রেলে কক্সবাজার ভ্রমণ, প্রকল্পে অগ্রগতি ৬৬ শতাংশ
সরকারের মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প। কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা সেতু, মেরিন ড্রাইভ, ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন প্রকল্পের কাজ যখন শেষের দিকে, দেশের মানুষের চোখ তখন চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইন নির্মাণের দিকে।
২০২১ সালে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ তা পিছিয়ে ২০২২ সালে শেষ করার ঘোষণা দেন। কিন্তু দেশের মানুষের বহুদিনের সেই রেলে কক্সবাজার ভ্রমণের স্বপ্ন কি নতুন বছরে পূরণ হবে, সেই প্রশ্ন সবার মনে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, রেললাইন নির্মাণ হলে ট্রেনে পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজারে প্রবেশ করতে পারবেন পর্যটকেরা। চট্টগ্রাম থেকে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এজন্য বিশেষ কোচ কেনা হবে। পর্যটন নগরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়বে সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ‘ঝিনুকাকৃতির’ রেলস্টেশন। এটি দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন হতে যাচ্ছে।
রেলপথটিতে ৮টি স্টেশন নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রথমে কক্সবাজার ও পরের স্টেশনটি রামু। এরপর ইসলামাবাদ, ডুলাহাজারা, চকরিয়া, হারবাং, লোহাগাড়া, সাতকানিয়া ও দোহাজারী রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণকাজ চলছে।
প্রকল্পের আওতায় ১২৮ কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু পর্যন্ত ৮৮ কিলোমিটার, রামু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার এবং রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। এছাড়া নির্মিত হচ্ছে চারটি বড় সেতুসহ ২৫টি সেতু। বড় সেতুগুলো হচ্ছে মাতামুহুরী নদী, মাতামুহুরী শাখা নদী, শঙ্খ ও বাঁকখালী নদীর ওপর।
চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণে প্রথমে ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা। ২০১৬ সালে প্রকল্প প্রস্তাব সংশোধন করে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা।
২০১৮ সালের জুলাইয়ে প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিআরইসি) ও বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি এবং চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) ও বাংলাদেশের ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড পৃথক দুইভাগে কাজটি করছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ হয়েছে ৬৬ শতাংশ।
রেল কর্মকর্তারা বলছেন, বর্ষা আর অধিগ্রহণ ঝামেলার কারণে কিছুটা কাজের বিঘ্ন ঘটে। এখন কাজ পুরোদমে চলছে। ২০২৩ সালের জুনে চালুর পরিকল্পনা রয়েছে নতুন এই রেলপথ।
প্রকল্প নেওয়ার সময় ২০১৩ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। তা বাড়িয়ে করা হয় ২০১৮ সাল পর্যন্ত। কিন্তু ঠিকাদার নিয়োগ করা হয় ২০১৭ সালে। তখন প্রকল্পের কাজ শেষ করার সময়সীমা ঠিক করা হয় ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু এ বছর প্রকল্পের কাজ শেষ করা নিয়ে সংশয় রয়েছে সংশ্লিষ্টদের।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম তুহিন বলেন, রেল চড়ে কক্সবাজার ভ্রমণ, এটি কল্পনার অতীত ছিল। এখন রেলপথ, স্টেশন নির্মাণ দেখে অবাক হচ্ছি। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে সবসময় যানজটে পড়তে হতো। বিরক্ত হতাম। ট্রেন চালু হলে স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারবো।
সরেজমিন দেখা যায়, কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাহ থেকে রামু উপজেলার জোয়ারিয়া নালা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার রেললাইন বসানো হয়েছে। কক্সবাজার-চকরিয়া অংশের ৫০ কিলোমিটার এলাকায় মাটির কাজের পাশাপাশি এগিয়ে চলছে রেললাইন বসানোর কাজ। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে চকরিয়া পর্যন্ত আরও প্রায় ৫০ কিলোমিটার অংশে ১৯টি সেতুর সব কটি তৈরি হয়ে গেছে। স্টেশন ভবন নির্মাণকাজ চলছে। বর্ষায় যে স্টেশনগুলোর কাজ করা যায়নি, সেগুলোর কাজও চলমান। তার মধ্যে ছয়টি স্টেশনের ছাদ তৈরি হয়ে গেছে। বর্ষার পানির জন্য রেলপথ বসাতে সেখানে সমস্যা হয়েছে, সেখানেও মাটি ভরাট করে রেলপথ বসানোর কাজ শেষ।
প্রকল্প পরিচালক মো. মফিজুর রহমান বলেন, আমরা চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করার। ইতিমধ্যে প্রকল্পটির প্রায় ৬৬ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্ষায় কাজ করতে সমস্যা হয়েছে। এখন পুরোদমে কাজ চলছে। করোনা মহামারি, জমি অধিগ্রহণে জটিলতার কারণে কাজ কিছুটা গতি হারায়। তবে এখন পুরোদমে কাজ চলছে। আশা করছি, ২০২২ সালের জুনের (প্রকল্প মেয়াদ) মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবো।
ঝালকাঠি আজকাল
- প্রচণ্ড জ্বর ও গায়ে ব্যথায় ভুগছেন, ম্যালেরিয়ার লক্ষণ নয় তো?
