• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল
ব্রেকিং:
বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলা গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক মামলা নেই: প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে পশুপালন ও মাংস প্রক্রিয়াকরণের তাগিদ জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিরতার প্রতি নজর রাখার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রী আজ প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব না খাটানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দলের নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায় শেখ হাসিনা মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আত্মহত্যা প্ররোচনা: স্ত্রীর বন্ধু ফাহাদকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৯ মে ২০২২  

আমেরিকান নাগরিক শেখ শোয়েব সাজ্জাদের মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় শোয়েবের স্ত্রীর বন্ধু কাজী ফাহাদকে একদিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম শান্তা আক্তারের আদালত এ আদেশ দেন। সোমবার সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। 

আদালত সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার আসামি ফাহাদকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

অন্যদিকে আসামিপক্ষ রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে একদিনের জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন। 

এদিকে, গত ৩০ এপ্রিল বিকালে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার বনানী ডিওএইচএস’র মসজিদ গলির ১০৫ নম্বর বাসা থেকে শেখ শোয়েব সাজ্জাদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় শোয়েব নিহতের ঘটনায় তার বড়ভাই শেখ সোহেল সায়াদ আহমেদ আত্মহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে ক্যান্টনমেন্ট থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় স্ত্রী সাবরিনা শারমিন ও সাবরিনার বন্ধু কাজী ফাহাদ আসামি করা হয়।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, শোয়েবের সঙ্গে ২০১৭ সালে সাবরিনার বিয়ে হয়। তারা দুজনেই আমেরিকাতে ছিলেন। ২০১৮ সালের দিকে সাবরিনা ঢাকায় চলে আসেন। ঢাকায় এসে তিনি পুরান ঢাকার ওয়ারীর ১৯১ নং বাসার পঞ্চম তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকা শুরু করেন। এই বাসাটি শোয়েবদের নিজেদের। এই বাসায় থাকাকালীন পাশের বাসার কাজী ফাহাদ নামে এক তরুণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সাবরিনা। ঐ তরুণ নিয়মিত বাসায় আসতেন। যা পরিবারের অন্য সদস্যদের কাছে ধরা পরে। সাবরিনার বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে শোয়েবের সঙ্গে ফোনে প্রায়ই ঝগড়া হতো। পারিবারিকভাবে ফাহাদকেও সতর্ক করা হয়। তারপরও তারা অনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখে, বিভিন্ন অজুহাতে ফাহাদ সাবরিনার ফ্ল্যাটে আসতো। আমেরিকাতে বসে এসব খবর শুনে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরেন শোয়েব। প্রতিবেশী তরুণের সঙ্গে স্ত্রীর অনৈতিক সম্পর্কের কথা মহল্লায় ছড়িয়ে পরলে তিনি সামাজিকভাবেও হেয় হন।

মামলায় আরো অভিযোগ করা হয়, গত ১৬ মার্চ দেশে আসেন শোয়েব। দেশে এসেই শোয়েব তার স্ত্রী সাবরিনাকে নিয়ে শ্বশুর শাখাওয়াত হোসেনের বনানীর ডিওএইচএস’র বাসায় বসবাস শুরু করেন। এসময় সাবরিনা শোয়েবের মোবাইল ফোন ও পাসপোর্ট সরিয়ে নিজের কাছে নিয়ে রাখেন। শোয়েবকে মানসিকভাবে চাপে রাখেন। মোবাইল ও পাসপোর্ট ফেরত না দিয়ে, সাবরিনা গত ১৫ এপ্রিল বাসা থেকে না বলে চলে যায়। এসময় সে ফাহাদের সঙ্গে ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। সাবরিনাকে এসময় শোয়েবের মোবাইল ও পাসপোর্ট ফেরত দেওয়ার জন্য তার বাবাও মোবাইল ফোনে অনুরোধ করেন। তবে তারা কিছুই ফেরত দেয়নি। মানসিকভাবে এভাবে চাপে রাখায় শোয়েব আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

ঝালকাঠি আজকাল