দীর্ঘ বঞ্চনার অবসানের আশা : তিস্তা ব্রিজ নির্মাণ শেষের পথে
![](https://www.jhalakathiajkal.com/media/imgAll/2023November/sara-9-2311251250.jpg)
তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের দীর্ঘ বঞ্চনার গল্প মুছে দেয়ার পালা এবার। নদীগর্ভে বিলীন হবে না তিস্তার দুপাড়। ফিরে পাওয়া জমিতে ফসল চাষ করে ভাঙা কোমরে শক্তি যোগাবার আশায় বুক বেঁধেছে নদীভাঙা মানুষ। ভাটির অঞ্চল কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার যোগাযোগ ব্যবসাবাণিজ্যেও ঘটতে যাচ্ছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। উত্তরের দুই জেলায় আশীর্বাদ হয়ে ধরা দেয়া আশা জাগানিয়া তিস্তা সেতুর গল্প।
চিলমারীর কথা উঠলেই এখনো মনে নাড়া দেয় ভাওয়াইয়ার চিরচেনা অকৃত্রিম সুর। কল্পনায় চলে আসে ধুলো উড়িয়ে মেঠো পথে। চাকায় শব্দ তুলে ছুটে চলা। পণ্যবাহী গরুর গাড়ি চলার দৃশ্য। গাড়োয়ানের পথপানে চেয়ে আকুতির এ সুর উত্তরের সংস্কৃতি ও জনজীবনের প্রতিচ্ছবি। ‘যেদিন গাড়িয়াল উজান যায়। নারীর মন মোর পইরা রয় রে। ওকি গাড়িয়াল ভাই। হাঁকাও গাড়ি তুই চিলমারী বন্দরে।’ যোগাযোগ, অবকাঠামো, অর্থনীতিসহ দিনবদলের ধারা যারা দেখেছেন, উভয় কালের সাক্ষী হয়ে আছে তাদের চোখ, পরিমল মজুমদার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন, আমাদের শৈশবের প্রারম্ভ থেকে দেখেছি রাত দুইটা ও তিনটা পর্যন্ত এখানে হাট লাগতো এবং আশপাশের মানুষ এসে এখান থেকে জিনিসপত্র কিনে নিয়ে তারা কেনাবেচা করত। সেগুলো আসত গাইবান্ধা থেকে। এপারে গাইবান্ধা আর ওপারে কুড়িগ্রামের চিলমারী বন্দর। দুই জনপদের মাঝে বিভক্তির রেখা টেনে বয়ে চলেছে তিস্তা। তারপরও ব্যবসাবাণিজ্যের প্রয়োজনে থেমে থাকেনি যোগাযোগ। বর্ষায় নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে বাহন ছিল গরুর গাড়ি। কালের বিবর্তনে গরুর গাড়ির সঙ্গে সঙ্গে যোগাযোগের সেই ভোগান্তিকেও এবার বিদায় জানাবার পালা। নদী শাসনের ফলে জেগে উঠবে হাজারো একর ফসলি জমি। তাইতো তিস্তা সেতু শুধু সেতু হিসেবে নয় তিস্তাপাড়ে ধরা দিয়েছে আশীর্বাদ হয়ে। ২০১৪ সালে সেতুটির ভিত্তি প্রস্তরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নানা জটিলতা কাটিয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শুরু হয়। এ পর্যন্ত ৩১টি পিলারের মধ্যে ৩০টি পিলারই দৃশ্যমান। আর ৩১টি স্প্যানের মধ্যে বসেছে ১৮টি। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুর থেকে কুড়িগ্রামের চিলমারী পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই সেতুর উভয়পাড়ে ২ কিলোমিটার অ্যাপ্রোচ সড়ক, ৫ কিলোমিটার নদী শাসন ও ৮৮ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণ হবে। সব মিলিয়ে এ প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৭০ ভাগ। স্থানীয় বাসিন্দা জামাল উদ্দিন জানান, তিস্তা ব্রিজটি হওয়ায় নদী শাসন করা হয়েছে। দুপাড়ে জেগে উঠেছে ফসলি জমি। এখন আর নদীভাঙন হচ্ছে না। চর জেগে উঠায় হাজারো মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। তিস্তা সেতু নির্মাণে ৮৮৫ কোটি টাকার পুরোটাই অর্থায়ন করছে সৌদি ফান্ড ফর ডেভলপমেন্ট। আর এই সেতুটি নির্মাণ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন লিমিটেড। আগামী বছরের ৩০ জুন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আশা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের। মালেক উদ্দিন জানান, তিস্তা সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে চিলমারী থেকে ঢাকার দূরত্ব দেড়শ কিমি কমে আসবে।
গোপাল কৃষ্ণ দেবনাথ, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক ও সেতু রক্ষণাবেক্ষণ ইউনিট, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর জানান, এ কাজের বর্তমান অগ্রগতি এবং এর গুণগতমান সন্তোষজনক। এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের যে প্রত্যাশা সঠিক সময়ে সেই প্রত্যাশা পূরণ হবে। ছাবিউল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, গাইবান্ধা জানান, রাস্তার কাজগুলো অনেক দূর এগিয়েছে, বড় দুটি প্যাকেজের কাজ শেষ হয়েছে। আর যেটি সবচেয়ে বড় প্যাকেজ ধাপেরহাট-সাদুল্যাপুর সংযোগ সড়কের কারপেটিং কাজ চলমান। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের পাঁচপীর হয়ে সদরের লক্ষীপুর দিয়ে সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত হবে কুড়িগ্রাম জেলা। এতে রাজধানীর সঙ্গে কুড়িগ্রামের দূরত্ব কমবে ১৩২ কিলোমিটার। সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে বর্ষাকালে নৌপথের ঝুঁকি আর শুষ্ক মৌসুমে দুর্গম বালুচর পাড়ি দিয়ে আর যোগাযোগ করতে হবে না কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা কিংবা রাজধানীর সঙ্গে। এমনিভাবে পরিবর্তন ঘটবে এই এলাকার ব্যবসাবাণিজ্যেও।
