• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণরুমে বসছে চৌকি

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২১  

করোনার কারণে দীর্ঘ ছুটির পর আবাসিক হল খুলে দেয়ার পরিকল্পনা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। স্বাস্থ্যঝুঁকি নিরসনে আবাসিক হলে কোনো গণরুম থাকবে না এমন সিদ্ধান্তও নেয়া হয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার কোনো ঘাটতি যেনো না হয় গণরুমগুলোতে বসানো হচ্ছে চৌকি (বেডশিট)। 

স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও জাতীয় নীতিমালার আলোকে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রক্টর ও প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। 

তিনি বলেন, আমরা হল খোলার ব্যাপারে মানসিক ও অবকাঠামোগত প্রক্রিয়াতে আছি। আবাসিক হলগুলোতে শুধুমাত্র বৈধ শিক্ষার্থীরা সিট বরাদ্দ পাবে। সংশ্লিষ্ট হলের নীতিমালার আলোকে তাদের সিট বরাদ্দ দেয়া হবে। যাদের ছাত্রত্ব নেই, তারা কোনোভাবেই হলে অবস্থান করতে পারবেন না। এরইমধ্যে আবাসিক হল ও ক্যাম্পাস খুলতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে নীতিমালাও প্রণয়ন করেছে ঢাবি প্রশাসন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে বেড বসানোর কাজ এরইমধ্যেই শুরু হয়েছে। হলে যে সব গণরুমে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে বসবাস করা শিক্ষার্থীদের দুরবস্থা কাটছে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এএফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কেএম সাইফুল ইসলাম খান ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, আমাদের হলে সাতটা গণরুম। মোট ২৮টি বেড তৈরি করা হয়েছে। ৭টি গণরুমে ৪টি করে বেড বসানো হয়েছে। এতে প্রতি বেডে দুজন করে শিক্ষার্থী থাকবে। প্রভোস্ট কমিটি একটি নীতিমালা অনুযায়ী এখন থেকে আর কোনো শিক্ষার্থী ফ্লোরে ঘুমাবে না। তাই সব শিক্ষার্থীর জন্য চৌকি/ খাট বরাদ্দ থাকবে। গণরুমে গাদাগাদি করে কোনো শিক্ষার্থী থাকছে না। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, আমরা হল এখন সংস্কারের কাজ করছি। সবকিছু ঘষামাজা করে পরিষ্কার করা হচ্ছে। হলের গণরুম আর থাকছে না৷ এটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। আমরা দুএকদিনের মধ্যে গণরুম পরিষ্কার ও এতে বেড বসানোর কাজ শুরু করবো। এতে শিক্ষার্থীদেরকে সুন্দর একটি থাকার জায়গা উপহার পাবে। প্রতিটি হলেই এই কাজ করা হবে। 

হল খোলার প্রস্তুতির নিয়ে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি ও বিজয় একাত্তর হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বলেন, হলের কক্ষ, ক্যান্টিন রুম, রিডিং রুম সংস্কার, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। করোনায় সুরক্ষার জন্য হলের গেইটে পর্যাপ্ত বেসিন বসানো হয়েছে। যাতে পরিচ্ছন্ন হয়ে শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশ করতে পারে। হলগুলোতে এখন আর গণরুম থাকবে না। উপাচার্য স্যারের নেতৃত্বে প্রভোস্ট কমিটি একটি নীতিমালা করেছে। আর কোনো শিক্ষার্থী ফ্লোরে ঘুমাবে না, অবশ্যই একটা খাট নির্ধারিত থাকবে। গণরুমে কোনো শিক্ষার্থী থাকছে না। মানসম্পন্ন রুমগুলোতে আমরা বরাদ্দ দিয়ে রেখেছি। হল খোলার পর এই প্রক্রিয়া শুরু হবে 

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার হলে (বিজয় একাত্তর) প্রস্তুতি প্রায় শেষের দিকে। আমাদের মূল রুমগুলোতে পর্যাপ্ত সিট ফাঁকা রয়েছে তাই গণরুমের শিক্ষার্থীদের সেখানে রুম বরাদ্দ দেয়া হবে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী আগামী ১০ সেপ্টেম্বরে মধ্যে হলগুলোকে পূর্ণাঙ্গভাবে প্রস্তুত করা হবে। আমাদের কর্মচারীরা এখন ছুটির দিনেও হল সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছে। হল খোলার পর শিক্ষার্থীরা যাতে বুঝত৷ পারে তারা একটা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসেছে। এতে তারা মানসিকভাবে একটা প্রশান্তি পাবে। করোনায় যা শিক্ষার্থীদের জন্য অতি প্রয়োজনীয়।

ঝালকাঠি আজকাল