- এই গরমে দিনে কয় কাপ চা পান করবেন?
- গরমে প্রাণ জুড়াবে আমপান্না
- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- আজীবনের জন্য বয়কট ঘোষণা করা হলো জয় চৌধুরীকে
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- দিনে তীব্র তাপদাহর কারণে রাতে চাঁদের আলোয় ধান কাটছেন চাষিরা
- ভয়াবহ সংকটের কবলে বরিশাল সহ উপকূলের মৎস্য ও কৃষিখাত
- বরিশালে নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
- বানারীপাড়ায় কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষক গ্রেফতার
- তীব্র তাপদহে অতিষ্ঠ উপকূলের জনজীবন, বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী
- মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্রে সক্ষমতার পুরোটাই বাণিজ্যিক উৎপাদনে আসছে
- ফোন রিস্টার্ট নাকি পাওয়ার অফ কোনটি ভালো?
- সেই দুই ইউপি চেয়ারম্যান পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- আইপিএলের ইতিহাসে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ড মুহিতের
- শ্রীকাইল গ্যাসক্ষেত্রের কম্প্রেসর কিনতে চুক্তি
- আজ সলঙ্গার চড়িয়া গণহত্যা দিবস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ৩০ মামলার বিচার শেষের অপেক্ষা
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- ভোটে অংশ নেয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি
- তীব্র তাপপ্রবাহ: বরগুনায় ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে ভর্তি ৮৩ জন
- হিট স্ট্রোক এড়াতে কীভাবে সতর্ক থাকবেন?
- প্রথম ধাপ: উপজেলা ভোটের মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় আজ
- ঝালকাঠিতে জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট
- অনলাইনে ছবি শেয়ার করাও বিপজ্জনক হতে পারে
- গরমে গাড়ির টায়ারের জন্য কোন বাতাস উপকারী?
- ঝালকাঠির দুইটি উপজেলার নির্বাচনে মনোনয়পত্র যাচাই বাছাই
- কমবয়সীদেরও কেন হয় হার্নিয়া, এর চিকিৎসা কী?
- ঝালকাঠিতে নার্সদের ব্যাজ ও শিরাবরণ অনুষ্ঠিত
- হার্টে হলদেটে ছোপ কেন হয়, কীসের লক্ষণ?
- মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
- ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত
- গরমে বাড়ে যেসব চর্মরোগ
- বদহজম-পেটে যন্ত্রণা অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসারের লক্ষণ নয় তো?
- প্রিজন সেলে হত্যার ঘটনায় মামলা, তদন্ত কমিটি গঠন
- শবে কদরের নামাজের নিয়ত ও পড়ার নিয়ম
- ঝালকাঠিতে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত
- সদকাতুল ফিতর বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিধান
- পিসিওএস থেকে মুক্তি পেতে নারীরা যা করবেন
- বিয়ে করলেন জোড়া লাগা ২ বোন, স্বামী একজনই
- কোন রোগের জন্য কোন ডাক্তার দেখাবেন