- স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
- নরসিংদী কারাগার থেকে পালানো ৪ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার
- টানা ৬ দিন পর বরিশাল-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল শুরু
- ৩০০ কক্ষ ভাঙা হয়েছে, মেরামতের আগে হল খোলা সম্ভব নয়: ঢাবি ভিসি
- বিজিবির পাহারায় সারা দেশে তেলবাহী ট্রেন চলাচল শুরু
- ১৬ কোটি টাকার সাপের বিষ জব্দ করল বিজিবি
- বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ
- গুজব যাতে না ছড়ায়, চেষ্টা করছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
- চারদিনে খান ইউনুসে বাস্তুচ্যুত ১৮০,০০০: জাতিসংঘ
- বৃষ্টিভেজা প্যারিস অলিম্পিকের চোখ ধাঁধানো উদ্বোধন
- রিমান্ড শেষে কারাগারে নুর
- রিমান্ড শেষে কারাগারে নুর
- পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে কারফিউ তুলে নেওয়া হবে
- সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসা-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার
- দেশের প্রতিটি আনাচে-কানাচে অপরাধীদের খুঁজে বের করুন
- সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন আজ
- জুলুম সমর্থনকারীদের হাশর হবে জালিমের সাথেই
- সারি সারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর বিএনপি
- কয়েকদিনের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
- বরিশাল থেকে লঞ্চ ও বাস চলাচল শুরু
- বরিশালে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ল
- সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে: সেনাপ্রধান
- আধুনিক প্রযুক্তির মেট্রোরেল যেভাবে ধ্বংস করেছে, মানতে পারছি না
- যে ধ্বংসযজ্ঞ চলেছে, দেশবাসীকেই বিচার করতে হবে
- সরকার পতনের ‘ব্লু প্রিন্ট’: বিমানবন্দর ও বিটিভি দখল করতে চেয়েছিল সন্ত্রাসীরা
- আন্দোলন-সংঘাতে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে ক্ষতি কত?
- একলাফে কাঁচা মরিচের দাম কমল ৯৫ টাকা!
- কোটা সংস্কার আন্দোলন: ভিডিও ফুটেজে শনাক্ত হামলাকারীরা
- স্থগিত হওয়া এইচএসসি পরীক্ষা ১১ আগস্টের পর
- আমিরাতে শ্রমিক নেয়া বন্ধের খবর সঠিক নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- ঝালকাঠিতে কৈশোর বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক কর্মশালা
- বরিশাল শিক্ষা বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষার্থী ৬৬ হাজার ৫৬২ জন
- জমে উঠেছে ঝালকাঠির বৃহত্তম নৌকার হাট
- এলপি গ্যাসের দাম বাড়লো
- কাঠালিয়ায় কৃষকের মাঝে সার, বীজ ও নারিকেলের চারা বিতরণ
- অফলাইনে নেটফ্লিক্স দেখার উপায় জানেন?
- সুস্বাদু চমচম তৈরির রেসিপি
- আজ ব্যাংক হলিডে, লেনদেন বন্ধ
- ঝালকাঠিতে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবস পালিত
- বোয়াল মাছের ঝাল রান্না, রইলো সহজ রেসিপি
- ঘুম ভাঙতেই বুকে ব্যথা কোনো রোগের লক্ষণ নয় তো?
- আইনমন্ত্রীর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বসেছেন আন্দোলনকারীরা
- বরিশালে হাইড্রোলিক হর্ন প্রতিরোধ সচেতনতায় র্যালি
- জিকা ভাইরাসের লক্ষণ কী? প্রতিরোধে করণীয়
- ধীরে ধীরে কিডনি বিকল!
- প্রক্সি নেটওয়ার্কে ঢাবি শিক্ষার্থীরা, নিয়ন্ত্রণ হয় বিদেশ থেকে!
- এসএসসি পাসে রাজস্ব বোর্ডে চাকরি, নেবে ৪৩ জন
- বরিশালে জাল মুদ্রা-মোটরসাইকেলসহ প্রতারক চক্রের দুই সদস্য আটক
- সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির ফলে টেকসই কৃষি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হয়েছে
- পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি, নিচ্ছে বিলিং সহকারী