• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

খালেদার হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির সন্ধান

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২১  

বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অসুস্থতার পরিপ্রেক্ষিতে সবচেয়ে আলোচিত যে বিষয়গুলো তার মধ্যে অন্যতম হল তার সম্পদ কত এবং কোথায় রয়েছে? এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানামুখী আলোচনা রয়েছে। 

খালেদা জিয়ার সম্পদের পরিমাণ কত এবং সম্পদগুলো কোথায় আছে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কারোও ধারণা নেই। তবে একাধিক সূত্র বলছে, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার এবং মালয়েশিয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার বিপুল সম্পদ রয়েছে। এই সম্পদের বিবরণ সৌদি আরবের একটি পত্রিকায় কয়েক বছর আগে প্রকাশিত হয়েছিল। যদিও খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সে তথ্য অস্বীকার করা হয়েছিল।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন অপরাধ বিশেষজ্ঞ বলেন, খালেদা জিয়ার সম্পদগুলো কোনটাতে তার নামে নেই। বেনামে সব সম্পত্তি রয়েছে। আর এই কারণেই তার সম্পত্তির সঠিক হিসাব কখনোই বের করা সম্ভব নয়। একমাত্র খালেদা জিয়া, মোসাদ্দেক আলী ফালু ছাড়া কেউই তার সম্পত্তির পূর্ণাঙ্গ বিবরণ জানে না।

একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, খালেদার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যে সম্পত্তি রয়েছে তার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। তার সৌদি আরবের একটি শপিং মল, অন্তত তিনটি ফ্ল্যাট, অন্তত তিনটি বাড়ি এবং একাধিক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

সূত্রে আরো জানায়, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে খালেদা জিয়ার অন্তত পাঁচটি দোকান, দু’টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং একাধিক ফ্ল্যাট আছে। কুয়েতে দুটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও মালয়েশিয়ায় বেনামে তার বিপুল সম্পদ রয়েছে।

খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন এবং প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর মোসাদ্দেক আলী ফালু তার একান্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় খালেদা জিয়া যে সমস্ত অবৈধ উপার্জন করতেন তা বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতো এবং বিদেশে সেসব টাকা বিনিয়োগ করতেন ফালু।

২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসলে ফালু খালেদা জিয়ার ছেলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা দিয়ে বিভিন্ন দুর্নীতির শুরু করেন। আর এই দুর্নীতির অংশ হিসেবেই খালে জিয়ার নির্দেশে বিপুল সম্পদ ফালুর কাছে যায়।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত খালেদা বিপুল বিত্তের বিকাশ ঘটে। ওই সময় খালেদা জিয়া তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে ফালুর ব্যবসায়ীক পার্টনার করেন। পরে দেখা যায়, ফালুর যতগুলো ব্যবসা রয়েছে সেই সবগুলো ব্যবসাতেই প্রায় আরাফাত রহমান কোকো পার্টনার ছিলেন। এখন যেহেতু আরাফাত রহমান কোকো আর নেই, তাই খালেদা জিয়ার সম্পদ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে।

এই সম্পদের মালিক কে হবে তা নিয়ে চলছে নানা রকম টানাপোড়ন। তবে  খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান মনে করছেন, এই সম্পদের মালিক কে হবে সেটি বড় প্রশ্ন নয়, বড় প্রশ্ন হল যে তার সম্পদের পরিমাণ কত। কারণ এই সম্পত্তিগুলো যেহেতু প্রাতিষ্ঠানিক এবং স্বীকৃত সম্পদ নয়, তাই খালেদা জিয়ার অবর্তমানে এই সম্পদের রক্ষকরা যদি ভক্ষক হয়ে যায়, তাহলে কারোরই কিছু করার থাকবে না।

ঝালকাঠি আজকাল