• মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩ ১৪৩১

  • || ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
নতুন বছর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রেরণা জোগাবে : প্রধানমন্ত্রী আ.লীগ ক্ষমতায় আসে জনগণকে দিতে, আর বিএনপি আসে নিতে: প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা রাষ্ট্রপতির দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী কিশোর অপরাধীদের মোকাবেলায় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিলকে সরাসরি তৈরি পোশাক নেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর জুলাইয়ে ব্রাজিল সফর করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী আদর্শ নাগরিক গড়তে প্রশংসনীয় কাজ করেছে স্কাউটস: প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্কাউট আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান

একটানা ফোনে কথা বলার ক্ষতি অনেক

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৩  

কানে ফোন নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা বলার অভ্যাস, জানেন কোন রোগ হাতখানি দিচ্ছে? আমাদের হাতের মুঠোফোন দূরের মানুষকে নিকটে করেছে। বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় পরিজন, ভালোবাসার মানুষ সকলের সঙ্গে ফোনে কথা চলে ঘড়ির কাঁটা না মেপেই।
সদ্য প্রকাশিত এক গবেষণা বলছে, ৩০ মিনিট বা তার বেশি সময়ে ধরে মোবাইলে কথা বললে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনের আশঙ্কা বেড়ে যায় ৭ শতাংশ। মোবাইল ফোন থেকে নির্গত হওয়া রেডিওফ্রিকোইয়েন্সি রক্তচাপ বাড়িতে তোলে।

সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, দিনে দেড় ঘণ্টা বা তার বেশি সময় মোবাইল ফোনে কথা বললে ব্রেনের উপর তার খারাপ প্রভাব পড়ে। দশ বছর ধরে মোবাইল ব্যবহার করলে মস্তিষ্ক কোষের অস্বাভাবিক রকমের বৃ‌দ্ধি হতে পারে। যা থেকে পরবর্তীকালে গ্লাইওমা (সব থেকে পরিচিত ব্রেন টিউমার) ও ব্রেন ক্যানসারের আশঙ্কা থাকে।

ব্রেন টিউমার ও ব্রেন ক্যান্সার

মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে মস্তিষ্কে গ্লাইওমা ও অ্যাকুইস্টিক নিউরোমা টিউমার হয়। অ্যাকুইস্টিক নিউরোমা সাধারণত মাথার এক পাশে হয়। এই টিউমার তুলনায় কম ক্ষতিকর। যদিও কখনও কখনও এর কারণে জীবনহানি হতে পারে। গ্লাইওমা টিউমার ব্রেন ও স্পাইনাল কর্ডে হয়। এই টিউমারে মৃত্যু হতে পারে কারণ এর কোষগুলি ম্যালিগন্যাণ্ট। অ্যাকুইস্টিক নিউরোমায় আক্রান্ত রোগীর জীবনের মেয়াদ এক থেকে তিন বছর। যারা দীর্ঘ সময় মোবাইল ফোনে কথা বলেন তাঁদের মস্তিষ্কে টেম্পোরাল লোব টিউমার প্রবণ হয়ে যায়। কুড়ি পেরনোর আগে থেকেই যারা মোবাইল বা কর্ডলেস ফোন ব্যবহার করেন তাঁদের এই অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বেশি। মোবাইল ফোনের ইলেকট্রো ম্যাগনেটিক ফিল্ডের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সির প্রধান লক্ষ্য মস্তিষ্ক কোষ। মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্ল্যান্ডের পাশাপাশি থাইরয়েড গ্ল্যান্ড, স্টেম সেল, ত্বক, মুখ, প্যারোটিড গ্ল্যান্ড, রক্ত কোষ, লিম্ফ নোড, স্তন, চোখেও ক্যানসার হতে পারে।

থাইরয়েড গ্রন্থিতে ক্যান্সার

পিটুইটারি গ্ল্যান্ডে ক্যানসারের ফলে তা থেকে গুরুত্বপূর্ণ হরমোন ক্ষরণ বিঘ্নিত হয়। যার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দেহের বৃ‌দ্ধি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যাহত হয়। গলায় থাইরয়েড গ্ল্যান্ড থাকে। কানের পরেই মোবাইলের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সিতে থাইরয়েড গ্ল্যান্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দেখা গেছে মোবাইল ফোন ব্যবহার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই থাইরয়েড গ্রন্থিতে ক্যান্সারের প্রবণতা বেড়েছে। বিশেষ ধরনের ত্বক কোষ দিয়ে শুরু হয়ে মস্তিষ্কে মেলানোমা (ক্যানসারের) আক্রান্তের সংখ্যাও মোবাইল ফোন ব্যবহারের সঙ্গে বেড়েছে। বিতর্ক থাকলেও সমীক্ষায় দেখা গেছে, স্টেম সেল ক্যান্সারে আক্রান্ত ২৯ জনের মধ্যে ১১জনই মোবাইল ফোন অত্যধিক ব্যবহার করেন।

প্রজননের সমস্যা সৃষ্টি

অত্যধিক মোবাইলের ব্যবহারে শুক্রাণুর ক্ষতি, পুরুষের বন্ধ্যাত্ব, মহিলাদের গর্ভপাতের সম্ভাবনা বাড়ে। শিশুদের ক্যানসার, ঘুমের সমস্যা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস, আত্মহত্যার প্রবণতা, হৃদ্‌রোগ, শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যাওয়া, আর্থরাইটিস, শ্রবণশক্তি কমে যাওয়া ও ত্বকের সমস্যাও হতে পারে। প্রভাব পড়ে ক্রোমোজোমের উপর। যার ফলে প্রজননের ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি রেডিয়েশন সিঙ্গেল ও ডাবল-স্ট্র্যন্ড ডিএনএকে ভেঙে দেয়। এছাড়াও মোবাইলের রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আমাদের নার্ভাস সিস্টেমের উপর এমন ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে যার ফলে স্নায়ুতন্ত্রে পরিবর্তনের পাশাপাশি কোষের মৃত্যু ঘটে। অনেক সময় ক্ষতিগ্রস্ত কোষ ক্যান্সারের কারণও হয়।

ঝালকাঠি আজকাল