• রোববার ১২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৩ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
জলাধার ঠিক রেখে স্থাপনা নির্মাণে প্রকৌশলীদের আহ্বান প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে টেকসই কৌশল উদ্ভাবনের আহ্বান যে পরিকল্পনা হউক, সেটা পরিবেশবান্ধব হতে হবে : প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল থেকে উন্নয়নই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য: প্রধানমন্ত্রী আইইবির ৬১তম কনভেনশন উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিটি মানুষকে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল করতে সরকার কাজ করছে ড. ওয়াজেদ মিয়া অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে বেঁচে থাকবেন দ্রব্যমূল্য বেড়েছে, সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী প্রতিজ্ঞা করেছিলাম ফিরে আসবোই: শেখ হাসিনা

প্রথমবারের মতো ২২৫০ ডলার ছাড়ালো সোনার আউন্স

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২৪  

বিশ্ববাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সোনার দাম। এতে ঘটছে একের পর এক রেকর্ড। চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার লেনদেন শুরু হতেই সোনার দামে বড় উত্থান হয়েছে। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে দামি এই ধাতুটি। প্রথমবারের মতো এক আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ২৫০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

শুধু শুক্রবার নয়, মার্চ মাসজুড়েই বিশ্ববাজারে সোনার দাম এমন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এর মধ্যে গত সপ্তাহেই প্রতি আউন্স সোনার দাম বাড়ে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার বা ২ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর মার্চ মাসে বেড়েছে ২০০ ডলারের ওপরে।

আগে থেকেই বিশ্ববাজারে রেকর্ড দামে উঠা সোনা সোমবার লেনদেন শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যে ২ হাজার ২৫০ ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে। এ প্রতিবেদন লেখার পর্যন্ত প্রতি আউন্স সোনার দাম দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৫৯ দশমিক ২৪ ডলারে।

বিশ্ববাজারের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১৮০ দশমিক ৯২ ডলার। সেখান থেকে বেড়ে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ২৩২ দশমিক ৩৮ ডলারে থিতু হয় সপ্তাহ শেষে। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি আউন্স সোনার দাম বাড়ে ৫১ দশমিক ৪৬ ডলার বা ২ দশমিক ২৬ শতাংশ।

আর মার্চ মাসেরে শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ৪৩ দশমিক ৬৩ ডলার। অর্থাৎ গত সপ্তাহ পর্যন্ত মার্চ মাসে প্রতি আউন্স সোনার দাম বাড়ে ১৮৯ দশমিক ২০ ডলার বা ৯ দশমিক ২৬ শতাংশ।

এদিকে চলতি সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস সোমবার ইতোমধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ২৬ দশমিক ৮৬ ডলার বেড়েছে। এতে মার্চ মাসে প্রতি আউন্স সোনার দাম বাড়ালো ২১৬ ডলার।

শুধু বিশ্ববাজার নয় দেশের বাজারেও রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে সোনা। দেশের বাজারে সোনার দাম সর্বশেষ নির্ধারণ করা হয় গত ২১ মার্চ। যা কার্যকর হয় ২২ মার্চ থেকে।

বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বাড়ার কারণ উল্লেখ করে সেদিন সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৯১৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করে হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৭৪ টাকা।

এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৭৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৮ হাজার ৮৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৩৩৩ টাকা বাড়িয়ে ৯৩ হাজার ৩১২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম ১ হাজার ৯৮৩ টাকা বাড়িয়ে ৭৭ হাজার ৭৯৯ টাকা নির্ধারণ করে। দেশের বাজারে সোনার এতো দাম আগে কখনো হয়নি। বর্তমানে এই দামেই সোনা বিক্রি হচ্ছে।

অবশ্য সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হচ্ছে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গহনা বিক্রি করা হয়। সেই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গহনা কিনতে ক্রেতাদের ১ লাখ ২৩ হাজার ২৭৭ টাকা গুনতে হচ্ছে।

দেশের বাজারে সর্বশেষ যখন সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়, সে সময় বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১৫৫ ডলারের কাছাকাছি। অর্থাৎ দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পর ইতোমধ্যে প্রতি আউন্স সোনার দাম ১০০ ডলারের মতো বেড়ে গেছে।

এদিকে বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন, চলতি বছর প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে গত শনিবার বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং’র চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের যে রেকর্ডটা আমরা দেখেছি প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার ৩০০ ডলার এই বছর হয়ে যেতে পারে।

তিনি বলেন, ভূরাজনৈতিকসহ কয়েকটি কারণে সোনার দাম বাড়ছে। ইনফ্লেশন (মূল্যস্ফীতি) এখন খুব হাই। ডলারের দাম সেই তুলনায় কম। এ কারণে বিনিয়োগ গোল্ডের দিকে ঝুঁকে গেছে। আবার মুক্তবাজার অর্থনীতিতে অনেক দেশ এখন ডলার বাদ দিয়ে রিজার্ভ হিসেবে সোনা কিনে রাখছে।

বাংলাদেশে নতুন করে দাম বাড়ানো হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববাজার এবং স্থানীয় বাজারের পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। এখানে দুটি বিষয় আছে একটা ফিউচার মার্কেট, আর একটা প্রাকটিক্যাল মার্কেট। ফিউচার মার্কেটে দাম বাড়তে পারে বিনিয়োগের কারণে। আর প্রাকটিক্যাল মার্কেটে যদি ক্রয়ক্ষমতার ওপরে চলে যায়, তখন মানুষ কম কিনবে, চাহিদা কম থাকবে। এই দুটিদিক বিবেচনা করে আমাদের দাম ওঠা-নামা করে। আমরা স্থানীয় বাজারের চিত্র দেখবো। যদি ওরকম না বাড়ে তাহলে হয় তো বাড়ানো হবে না। আর যদি বেড়ে যায় তখন তো বাড়াতে হবে।

ঝালকাঠি আজকাল