• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

ড্রেজিংয়ে নাব্যতা ফিরে পেল ২৪টি নৌপথ, সাশ্রয় ৩০০ কোটি

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২  

দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। চলতি মাসে একযোগে শেষ হয়েছে ২৪টি নৌপথের ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কাজ। নাব্যতা ফিরে পেয়েছে ২ হাজার ৩৮৬ কিলোমিটার নদীপথ। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে বরাদ্দের চেয়ে ৩০০ কোটি টাকার মতো কম খরচ করা হয়েছে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশের হৃদস্পন্দন যেন এর নানা প্রান্তজুড়ে বয়ে চলা ৪০৫টি নদী। যেগুলোকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে বহু শহর, বাণিজ্যকেন্দ্র। বেঁচে আছে লাখো মৎস্যজীবী, যাতায়াত করছে কোটি মানুষ, নির্ভর আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্যও।

তবে বহু বছর ড্রেজিংয়ের অভাব, দখল-দূষণের কবলে পড়ে যে নদীগুলো মৃতপ্রায় হয়ে গিয়েছিল এবার সেগুলো প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। চলতি মাসেই সম্পন্ন হয়েছে ২৪টি নৌরুটের ক্যাপিটাল ড্রেজিং। নাব্যতা ফিরেছে প্রায় ৩ হাজার কিলোমিটার নদীপথের।

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান গোলাম সাদেক বলেন, ২৪ নদী নিয়ে আমরা কাজ শেষ করেছি এ অর্থবছরে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে, প্রায় তিন হাজারের মতো নৌপথ উন্নয়ন করতে পেরেছি। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এক হাজার ৯০০ কোটি টাকার প্রকল্প আমরা শেষ করেছি ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকায়, প্রায় ৩০০ কোটি টাকার মতো এখানে সাশ্রয় হয়েছে। তবে নৌপথগুলোকে নাব্য করতে পেরেছি ৩০০ হাজার কিলোমিটারের মতো। এতে আমরা ৬ হাজার বা সাড়ে ৬ হাজারের মতো কিলোমিটার নৌপথ নাব্য রাখতে পারছি সব মৌসুমে। আর বর্ষার সময় এটা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে ১০ হাজার কিলোমিটারের মতো।

প্রকল্প পরিচালক সাইদুর রহমান বলেন, নদীগর্ভ থেকে ১ হাজার ১০৩ লাখ ঘনমিটার পলি অপসারণের পাশাপাশি ৩০২ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে, যা নৌ খাতে বিদ্যমান মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে এ প্রথম।

অভ্যন্তরীণ ৫৩টি নৌরুটের নাব্য ফেরাতে ২০১০ সালে সরকারের নেয়া ড্রেজিং মহাপরিকল্পনায় এ পর্যন্ত ৩৬টি রুটের খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ১৭টি রুটের প্রকল্প চলমান রয়েছে।

ঝালকাঠি আজকাল