিন সরেন, লিলু সরেন ও মুনসি মুরমুর পরিবারের সদস্যরা ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় সেরাপাড়ায়। বাকি ১৪টি পরিবার চরম আতঙ্কের মধ্যে পড়ে রয় বাংধারায়।

ধর্ষণ, দখল আর চাঁদাবাজিতে থেমে থাকেননি ৪ দলীয় জোটের সন্ত্রাসীরা। চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের রেল স্টেশন সংলগ্ন ত্রিপুরা পাড়া ও দাসপাড়ায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে দিনক্ষণ নির্ধারণ করে ধর্মান্তরিত হওয়ার আল্টিমেটাম দেয় তারা।

দৈনিক সংবাদের ৮ নভেম্বরের পত্রিকায় এ বিষয়টিও ওঠে আসে। এতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবে ত্রিপুরাপাড়ায় ২৮টি ঘর লন্ডভন্ড হয়। ভাঙচুর করা হয় ঘরের তৈজসপত্রসহ রেডিও ও টেলিভিশন পর্যন্ত। অস্ত্রধারী ক্যাডারদের হুঙ্কার ১০ নভেম্বরের মধ্যে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান না হলে পরে গ্রাম জ্বালিয়ে- পুড়িয়ে দেয়া হবে।
২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত জোট জয়ের পর লুটতরাজ চালানো হয় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া

সন্ত্রাসীরা মিঠানালার ১০ নম্বর ইউনিয়নের দাসপাড়ায় ৫২টি বাড়ি লন্ডভন্ড করে দেয়, হত্যা করা হয় সুনীল সাধুকে। হামলায় আহত হন আরও ২২ জন।

২০০১ সালের নভেম্বরে ফেনীর সোনাগাজীতে বিএনপি ক্যাডাররা চাঁদার দাবিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের অপহরণ করে। অপহরণ ও নির্যাতনের ভয়ে স্থানীয় গ্রামগুলো পুরুষ শূন্য হয়ে পড়ে।

দৈনিক সংবাদের ৬ নভেম্বরের পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, রাতের আঁধারে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সোনাগাজী থানার নবাবপুর ইউনিয়নের হাজিপুর ও গুয়ালিয়া গ্রামের সুনীল সরকার ও সুধাংশু প্রফেসরের বাড়িতে হামলা চালায়।

চাঁদাবাজ -সন্ত্রাসীরা ওই দুটি বাড়ির বিভিন্ন ঘরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মারধর করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায়। গত ৪ অক্টোবর সন্ত্রাসীরা ওই এলাকার বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘুর বাড়িতে হামলা করার পর ভয়ে ওই সব বাড়ির পুরুষরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সফরপুর গ্রামের মহেন্দ্র কুমার ভৌমিকের ছেলে সমীরণ কুমার ভৌমিককে (সাধন) মোটা অঙ্কের চাঁদার জন্য অপহরণ করা হয়। পরদিন তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। অপহরণকারীরা সবাই স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মী।

চাঁদা দিয়েও তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি সমর্থকদের হাত থেকে রক্ষা পাননি ঝালকাঠির কুতুবকাঠির সংখ্যালঘুরা। কাঙ্ক্ষিত চাঁদা না পেয়ে কুপিয়ে জখম করা হয় কয়েকজনকে। গত ৩০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সদর উপজেলার শেখেরহাটের কুতুবকাঠি গ্রামে ক্ষমতাসীন দলের পরিচয়ে একদল সন্ত্রাসী চাঁদার দাবিতে দুটি সংখ্যালঘু পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে আহত করে।

আহত শংকর গত ২৪ অক্টোবর ১৫শ টাকা দিয়ে তাদের হাত থেকে পরিত্রাণ চায়। কিন্তু আরও বেশি টাকার দাবি পূরণ না হওয়ায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে। এ ঘটনার পর আতঙ্কিত ওই পরিবার দুটোর সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়।

ভোটের মাত্র চারদিন পরেই ভোলার লালমোহনের অন্নদাপ্রসাদ গ্রামে তাণ্ডব চালায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এ সময় পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীর বাড়িতে পালিয়ে গেলেও আট বছরের কিশোরী রিতা রানী দাস গণধর্ষণের শিকার হন; আর হামলার শিকার হন শেফালী রানী দাস।

