• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

সেভেরোডনেস্ক অভিমুখী সব সেতু ধ্বংস হয়েছে: গভর্নর

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২২  

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোডনেস্ক অভিমুখী সব সেতু ধ্বংস হয়েছে বলে জানিয়েছেন আঞ্চলিক গভর্নর। সেরহাই গাইদাই বলেছেন, শহরটি কার্যকরভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় লড়াই চলতে থাকা শহরটিতে রসদ সরবরাহ এবং বেসামরিকদের সরিয়ে নেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহরটিতে তীব্র লড়াই চলছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, রাশিয়ার গোলাবর্ষণে তাদের বাহিনী শহরের কেন্দ্রস্থল ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেভেরোডনেস্ক শহর দখল রাশিয়ার অন্যতম সামরিক লক্ষ্য হয়ে উঠেছে।

সেভেরোডনেস্ক এবং কাছে লিসিচানস্ক শহরের নিয়ন্ত্রণ পেলে মস্কো পুরো লুহানস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ পাবে। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ ইতোমধ্যেই নিয়ন্ত্রণ করছে রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

এক টেলিগ্রাম পোস্টে গাইদাই বলেন, সেভেরোডনেস্কের তিনটি সেতুই ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি আরও জানান শহরে এখনও থেকে যাওয়া ‘বাসিন্দারা মারাত্মক কঠিন পরিস্থিতিতে’ টিকে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

ওই শহরটি রক্ষার লড়াইয়ে নিহতদের মধ্যে সাবেক ব্রিটিশ সেনা জর্ডান গ্যাটলি রয়েছেন বলে রবিবার নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, শহরটির জন্য মানুষের যে মূল্য দিতে হয়েছে তা ‘ভয়াবহ’। তিনি বলেন, ইউক্রেনীয় সেনারা ‘আক্ষরিকভাবে প্রতি মিটারের জন্য’ লড়াই করতে রুশ বাহিনীকে বাধ্য করেছে।

খবর পাওয়া যাচ্ছে শহরটির প্রায় ৭০ শতাংশ এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। রুশপন্থী স্বঘোষিত ডনেস্ক পিপলস রিপাবলিকের এক সামরিকের মুখপাত্র বলেছেন, শহরটিতে থেকে যাওয়া ইউক্রেনীয় সেনাদের অবশ্যই ‘আত্মসমর্পণ করতে হবে নয়তো মরতে হবে’। ডনেস্কে মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে এডুয়ার্ড বাসুরিন বলেন, ‘(সেভেরোডোনেটস্কে) যে ইউক্রেনীয় ডিভিশনগুলো আছে সেগুলো চিরকালই থেকে যাবে’।

রাশিয়ার এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, মস্কোর লক্ষ্য হচ্ছে স্বঘোষিত পিপলসৈ রিপাবলিক অব ডনেস্ক এবং লুহানস্ককে রক্ষ্য করা। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রো পেসকভ বলেন, ‘সাধারণভাবে এই রিপাবলিকগুলোর সুরক্ষাই এই বিশেষ সামরিক অভিযানের মূল লক্ষ্য’।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি যখন অভিযানের নির্দেশ দেন তখন তিনি বলেছিলেন রাশিয়ার লক্ষ্য ‘ইউক্রেনকে নাৎসিমুক্ত এবং নিরস্ত্রীকরণ করা’। পরে আরেকটি লক্ষ্য যোগ করা হয়: ইউক্রেনের নিরপেক্ষ মর্যাদা নিশ্চিত করা।

এদিকে সোমবার ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলেছেন পশ্চিমাদের সরবরাহ করা অস্ত্র যত দ্রুত পৌঁছানো উচিত ছিল তত দ্রুত আসছে না।

ঝালকাঠি আজকাল