• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

দুবাই থেকে আসা সোনা বাসে যাচ্ছিলো সীমান্তে

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১  

দুবাই থেকে বিমানে করে অবৈধ সোনার বার দেশে আসার পরে সেগুলো বাসে করে পাশের দেশ ভারতে পাচারের জন্য সাতক্ষীরা সীমান্তে নিয়ে যাচ্ছিলো। তবে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের তৎপরতায় রাজধানীতেই আটকে দেওয়া হয় সোনার চালানটি। গ্রেফতার করা হয়েছে সোহাগ পরিবহনের বাসচালকসহ তিন স্টাফকে।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি ভবনে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুর রউফ।

তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর মালিবাগ থেকে সাতক্ষীরার উদ্দেশ্য ছেড়ে যাওয়া সোহাগ পরিবহনের একটি বাসে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ সোনার বার জব্দ করা হয়েছে। গাড়িটিতে দীর্ঘ সময় ধরে তল্লাশির পর সোনার বারগুলো চালকের আসনের নিচে বিশেষ কৌশলে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় পাওয়া যায়।

গ্রেফতার করা হয় সোহাগ পরিবহনের গাড়িচালক শাহাদাৎ হোসেন, চালকের সহকারী ইব্রাহিম ও গাড়ির সুপারভাইজার তাইকুল ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, সোহাগ পরিবহনের গাড়ি থেকে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা সোনার বারের সংখ্যা ৫৮টি। যার ওজন ৬.৭২৮ কেজি। এই সোনার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। এসব সোনা বিদেশ থেকে এনে বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে পাশের দেশে পাচার করা হচ্ছিলো।

কাস্টমস গোয়েন্দাদের হাতে উদ্ধার এই সোনার আসল মালিক কে জানতে চাইলে সংস্থাটি মহাপরিচালক বলেন, বিষয়টি জানতে তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আরও জানতে কাস্টমস আইনে মামলা দায়েরের পাশাপাশি ফৌজদারি মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। মামলার প্রক্রিয়া শেষ হলে আমরা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে, তখন তারা তদন্ত করে বের করবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই সোনার বারগুলো দীর্ঘদিন ধরে মজুদ করা হচ্ছিলো। আমাদের কাছে উদ্ধার হওয়া সোনার মধ্যে ৮ কোম্পানির সোনার বার রয়েছে। আমাদের দেশে আসা অধিকাংশ সোনা পাশের দেশে পাচার হয়ে যায়। তাই কাস্টমস গোয়েন্দাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও পাচারকারীদের মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং অনুমতির প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমরা কাজ করছি।

ঝালকাঠি আজকাল