দৈনিক প্রথম আলোর ৪ অক্টোবরের পত্রিকার প্রতিবেদন বলছে, ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বোরহানগঞ্জে সন্ত্রাসীরা স্থানীয় অতুল কুমার প্রসাদের বাড়িতে হামলা চালান। তারা অমল ও দীলিপ নামে দুজনকে মারধর করেন। মারাত্মকভাবে আহত দুজন পরে জীবন বাঁচাতে বরিশালে আশ্রয় নেন।

নির্বাচনের পরদিন থেকে বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া ও উজিরপুরের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা শুরু হয়। ধর্ষণের শিকার হন সংখ্যালঘু নারীরা।

দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে রেহাই পায়নি শিশুরাও। এমনকি ধর্ষণ আর নির্যাতন থেকে বাঁচতে পারেননি আগৈলঝড়ার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রেনুকা অধিকারী। জীবন বাঁচাতে ধর্ষিতা ও নির্যাতিতরা আশ্রয় নেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার রামশীল গ্রামে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রামশীল গ্রাম হয়ে উঠে যেন শরণার্থী শিবির। রামশীল গ্রাম ঘুরে জানা যায়, আশ্রিতদের মধ্যে অন্তত পাঁচজন ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজন নাম গোপন রাখার শর্তে জানিয়েছেন সম্ভ্রম হারানোর লোমহর্ষক কাহিনি।

বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতা নিতে না নিতেই সংঘালঘুদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণের নীলনকশা তৈরি করে। হামলা শুরু হয় তাদের উপসনালয়ে। ভাংচুর করা হয় প্রতিমা। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যেন তাদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে না পারে, সেজন্য উৎসবের ঠিক আগ মুহূর্তে প্রতিমা ভাংচুর করা হয়। যেন সংখ্যালঘুরা নতুন করে প্রতিমা তৈরি করে উপাসনার সুযোগ না পান।

আর বিএনপির নেতাকর্মী ও পুলিশ ঘটনার আলামত, ভাংচুর করা প্রতিমা নদীতে ফেলে দিতে ভুক্তভোগীদের বাধ্য করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যেন ধর্মীয় উৎসব পালন করতে না পারে, সেজন্য উৎসবের ঠিক আগ মুহূর্তে প্রতিমা ভাংচুর করা হয়।

প্রথম আলোর ৮ নভেম্বরের পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, বেলা ১১টায় সরিষাবাড়ি থানার এসআই আলাউদ্দিনের নেতৃতে পুলিশ মন্দিরে পৌঁছে। স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে ভাঙা প্রতিমা মন্দিরের পাশেই ঝিনাই নদীতে বিসর্জন দিতে সংখ্যালঘু রাজভর সম্প্রদায়ের লোকদের নির্দেশ দেয় পুলিশ। কালীপূজার মাত্র কদিন আগে কালী প্রতিমা ভাঙার এ ঘটনায় সরিষাবাড়ির সংখ্যালঘুদের আতঙ্কের জন্ম দেয়।

এসব ঘটনার প্রতিবাদে ২০০১ সালের অক্টোবরে দুর্গাপূজা চলাকালে সারা দেশে গণঅনশন ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। তবে সেই অবস্থার তুলনায় এখন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা অনেক বেশি নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে নিজেদের উৎসব পালন করতে পারছেন। প্রতি বছরই বাড়ছে মণ্ডপের সংখ্যা।

বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে দেখার কথা বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
 
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সব উৎসবে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ সবাই যোগ দেন। আর দেশে নিরাপত্তা ও মানুষের সামর্থ্য আছে বলেই দিন‌ দিন দুর্গামণ্ডপের সংখ্যা বাড়ছে।
নির্বাচনের আগমুহূর্তে সাম্প্রদায়িক শক্তি বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন এলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ফনা তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু আপামর বাঙালি অসাম্প্রদায়িক, তাই বারবার তারা পরাজিত হয়‌।
পূজা উদযাপন কমিটির তথ্য মতে, এ বছর ঢাকা মহানগরীতে ২৪৫টিসহ সারাদেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি মন্দির ও মণ্ডপে দুর্গাপূজা হবে। এ হিসেবে গত বছরের চেয়ে এ বছর ২৪০টি বেশি পূজামণ্ডপ স্থাপিত হয়েছে।

ঝালকাঠি আজকাল