• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝালকাঠি আজকাল

‘কক্সবাজারের ব্র্যান্ডিং হবে শুঁটকি, বদনাম হলে ব্যবস্থা’

ঝালকাঠি আজকাল

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০২২  

সমুদ্র, পাহাড় ও প্রকৃতির টানে ছুটি পেলেই ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসে সৈকত শহর কক্সবাজারে। আর কয়েকদিন ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি সন্ধ্যা হলে ভিড় করে শামুক-ঝিনুক, বার্মিজপণ্যের দোকান ও শুঁটকির মার্কেটে। তবে পর্যটকদের বেশির ভাগই কক্সবাজার এলে আত্মীয়স্বজন বা নিজেদের জন্য কিনে নেন শুঁটকি।

আর এসব শুঁটকি কিনে নিয়ে গিয়ে অনেকেই প্রতারিত হন, যা কক্সবাজারের বদনাম হয়। শুঁটকি কিনে পচা বা নষ্ট পড়েছে সম্প্রতি পর্যটকরা এমনই বেশকিছু অভিযোগ করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে, যা নিয়ে নড়েচড়ে বসেছে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশ।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (০৬ আগস্ট) রাত ১০টায় সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের শুঁটকি মার্কেটে ছুটে যান ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিমের নেতৃত্বে একটি টিম। প্রায় ঘণ্টাখানেক শুঁটকি মার্কেটের দোকানগুলো পরিদর্শন করেন। এ সময় দোকানে নানা ধরনের অসংগতি দেখতে পান, যা নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অসংগতিগুলো দূর করার জন্য দুদিনের সময় দেন। এ ছাড়া শুঁটকি কিনতে কোনো অসুবিধা বা প্রতারিত হচ্ছেন কি না সেই বিষয়ে পর্যটকদের সঙ্গেও কথা বলেন ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম।

পরে শুঁটকি ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম বলেন, প্রথমবারের মতো শুঁটকি মার্কেটে এসে সচেতন করলাম। শুঁটকি নিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের কোনো বদনাম যাতে না হয়। পর্যটকরা যাতে কোনো সমালোচনা করতে না পারে সেই কাজগুলো করবেন। সবাইকে মানসম্মত শুঁটকি বিক্রি এবং সহনীয় দামে বিক্রি করতে হবে। এরপরও যদি কোনো অভিযোগ পাওয়া যায় বা প্রতিনিয়ত নজরদারি রাখব এমন কোনো সমস্যা পায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মো. রেজাউল করিম বলেন, কক্সবাজারে পর্যটকরা ভ্রমণে আসলে প্রধান যে জিনিসটা ক্রয় করার উদ্দেশ্য থাকে সেটা হচ্ছে শুঁটকি। ট্যুরিস্ট পুলিশের কাছে অনলাইনে একটা অভিযোগ আসে, একজন পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে এসে শুঁটকি ক্রয় করেছিলেন; যা ওইব্যক্তি উপহার হিসেবে তার শ্বশুরবাড়ি পাঠায়। কিন্তু শাশুড়ি প্যাকেট খুলে দেখে যে, উপরে কয়েকটা ভালো শুঁটকি ছিল, আর বাকি সব পচা নষ্ট শুটকি। পরবর্তী ওই শুঁটকির দোকানে অভিযান চালায় এবং নষ্ট ও পচা শুঁটকি জব্দ করি।

'কক্সবাজারে যে শুঁটকি মার্কেট রয়েছে সেখানে মূলত ব্যবসায়ীদের বলছি, যাতে শুঁটকির মান বজায় এবং মূল্যটা সহনীয় পর্যায়ে রাখে। পর্যটকরা কোনোভাবেই কক্সবাজার থেকে শুঁটকি কিনে গিয়ে যাতে শুঁটকি বদনাম করতে না পারে।'

মো. রেজাউল করিম আরও বলেন, শুঁটকি দিয়ে বড় একটা ব্র্যান্ডিং হবে কক্সবাজারের। যেমন সমুদ্রসৈকত একটা কক্সবাজারের ব্র্যান্ডিং, ঠিক তেমনি শুঁটকিটাও একটা ব্র্যান্ডিং। কক্সবাজার থেকে শুঁটকি কিনে নিয়ে মানুষ সমালোচনা করবে, বদনাম করবে এটা আমরা হতে দেব না।

এদিকে ট্যুরিস্ট পুলিশের এমন কর্মকাণ্ডকে সাধুবাদ জানিয়েছেন কক্সবাজার ভ্রমণে আসা পর্যটকরা।

ঝালকাঠি আজকাল