• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে মুজিবনগর দিবস বাঙালির ইতিহাসে অবিস্মরণীয় দিন: প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস আজ

ব্যবসায়ী উজ্জল হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ১৪ জুন ২০২২  

প্রায় নয় বছর আগে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার বতিহালা গ্রামের ব্যবসায়ী মো. উজ্জল মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  

মঙ্গলবার (১৪ জুন) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ আদেশ দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- নওশাদ, শাহাবুদ্দিন ও সবুজ। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা হয়েছে।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মরম, মহিম, কারিম, জসিম, মিয়া হোসেন ও জালাল উদ্দিন। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া ইসলাম, এমদাদুল, কুদ্রত আলী ও হাছেন আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে। আরেক আসামি রশিদ মামলার বিচার চলাকালে মারা যাওয়ায় তাকে আগেই মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউর মাহবুবুর রহমান। আসামিদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী কাজী মো. নজীব উল্লাহ হিরু ও এম এ ছালাম প্রধান।

জানা যায়, আগে থেকেই উজ্জল মিয়ার সঙ্গে আসামিদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ২০১৩ সালের ২৭ মার্চ রাত ৯টার দিকে পাশের এলাকা থেকে বার্ষিক দোলযাত্রা মেলা থেকে মোটরসাইকেলে ফিরছিলেন উজ্জল মিয়া। তার সঙ্গে ছিলেন নজর আলী ও কালাম। বতিহালা এবতেদায়ী মাদ্রাসার কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা আসামিরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উজ্জলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাকে মারাত্মক জখম করে দুই পা ভেঙে দেয়। উজ্জল ও সঙ্গীয়দের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে আসামিরা পালিয়ে যায়। উজ্জলকে প্রথমে ধোবাউড়া হাসপাতাল ও পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় ৩০ মার্চ উজ্জলের বড় ভাই কুদরত আলী ধোবাউড়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন সিআইডির সাব-ইন্সপেক্টর পরিমল চন্দ্র সরকার। ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে আদালত ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন।

ঝালকাঠি আজকাল