• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

বুয়েটে চূড়ান্ত পরীক্ষায় সুযোগ মিলবে যাদের

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২২  

বলতে গেলে একেবারেই সন্নিকটে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা। দিনের হিসেব কষলে আর মাত্র পাঁচদিন বাকি। এরইমধ্যে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ শুরু হয়েছে। 

রোববার (২৯ মে) এই প্রবেশপত্র ডাউনলোড কার্যক্রম শুরু হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে (http://ugadmission.buet.ac.bd/) গিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে।

যেসব শিক্ষার্থীরা ২০২১-২২ সেশনে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার্থী তাদের যেকদিন সেই কদিনই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে কীভাবে প্রাথমিক বাছাই প্রক্রিয়া হয়েছিলো সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত।

প্রাক-নির্বাচনী: ২০২০-২১ সেশনের বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিলো দুই ধাপে। প্রথম ধাপে ছিলো প্রাক-নির্বাচনী বা প্রাথমিক বাছাই পরীক্ষা। এই অংশে যারা পাস করবে তারাই চূড়ান্ত পরীক্ষা/লিখিত পরীক্ষায় বসতে পারবে। 

গত বছরের বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার প্রিলিমিনারি অংশে উচ্চতর গণিতে ৩৪, পদার্থবিজ্ঞানে ৩৩ ও রসায়নে ৩৩- মোট ১০০ নম্বরের বহুনির্বাচনী প্রশ্নে পরীক্ষা হয়েছিল। এছাড়াও লিখিত অংশে উচ্চতর গণিতে ১৪০, পদার্থবিজ্ঞানে ১৩০ এবং রসায়নে ১৩০- এই তিন বিষয়ে মোট ৪০০ মার্কের পরীক্ষা নেয়া হয়ে হয়েছে।

বহুনির্বাচনী অংশে প্রতিটি প্রশ্নের মান ১ এবং লিখিত অংশে প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০। বহুনির্বাচনী অংশে সময় থাকে ১ ঘণ্টা আর লিখিত অংশে ২ ঘণ্টা। প্রিলিমিনারি অংশে নির্বাচিত হলেই লিখিত পরীক্ষায় যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

মনে রাখতে হবে। টেকনিক খাটিয়ে পড়াশোনা করতে হবে। বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় অনেকের খারাপ করার প্রধান কারণ বেশি দুশ্চিন্তা বা আতংকে থাকা। অনেক শিক্ষার্থী দীর্ঘদিন যা পড়েছে তার বেশিরভাগই পরীক্ষার হলে গিয়ে ভুলে যায়। এছাড়া কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি সময় নষ্ট করে ফেলে। ফলে সহজ প্রশ্নগুলো সমাধান করে আসতে পারে না।

সময়বন্টন: বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রতিটি রচনামূলক প্রশ্নের জন্য গড়ে প্রায় ৩ মিনিট সময় পাওয়া যায়। অতি অল্প সময়ের মধ্যে সব প্রশ্নের উত্তর করা প্রায় অসম্ভব। তাই যেসব প্রশ্নের সমাধান জানা আছে অথবা সমাধান করতে পারা যাবে বলে মনে হয় সেগুলোর আগে উত্তর করা উচিত।

মানবণ্টন: সিলেবাস এক হলেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ধরনে বেশ পার্থক্য আছে। প্রশ্নপদ্ধতি, মানবণ্টন, সময় ইত্যাদি সম্বন্ধে একটা স্বচ্ছ ধারণা রেখে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ১০০ ভাগ উত্তর করে আসা অনেকটা কঠিন। ৬০০ নম্বরের মধ্যে ৪০-৫০ নম্বরের উত্তর না করেও বুয়েটে চান্স পাওয়া সম্ভব। তাই সব প্রশ্নের উত্তর করে আসব- এই টার্গেট নিয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়া একধরনের বোকামি। বরং এই টার্গেট রাখা উচিত,আমি যা পারি তা সঠিকভাবে দিয়ে আসব।

ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত এই তিনটি বিষয়ের ওপরই প্রশ্ন করা হয়। এর মধ্যে পদার্থ আর গণিতের প্রশ্নগুলো তুলনামূলক কঠিন হয়। এই বছর পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিত প্রতিটি বিষয়ে ২০০ নম্বরের প্রশ্ন থাকবে। মনে রাখতে হবে কোনো ধরনের এমসিকিউ প্রশ্ন থাকবে না। বিগত বছরের বুয়েট এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নগুলো অবশ্যই শুরু থেকে সমাধান করা উচিত। পুরোনো প্রশ্নগুলো দেখলে যেমন প্রশ্ন সম্পর্কে একটা ধারণা হবে, তেমনি প্রস্তুতির ফাঁকফোকরগুলোও ধরা পড়বে।

ঝালকাঠি আজকাল