যেভাবে সূচনা হয় প্রাচীন বাংলার বৃহত্তম টাকশালের
নবাবী আমলে মুর্শিদাবাদে টাকশাল ছিল। মুদ্রা তৈরির কারখানাকে বাংলায় বলে ‘টাকশাল’। ইংরেজিতে একে বলে মিন্ট ‘Mint’। তবে আমরা হয়ত অনেকেই জানিনা কিভাবে সূচনা হয়েছিল প্রাচীন বাংলার বৃহত্তম সেই টাকশালের।
দেওয়ান মুর্শিদকুলি খাঁ ‘মুকসুদাবাদের’ নাম বদলে জায়গার নাম রাখেন ‘মুর্শিদাবাদ’। বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য প্রচুর মুদ্রার প্রয়োজন সে কথা বুঝতে পারেন দেওয়ান মুর্শিদকুলি এবং সহযোগী শেঠ মানিকচাঁদ। তারা বুঝতে পেরেছিলেন, পাটনা থেকে মুদ্রা তৈরি করে আনার খরচ অনেক বেশি, সেই জায়গায় তারা নিজেরাই যদি মুর্শিদাবাদে একটি টাকশাল বানিয়ে নেন তাহলে অর্থনৈতিকভাবে অনেক সমস্যার সমাধানও সম্ভব হবে।
মুর্শিদকুলি এবং মানিকচাঁদের যৌথ প্রয়াসে মুর্শিদাবাদে গড়ে ওঠে বাংলার টাকশাল। মানিকচাঁদের কুঠি যেখানে ছিল, সেই মহিমাপুরের অন্যপারে গঙ্গানদীর তীরে একটি টাকশাল স্থাপিত হয়। মানিকচাঁদ এবং মুর্শিদকুলির চেষ্টায় শ্রীবৃদ্ধি হয় টাকশালের। ধীরেধীরে এই টাকশাল হয়ে ওঠে বাংলার বৃহত্তম টাকশাল। এই টাকশাল থেকে মুঘল সম্রাট মহম্মদ শাহ, দ্বিতীয় আলমগীর ও দ্বিতীয় শাহ আলমের নামের মুদ্রাও তৈরি হয়েছিল এক সময়।
মুর্শিদাবাদের এই টাকশালটি ঠিক কোথায় ছিল সে সম্পর্কে গবেষকদের মধ্যে যথেষ্ট মতভেদ আছে। কেউ কেউ বলেন টাকশালটি প্রথমে ছিল নদীর ওপারে ইচ্ছাগঞ্জের ঠিক বিপরীত দিকে। পরে সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছিল ইমামবাড়ার কাছে। আবার কেউ বলেন, টাকশালের সেই জায়গায় বর্তমান ইমামবাড়ার পশ্চিমাংশ নির্মাণ করা হয়েছে। ইমামবাড়ার সামনের ঘাটটির নাম ‘মিন্টঘাট’। অনুমান এক সময় সেখানেই নাকি ছিল টাকশাল।
আবার কেউ কেউ বলেন টাকশাল দেখাশোনার দায়িত্ব যেহেতু জগৎশেঠের উপর ছিল, সেহেতু টাকশালটি ছিল জগৎশেঠদের বাড়ির কাছাকাছি। বর্তমানে জগৎশেঠদের সেই বাড়ি নদীগর্ভে, বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে টাকশালও তলিয়ে যায় নদীগর্ভে। নবাবি আমলে জগৎশেঠ পরিবার সোনা-চাঁদির একচেটিয়া কারবার করতেন এবং নবাবকে তা সরবরাহও করতেন। তার জন্য তারা বাট্টা ও কমিশন পেতেন। টাকশালের দৌলতে শেঠদের ব্যবসা আরো ফুলেফেঁপে ওঠে।
যে কেউ সোনা-রুপো কিনে নবাবি টাঁকশালে দিলে তা থেকে মোহর বা টাকা তৈরি করে দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। কিন্তু সেই কাজের জন্য তাকে দিতে হতো কমিশন। সেই কমিশনের কিছু অংশ জগৎশেঠও পেতেন। বাকি পেতেন নবাব। ইংরেজ, ফরাসি, ডাচ কুঠির সাহেবরাও এক সময় নবাবি টাকশাল থেকে মুদ্রা তৈরি করিয়ে নিতেন। প্রাপ্ত ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৭২৫ সালে মুর্শিদাবাদের টাকশালে মিন্ট ডিউটি বা টাকশালে কমিশন বাবদ আদায় হয়েছিল ছয় লাখ টাকা। ভাবা যায়! বছর-বছর এর চেয়েও বেশি মুনাফা পেতে থাকেন নবাব। ধীরেধীরে বাংলার একচেটিয়া বৃহত্তম টাকশালে পরিণত হয় এই মুর্শিদাবাদের টাকশাল।
বাদশা ঔরঙ্গজেবের নাম দিয়ে তৈরি মুর্শিদাবাদে টাকশালের টাকা পাকিস্তানের লাহোর মিউজিয়ামে সংরক্ষিত রয়েছে বলে জানা যায়। দ্বিতীয় শাহ আলম-এর রাজত্বের দশ, এগারো ও উনিশ বছর পূর্তিতে তার নামাঙ্কিত মুদ্রা মুর্শিদাবাদের টাকশাল থেকে বের হয়েছিল। যে মুদ্রাগুলো ছিল পুরোপুরি দেশিপ্রথায় তৈরি। মোহরের একপিঠে ছিল ফার্সি ভাষায় লেখা বাদশার নাম এবং অপর পিঠে লেখা ছিল ‘জবরে মুর্শিদাবাদ’ বা ‘জলুষ ১৯’। এই ছাঁচ আর পরবর্তীকালে বদলানো হয়নি।
পরে বাংলার রাজধানী কলকাতায় স্থানান্তরিত হলে মুর্শিদাবাদের টাকশাল বন্ধ হয়ে যায়। অন্যদিকে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কলকাতার টাকশালে মুদ্রা তৈরি করলেও বহুদিন যাবৎ মুর্শিদাবাদের টাকশালের নাম ও প্রতীক ব্যবহার করত। এখানকার মুদ্রা চেনার সহজ উপায় ছিল যুঁইফুল ছাপ। যা ছিল বিখ্যাত।
শোনা যায়, মানিকচাঁদের মৃত্যুর পর তার ভ্রাতুষ্পুত্র রঘুনন্দন টাকশালের অধিকর্তা হন। প্রায় ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মুদ্রা তৈরি অব্যাহত ছিল এই টাকশালে। তারপর একদিন কালের গর্ভে হারিয়ে যায় বাংলার বৃহত্তম টাকশাল।
ঝালকাঠি আজকাল- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- প্রথম ধাপ: উপজেলা ভোটের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় আজ
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট
- অনলাইনে ছবি শেয়ার করাও বিপজ্জনক হতে পারে
- গরমে গাড়ির টায়ারের জন্য কোন বাতাস উপকারী?
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
- ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত
- গরমে বাড়ে যেসব চর্মরোগ
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- প্রিজন সেলে হত্যার ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- ঝালকাঠিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- বিয়ে করলেন জোড়া লাগা ২ বোন, স্বামী একজনই
- কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন