• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

বিএনপির হামলায় এলাকা ছাড়া কৃষকলীগ নেতার পরিবার

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২২  

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিএনপি নেতার হামলায় ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি এলাকাছাড়া হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।  

নিজেদের বাঁচাতে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে নগরীর এক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন কৃষকলীগ নেতার ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান।

তিনি গোদাগাড়ীর পাকড়ী ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি ও মোসড়াপাড়া এলাকার আজাহার আলীর ছেলে। 

অভিযুক্তরা হলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন, একই এলাকার নাজিমুদ্দিনের ছেলে ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. জালাল, সোলাইমানের ছেলে কামাল ও আনারুল।

সংবাদ সম্মেলনে আতিকুর রহমান বলেন, এলাকার মানিক মিয়া ওয়াকফ এস্টেটের ৫১ বিঘা জমি লিজ নেন বাবা। পরে স্থানীয় বিএনপির লোকজন ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ করলে চেয়ারম্যান নিজেই জমিগুলো নিতে চান। পরে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায় এবং ১৪৪ ধারা জারি করেন আদালত।

আতিকুরের ভাষ্য, চেয়ারম্যানের নির্দেশে জমিতে কাজ করতে থাকা কৃষকদের ওপর হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় কয়েকজন আহত হলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। পরে আদালতে মামলা করা হয়।
 
তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির নেতারা এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী তৈরি করেছে। আমরা দুর্বল হওয়ায় তাদের সঙ্গে পেরে উঠতে পারছি না। তারা নানান কায়দায় আমাদের ওপর একের পর এক হামলা অব্যাহত রেখেছে। আমাদের যাকেই পাচ্ছে তাকেই মারধর বা মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে।
 
গত মঙ্গলবার রাতে ভগ্নিপতি পল্লিচিকিৎসক মফিজুল ইসলাম তার চেম্বার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। ওই সময় বিএনপির সন্ত্রাসীরা ওৎ পেথে থেকে রাতের আঁধারে বিএনপি নেতা জালালের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তার হাত ও পায়ের ৪ জায়গা ভেঙে গেছে।

তিনি বলেন, মফিজুল ইসলাম গত ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে বিএনপি নেতা জালালকে পরাজিত করে জয়ী হন। এতে ক্ষিপ্ত হয় বিএনপির লোকজন। এরই সুযোগে তাকে মারধর করে।

সংবাদ সম্মেলনে আতিকুরের বাবা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি আজাহার আলী বলেন, দফায় দফায় হামলা চালনো হয়েছে আমার বাসায়। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাপটে নিজের এলাকায় ঢুকতে পারছি না। তারা আমাকে ফোন করে হুমকি দিয়েছে। এসব ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মো. জালাল হোসেন বলেন, হামলার প্রশ্নই আসে না। সব অভিযোগ মিথ্যা ও বানোয়াট।
 
পাকড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন বলেন, উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে মীমাংসা করার চেষ্টা করছি। 

গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার একটি হামলার অভিযোগে শুক্রবার সন্ধ্যায় থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

ঝালকাঠি আজকাল