• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

সিরিয়াল কিলার ‘রসু খাঁ’ হচ্ছেন নিশো

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

নতুন সিরিজ নিয়ে আসছেন নির্মাতা শিহাব শাহীন। নাম ‘রসু খাঁ’। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হতে যাওয়া এ সিরিজে নাম ভূমিকায় অভিনয় করবেন আফরান নিশো।

তথ্য নিশ্চিত করে নির্মাতা জানান, ‘রসু খাঁ’ দেশের প্রথম সিরিয়াল কিলার। সত্য ঘটনা অবলম্বনে একটি ওটিটি প্লাটফর্মের জন্য সিরিজটি নির্মিত হবে।

শিহাব শাহীন আরও বলেন, গল্পটি সিরিয়াল কিলারের। এক যুগেরও বেশি আগে ঘটে যাওয়া বাংলাদেশের এক সিরিয়াল কিলারের কাহিনী নিয়েই গল্প।

‘রসু খাঁ’ সিরিজের আগে ‘সিন্ডিকেট ২’ এর কাজ শুরু হবে। শিহাব শাহীন বলেন বলেন, ‘সিন্ডিকেট ২’ এর জন্য সব রকমের প্রস্তুতি নিচ্ছি। যেখানে শেষ হয়েছে, সেখান থেকে নতুন এক গল্প নিয়ে কাজ করছি। এছাড়া চরিত্রের জন্য আবারও নিশোর চুল ছোট করতে হবে। এটা শেষ করার পর ‘রসু খাঁ’র কাজ শুরু করবো।’

কে এই রসু খাঁ

রসু মিয়ার আসল নাম রশিদ খাঁ। তার বাবা আবুল হোসেন ওরফে মনু খাঁ ছিলেন একজন ক্ষেতমজুর। রসু খাঁর বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের মদনা গ্রামে। ‘রসু খাঁ’ বাংলাদেশের প্রথম সিরিয়াল কিলার। ১১ জন নারীকে হত্যা করেছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দেয় সে। তার হত্যার শিকার নারীরা ছিলেন ১৭ থেকে ৩৫ বছর বয়সের পোশাককর্মী।

প্রেমের ফাঁদে ফেলে নারীদের ডেকে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া রসু খাঁ এখন চাঁদপুর কারাগারে বন্দি। তার প্রথম মৃত্যুদণ্ডের রায় হয় ২০১৫ সালে। এখন পর্যন্ত তিনটি মামলায় ফাঁসির আদেশ হয়েছে সিরিয়াল কিলার রসু খাঁর। যার মধ্যে একটি মামলায় তিনি খালাস পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে এখনো আটটি মামলা বিচারাধীন।

২০০৯ সালের ৭ অক্টোবর মসজিদের ফ্যান চুরির ঘটনায় টঙ্গী থেকে রসু খাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার মোবাইল ফোনের সূত্রে স্থানীয় এক কিশোরী হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তিন দিনের রিমান্ডে মুখ খোলেন রসু খাঁ। বেরিয়ে আসে গা শিউরে ওঠা তার সব ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা।

রিমান্ড শেষে আদালতে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দিতে ১১টি খুনের কথা উঠে আসে। আরও ১০১ জন নারীকে হত্যা করার পরিকল্পনার কথাও স্বীকার করেন এই কুখ্যাত ক্রণিক খুনি।

যেভাবে সিরিয়াল কিলার হয়ে ওঠেন রসু

গ্রামের এক সাধারণ চোর থেকে রসু খাঁ হয়ে উঠলেন একজন ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার। জবানবন্দি থেকে জানা যায়, বিয়ের পর অন্য এক নারীর প্রেমে পড়েন রসু খাঁ। সেই নারীর ভাড়াটে গুন্ডাদের হাতে মার খেয়ে ১০১টা হত্যা করার পরিকল্পনা নেন তিনি। তবে পুলিশের হাতে আটকের আগ পর্যন্ত ১১ জন নারীকে হত্যা ও ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন রসু খাঁ।

পরকীয়া করার অপরাধে নিজ শ্যালক মান্নানের স্ত্রী রীনাকেও মান্নানের সহযোগিতায় হত্যা করেন রসু খাঁ। রীনাকে তার বাড়ি হাতিয়া থেকে মিথ্যে প্ররোচনায় ফরিদগঞ্জের ভাটিয়ালপুরে নিয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে ফেলে যায়।

মূলত রীনাকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে রসু খাঁ নারী নির্যাতন ও হত্যায় পৈশাচিক আনন্দ পেতে শুরু করেন। এরপর একে একে আরও দশজন নারীকে কখনো প্রেমের ফাঁদে ফেলে, কখনো ধর্ষণ করে, কখনো বা কন্ট্রাক্ট কিলিং করেন রসু খাঁ।

ঝালকাঠি আজকাল